আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অফিসে বইসা ঘুম পায়, এটা কোন কথা হলো।

* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *

কাজ করি, মাস কাবারি বেতন পাই, যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। নিজে চলি। আচ্ছা আমি কি সংসারের বাহিরে নাকি। যাক কথা এসব না। কথা হলো কাজের বিনিময়ে টাকা নেই।

ফাঁকিও দেই, নইলে বলগাই কেমন করে, মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগানোটাই কাজ। আল্লাহ বাঁচাইছে অফিসের কেউ ব্লগের কাছে ধারেও নাই, নাহলে চাকরী এতো দিনে লাটে উঠত। ঘুর পথে বের হওয়ার রাস্তা এক আংগুলেই দেখিয়ে দিত। কেন জানি মনে হয়ে ইদানিং কাজের চেয়ে ফাঁকিবাজিটাতে আমি ওস্তাদ। অথচ এক সময় চোখে সর্ষে ফুল যতবার দেখতে চাইতাম ততবারই দেকতাম কিংবা তার চেয়েও বেশি।

দুই আড়াই টাকার মোবাইল বিল মাস কাভারে ছয় সাত হাজারে পৌছাতো। এখনতো দেড় হাজারও টাচ করেনা। আজ ছয় বছর এক অফিসে, অথচ এর আগের চার বছরে তিন অফিস, মোটামুটি হিজরত ভালোই ছিলো। ইদানিং কেমন কেমন জানি লাগে মনে হয় অনেক বছর হয়ে গেছে এক অফিসে, একটু হাওয়া বদল দরকার। এক পা বাইরে দেই তো তিন পা পিছানোর মত।

মনে মনে মন সাড়া দেয় না। শুরু যখন করি ডিপার্টমেন্টে পাঁচ জন, এখন ডিপার্টমেন্ট চলে ৪২ জনে। আজবতো। সময়ে কত কি পরিবর্তন হয়। সমস্য হলো আগে হঠাৎ মন চাইতো ঠিক আছে চল কোন খাবার রেস্টুরেন্টে, দে ছুট।

হেব্বী পেট পুজো করে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফের। এখন কে রিস্ক নেবে ৪২জনের। তাই যাওয়া হয়না। কখনো সখনো সাধ জাগলে ঘোলে মেটাও। স্টার বা ফখুর বিরিয়ানি।

মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতাম কোথায়ও থেকে। এখন আর হয়না, এছাড়া লোকজন বেশি, নানা জনের নানান চিণ্তা ধারা। আসলে এতো কিছু লিখলাম ঘুম পাচ্ছে তাই আবার ফাঁকি বাজি করে দুলাইন লিখে ব্লগের প্রথম পাতা নষ্ট করার চেষ্টা করলাম। তবে ইদানিং আমি কাজের চেয়ে ফাঁকি বাজি করতে পারি বেশ। তবে অফিস কেন জানি মনে করে আমি ঠিকমতই কাজ কাম চালাইয়া যাইতেছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।