ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। মোটা দুটি লাঠি টেবিলের ওপর। চারিদিকে গোল করে বসানো হয়েছে লাল প্লাস্টিকের চেয়ার। সামনে ফাঁকা স্থানে বসে আছে ৮-১০ জন। যাদের মধ্যে শিশু থেকে মাঝ বয়সী পর্যন্ত রয়েছে।
সালিশের আয়োজন চলছে। সালিশ মানে আর কিছুই না.. এদের পেটানো। এদের অপরাধ সুনির্দিষ্ট না তবে একটি অপরাধ অবশ্যই রয়েছে তা হচ্ছে সোহরোওয়ার্দী উদ্যানের প্রধান নিয়ন্ত্রকের আস্থা তারা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
সালিশের মধ্যমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছাত্র লীগের নেতা শহীদুল। দাপুটে নেতাদের পুরো নাম সাধারণত জানা থাকে না।
কিন্তু এই শহীদুল যে ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ডান হাত সেকথা জানালেন অনেকেই।
সোহরোওয়ার্দী উদ্যানের কন্ট্রোল এখন তার হাতে। এখানে নাকি গাছের পাতাটি পর্যন্ত তাকে না জানিয়ে নড়ে না।
বয়সের তুলনায় পেটভারী শহীদুলের গদাই লস্করি চাল গ্রাম্য মাতুব্বরকেও হার মানায়। শুরু হলো সালিশ... অন্য অর্থে পেটানো।
কিশোর তরুণদের এক দফা পিটানোর পর শুরু হলো আসল সালিশ কাজ। অপরাধ ভেদে একেকজনকে কানধরে ওঠবস কিংবা হাতজোর করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হলো।
শহীদুলকে না চিনতে পারায় একজনের পিঠে পড়লো বাড়তি লাঠির ঘা, সঙ্গে খিস্তি খেউর: ...পুত উদ্যানে থাকস আর আমারে চিনোস না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো... শহীদুল ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ডানহাত। তার হয়ে তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন উদ্যানের যাবতীয় কর্মকাণ্ড।
ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় পদে আসীন হওয়ার আগে সে কাজটি নাজমুল নিজেই করতেন।
উদ্যানের কর্মকাণ্ড মানেই হচ্ছে এখানে যেসব কাজ চলে যেমন মাদক সেবন, চুরি-চামারি কিংবা নির্জনে ঠেকা দেওয়া এসব। যাদের পেটানো হলো.. কিংবা শাস্তি তাদের অনেকেরই অভিযোগ ভাগ বাটোয়ারা সঠিক না হলেই এমনটা শাস্তির মুখে পড়তে হয় তাদের।
তবে সালিশকারীদের দাবি উদ্যানে যাতে কোনো অন্যায় কাজ না হতে পারে সে জন্যই এ ব্যবস্থা।
কিন্তু তাই বলে সালিশের নামে এমন পেটানোর কোনো অধিকার তাদের আছে কি না তার উত্তর... উদ্যান আমরা কন্ট্রোল করি তাই পেটানোর অধিকার আমাদেরই।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।