স্মৃতিচারণ ও এলোমেলো ভাবনা। বেশিরভাগই জগাখিচুড়ি।
দৌড়ের উপর আছি 2 দিন থেকে। বসদের সাথে কাজ করার এই এক সমস্যা। অন্য সময় ভালোই থাকি।
কিন্তু এই বেটা আমার সাইটে আসলেই দৌড়া-দৌড়ি শুরু হয়ে যায়। যেমন কালকে রাত 11টা পর্যন্ত কাজ করলাম। কি কাজ সেইটা বড় কথা না....কাজের পর যা করলাম সেটাই আসল। কাজ ছিল ইউ পি এস র্যাকে মাউনট করা। শালার ইউ পি এসের ওজন ছিল 78 কিলো।
তিন জন মিলে কাজটা করতে 2 ঘন্টা লাগল। মোটে আধঘন্টার কাজ ...কিন্তু এক কাজে গিয়ে আরও 2 টা বের হয়, এই করতে করতে শেষে পুরো 4 টা র্যকের সব কিছু খুলে আবার মাউন্ট করতে হলো। পুরা কলুর বলদ হলাম। কাজ শেষে যখন রেস্ট নিচ্ছিলাম, তখন বস বললেন, রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। এই জাতীয় কাজের পর কি পরিমান জজ্ঞাল সৃষ্টি হয় তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ জানে না।
যাই হোক আমি বললাম গুরু একটু ক্ষান্ত দেন। জবাবে গুরু বললেন "টেক ইওর টাইম" । এরপর দেখি আমাকে বাদ দিয়ে ভদ্্রলোক কাজে নেমে গেছেন। এবং তা হলো রীতিমতো কামলা। প্রথমে নিয়ে আসলেন ঝাড়ু।
ঝাড়ুর কাজটা সে নিজেই করল, আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এখানে উল্লখ্য যে আমাদের অফিসের কন্ট্রাক্ট ক্লিনার আছে। বাংলাদেশ হলে এই কাজ 3য় শ্রেনীর কর্ম চারীকে দিয়ে করানো হত । তারপর কিছু হারিয়ে গেলে বেচারার 14 গুষ্টি উদ্ধার করা হত। এদেশে এসবের বালাই নেই।
সবাই নিজের কাজ নিজে করে। যে কাজটা একান্তই করতে পারে না সেটা করার চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। তবে একটা বিষয় স্বীকার না করে উপায় নেই, তা হলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ছাড়া পরিষ্কার করা খুবই কষ্টের। যাই হোক অনেকদিন পর কামলা দিলাম। মন্দ লাগে নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।