আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগের হাত ধরে বাংলাদেশে শিক্ষার জাহান্নাম যাত্রা

বসে আছি পথ চেয়ে.... বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সবাইকে উচিত শিক্ষা দিয়ে শিক্ষাঙ্গন থেকে ‘শিক্ষা’ মোটামুটি বিদায় হতে বসেছে। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যে কায়দায় শিক্ষাঙ্গনগুলো থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করে ছাত্রদল একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিল, ঠিক একই কায়দায় বর্তমানে ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে বিতাড়িত করছে। দখল, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে এখন ছাত্রলীগ অপ্রতিদ্বন্দ্বি, নাম্বার ওয়ান। তাদের দাপটের কাছে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না।

তাদের গতিবিধি সীমিত হয়ে পড়েছে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মোটের ওপর শিক্ষার বারোটা বাজাতে ছাত্রলীগ বর্তমানে অপরিমেয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, হত্যা, দখলদারিসহ নানা রকম বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। তাদের সন্ত্রাস-উৎসবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ছুটি পেয়েছেন।

একরে পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষের জের ধরে। ছাত্রলীগ-ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের কারণেও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এমন অবসর বিনোদনের ব্যবস্থা করে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা সত্যিই কৃতজ্ঞভাজন হয়েছেন! আগের দিনের জমিদাররা লাঠিয়াল বাহিনী পুষত। চর দখল, জমি দখল, দখল করা ভূখণ্ড রক্ষা, প্রতিপক্ষ দমন, খাজনা আদায়, সর্বোপরি জমিদারের স্বার্থরক্ষা করাই ছিল এই লাঠিয়ালদের কাজ।

জমিদারি আমলে তাই এই লাঠিয়াল বাহিনীর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এ যুগে জমিদারতন্ত্র নেই বটে, তবে অন্য চেহারায় জমিদার বাহাদুররা ঠিকই রয়ে গেছেন। তাদের সেই মানসিকতাও এখনও অটুট রয়েছে। একালের জমিদার হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। তারাই দেশ চালান।

অন্তত দেশ চালানোর অভিনয় করেন। তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য রয়েছে নানা বাহিনী। সরকারি দলের ‘জমিদার’দের প্রটেকশন দেয়ার জন্য রয়েছে আনসার, পুলিশ, র‌্যাবসহ নানা ইউনিফর্মধারী রাষ্ট্রীয় বাহিনী। এর বাইরে আছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী। ছাত্র সংগঠনই হচ্ছে একালের জমিদাররূপী রাজনীতিকদের অঘোষিত লাঠিয়াল বাহিনী।

দখল, পাল্টা দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতিপক্ষ দমনসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বার্থরক্ষায় এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ঠ্যাঙ্গাড়ে লাঠিয়াল বাহিনীর আবাসস্থল। ছাত্র রাজনীতির নামে ছাত্র সংগঠনের মোড়কে এই লাঠিয়াল বাহিনী মূলত রাজনীতিকদের ইচ্ছার দাস হিসেবে ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিভিন্ন বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সমর্থনে ও পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্ররাজনীতির এই ‘সোনার ছেলেরা’ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জাহান্নামের পথে নিজেদের, পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাওয়াটাই অবশ্য বড়ো কথা।

তা সে জাহান্নামের পথেই হোক, আর হাবিয়ার পথেই হোক! দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ লাঠিয়াল বাহিনীর দখলে চলে গেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় এ লৌকিক বীরদের অবদান দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমাদের নির্বাচিত সরকারের তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসনামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানেই হচ্ছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের দখলদারিত্ব, আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ। একে অপরকে দাবড়ে বেড়ানো। মাঝে মধ্যে দলীয় কোন্দল।

খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শাসকরূপী জমিদারদের হাত ধরে জাতীয় জীবনে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন আর জ্ঞান-তত্ত্ব-গবেষণা এসবে সীমাবদ্ধ নেই। জ্ঞানের ব্যাপ্তি বেড়েছে, বিদ্যার সীমান্ত বিস্তৃত হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামাতের দলীয় রাজনীতির প্রতি অন্ধ আনুগত্য এবং এই রাজনীতি প্রসারের জন্য প্রাণপাত করাই হচ্ছে ‘জ্ঞান’।

চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, হত্যা, হল দখল, ক্যাম্পাস দখল, ফাও খাওয়া, আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কোন্দল, উপদলীয় সংঘাত, প্রতিপক্ষকে মেরে তক্তা বানানো, প্রতিদ্বন্দ্বিকে কবরে পাঠানো, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, জিয়া, খালেদা জিয়া, নিজামীর নামে মাতম, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টিই ‘নলেজ’। বিদ্যাচর্চায় ও জ্ঞান অনুশীলনে এগুলোই মূল সিলেবাস। এই পাঠ যারা আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে সমাজে তারাই সফল হয়। এমপি-মন্ত্রী পর্যন্ত হয়ে যায়। এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হচ্ছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবিরের দলীয় রাজনীতি।

এ রাজনীতি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার। যুক্তি বা আদর্শ নয়, অর্থ, অস্ত্র আর পেশিশক্তিই হচ্ছে এ রাজনীতির চালিকা শক্তি। মার-কাট-খাও। সন্ত্রাস-অস্ত্রবাজি-দখল। খুন-মামলা-হামলা।

ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-ছাত্র শিবির। শিক্ষার আঙিনায় এখন আর ছাত্র নেই। থাকলেও তাদের কেউ পোছে না। নতুন ব্যবস্থায় এখন শক্তিশালী ও দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক অসংখ্য ক্যাডার। তারাই দাপিয়ে-লাফিয়ে বেড়ায়।

তাদের দখলেই ক্যাম্পাস। ছাত্রের অনুষঙ্গ বই, খাতা-কলম। আর এসব ক্যাডারের উপাচার হচ্ছে, অস্ত্র-মাদক-পারভারসান-দলবাজি। লেজ ছাড়া যেমন কুকুর হয় না, পারভারসান ছাড়া ক্যাডারও দেখা যায় না। পশু যেমন যে কাউকেই প্রতিপক্ষ মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোন যুক্তি-বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধ ছাড়াই, ক্যাডাররাও প্রতিপক্ষের ওপর একই কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মানুষ হওয়ার মন্ত্র তাদের জানা নেই। সে মন্ত্র তাদের শেখানোও হয় না। তাদের কেবল ক্যাডার নামক জানোয়ার হওয়ার তন্ত্র ও যন্ত্র (মোবাইল, পিস্তল, রাইফেল, মোটরসাইকেল, কার) দেখা যায়। বর্তমানে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে পাগলা কুকুরের আদর্শ ভর করেছে। এই তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাক্ষণ ‘কামড়ে দেয়া’র সাধনায় মশগুল।

মাঝে মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আদিম হিংস্র প্রবৃত্তি। এক দল অপর দলের ওপর, ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ হলে নিজেরাই নিজেদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এ পশুশক্তির গর্জন আর হুঙ্কারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর এখন ছাত্র রাজনীতির আচ্ছাদনে ঢাকা দুর্বৃত্ত এবং পুলিশের পার্টনারশিপে পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের গুণ্ডারা বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে একের পর এক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নরককুণ্ড বানিয়ে ফেলছে। অথচ এ ব্যাপারে কারও কোন উদ্বেগ নেই, ক্ষোভ নেই। ঘৃণাও নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলে থাকা বিএনপি-জামাত মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের অনুগত লাঠিয়ালদের দিয়ে গুন্ডামির অভয়াশ্রম বানিয়ে ফেললেও সবাই কী আশ্চর্য রকম নির্বিকার। অনেক ‘সাধের’ আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেও সরকারি দলের অনুগত ক্যাডার বাহিনী শিক্ষাকে লাটে ওঠানোর চূড়ান্ত আয়োজনে ব্যস্ত।

অথচ এ ব্যাপারে শাসকদলের তেমন কোন অনুশোচনা নেই, নেই কোন বিকার। তারা বসে বসে যেন মজা দেখছেন। আর মাঝে মাঝে বায়োবীয় হুঙ্কার ছাড়ছেন। কিন্তু এই গুণ্ডাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার ব্যাপারে কঠোর কোনো উদ্যোগ বা সংকল্প এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে কি শিক্ষাকে ধ্বংস করে, শিক্ষাঙ্গনকে অচল করে বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ক্ষমতায় থাকতে চান? দেশ-জাতির কল্যাণ করতে চান? এটাই কি বর্তমান সরকারের ‘পরিবর্তনের রাজনীতি’র নমুনা? ***** ছাত্রদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন আর কোন কাক্সিক্ষত স্থান নয়।

জ্ঞান শিক্ষা, কর্ম, অনুশীলনের সমন্বয়ে জীবন যুদ্ধের প্রকৃত সৈনিক হতে এখন আর কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে বলে মনে হয় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ কেউ আসে অনন্যোপায় হয়ে। আর বাকিরা আসে লাঠিয়াল বা ক্যাডার হতে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল অথবা ছাত্র শিবির নামে ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীর সদস্য হয়ে তারা খুবই আনন্দে থাকে। একবার ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা ছাত্র শিবিরে নাম লেখাতে পারলে জীবন একেবারে ফকফকা।

তাদের কোন অভাব থাকে না। পাওয়া যায় যা খুশি তাই করার অবাধ স্বাধীনতা। যেভাবে খুশি টাকা উপার্জনের সুযোগ। অস্ত্রবাজি, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ডাকাতি করার লাইসেন্স। এ দুর্বৃত্তরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিম্মি করে রাখবে আর অন্য সবাই তাদের দয়া বা মর্জির দিকে তাকিয়ে থাকবে।

তারাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার মালিক। খোলা রাখার মালিকও তারাই। এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান (অধ্যক্ষ-ভিসি) হওয়ার জন্য আমাদের বরেণ্য শিক্ষাবিদরা মরিয়া চেষ্টা চালান। দালালি করেন। এই দুর্বৃত্তদের পায়ের নিচে বসে, তাদের ইচ্ছার দাস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব নিতে এসব শ্রদ্ধেয় ‘শিক্ষাবিদ’ ও সম্মানিত ভিসিদের কোন আপত্তি দেখা যায় না।

এটাকে আমরা কী বলব, দায়িত্ব গ্রহণের, দায়িত্ব পালনের অসীম সাহস? নাকি পদ ও ক্ষমতার প্রতি নির্লজ্জ লোভ? দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা? আমাদের শিক্ষাঙ্গনে এখন আর শিক্ষা আছে বলে মনে হয় না। এক পাল দুর্বৃত্তকবলিত স্বেচ্ছাচারীদের পীঠস্থানে পরিণত। ছাত্রছাত্রী নেই, আছে মেরুদ-হীন কিছু জড়ের অস্তিত্ব। শিক্ষকও নেই, লাজ-লজ্জা, আদর্শ, শক্তি, সাহসহীন ক্লীবদের অক্ষম পদচারণা আছে শুধু। তা না হলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধহীনভাবে পশুশক্তির দখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে যাচ্ছে কিভাবে? গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের অনেক কিছুই নষ্ট হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে।

অনেক কিছুকে হত্যাও করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা হয়েছে সম্ভবত দেশের শিক্ষার। শিক্ষাঙ্গন থেকে শিক্ষাকে নির্বাসন দেয়াটাই ছিল বুঝি গত কয়েক দশকের নির্বাচিত-অনির্বাচিত সরকারগুলোর প্রধান এজেন্ডা। তা না হলে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির নামক লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে শিক্ষাঙ্গনগুলোকে ছেড়ে দেয়া হবে কেন? কেন এ দুর্বৃত্ত পশুদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না? এত ক্ষতি, এত মৃত্যু, এত সমালোচনার পরও কেন ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবিরের গুণ্ডাদের দমন করা হচ্ছে না? তাদের কর্মকা- নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খামোখাই এই দুর্বৃত্তদের পায়ে তেল মাখছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পুলিশ মোতায়েন করছেন।

কর্তৃপক্ষের উচিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া, ক্যাম্পাস ও হল আপাতত ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের জন্য অবাধ এবং উন্মুক্ত করে দেয়া। ওরা লড়ুক। মরুক। ওরা শক্তি দিয়ে সবকিছু দখল করে নিক। বাকি সবাই পালিয়ে যাক, গুলি খেয়ে মরুক, জাহান্নামে যাক।

সব কিছু ছারখার হোক। তাতে কার কী? স্রষ্টা যা করেন তা নাকি আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন। ছাত্রলীগের গুণ্ডামি আর শেখ হাসিনার সরকারের এ গুন্ডামিকে প্রশ্রয় দেয়ার মধ্যে নিশ্চয়ই আমাদের মঙ্গল নিহিত রয়েছে। আমরা নির্বোধ বলেই তা টের পাচ্ছি না! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.