ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো কেউ বাজি ধর্বেন? আমার বাজির ঘোড়া ভিসি নজরুল। কারন উনি গোপালগঞ্জের আলো-হাওয়ায় বড় হৈছেন, প্রধানমন্ত্রীর আস্তাবলে উনি ঘুমান। জব খান। ডায়ালগ পিটান। পুরা ন্যাচারাল ঘোড়া।
আর প্র-ভিসি হাবিবুর স্যার হচ্ছেন ন্যাচারাল জকি। এ পারফেক্ট উইনিং কম্বিনেশন। যদ্দিন প্রধানমন্ত্রী ফোন কইরে ক্ষান্ত দিতে না বলবেন, তদ্দিন তিনি থাকবেন।
আর বুয়েট শিক্ষক সমিতি? ওরা হলো কিশোর-কিশোরীদের পছন্দ। নার্ড সমাবেশের সেরা নার্ডরাই শিক্ষক হয়।
কোনদিন আন্দোলন কর্ছে তারা? সব ছাত্র আন্দোলনের সময় এরা ঘরে বৈসা পড়েছে, দুধ-কলা খাইছে। পরীক্ষা পিছাইলে, আবার রিভিশন দিয়েছে। বিদাশে পিএইচডি কর্ছে, নৈতিকতার দীক্ষা নিয়া দেশের টানে ঘরে ফির্ছে। তারা করবে মিন মিন করে মৌন মিছিল। ওইসবে কাবু হবে কেন আমাদের ভিসি স্যার? উনার আছে সেনাপতি মোনাজ স্যার।
তীব্র বালু ঝড়েও উনি উটের মতো মুখ গুজে পড়ে থাকতে পাড়েন। টক শোতে উনার লুঙ্গি খুলে নিলেও বিব্রত হন না মোটেও, কারন উনার আছে আন্ডারওয়ার।
আর আছে মিডিয়া পার্টনার মুন্নি সাহা, জনকন্ঠের বুয়েট ফেরত সাংবাদিক বিভাষ বাড়ৈ ও আসিফ ত্বাসীন, যারা রিপোর্টিং করতে বুয়েটের বারান্দা পর্যন্ত আস্তে পাইরা জীবন ধন্য কর্ছেন। মনে রাখতে হৈব, এরা পরীক্ষিত সৈনিক। ভিকারুন্নিসার হোসনে আরা ও পরীমল জুটি্রে বাচাইতে এরা পেন-ফাইট দিয়ে বাচ্চা মেয়েদের কাছে হাইরা গেলেও- এগো ভিত্রে জিনিস আছে।
শুধু হেলালী স্যারকেই জঙ্গি বানায় নাই, উনার স্ত্রীকেও জঙ্গির দাওয়াতি কার্জক্রমের প্রধান বানাইছে। পুরা পারিবারিক গিট্টু দিয়া ছাইড়া দিছে। হেলালী স্যারের আঙ্গুরের মতো মুখটা শুকায়া কিচমিস হইয়া গেছে দেখলাম।
আরো আছেন প্রবাসী বুদ্ধিজীবি এক্স-বুয়েটিয়ানরা। এরা খেলবে ডিভাইড এন্ড রুল গেইম।
ব্লগে-ফেইসবুকে সাইবার বিষ ছড়াইতে এরা ওস্তাদ।
"বুয়েটের আন্দোলনে শিক্ষকদের লাভ আছে, কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা ওখানে শুধুই কলুর বলদ- লাভের গুড় সব শিক্ষকদের" - বুয়েট খুলে দেওয়ার আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের লাভ খুজে পাচ্ছেন না বিখ্যাত কম্পুবিজ্ঞানীরা। আরেকদল আছেন "দেশবিরোধী চক্রান্ত, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য জামাত-শিবির রাজাকার-হিজবুতিরাই ছাত্রদের পেছন থেকে খেলাচ্ছে"। একজন আবার নিউয়র্ক থেকে লিখেছেন
বুয়েট কি এখন মিনি পাকিস্তান ! -ফারুক ওয়াহিদ
জ্বী স্যার। পুরা ফাকিস্তান হইয়া গেছে।
৭০% শিক্ষক জামাতি-হিজবুতি। বেগানা আওরাত রাস্তায় বইসা আন্দোলন করে। সব জাহান্নামের লাকড়ি। হিলারী ম্যাডামরে বৈলা একটা ড্রোন পাঠায়া দিয়া এগোরে ডাইরেক্ট জাহান্নামে পাঠায়ে দেন। এর্বাদে BUET এর নাম পাল্টায়া বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রাখেন।
দোজাহানের কামিয়াবি হাসিল করেন।
এরা সবাই যদি ফেল মারে, তাইলেও রক্ষা নাই। আমাদের আছেন আচার্য মহান রাষ্ট্রপতি দয়ার শরীর জিল্লুর স্যার। তিনি ফাসির মঞ্চ থিকা খুনের আসামী ফিরায়া আন্তে পারেন। সেই তুলনায় আমাদের ভিসি- প্রভিসি স্যার দেবশিশু।
খুন করেন নাই এক্টাও। কাউরে চড়ও দেন নাই। নিয়োগে অনিয়ম-দূর্নীতি, ছাত্রলীগের ছেলেদের গ্রেড বিতরন, দুষ্টুমিতে(কাউকে এখনো খুন করে নাই, সামান্য হাত-পা ভাংছে, ডিএমসিতে গিয়া হাল্কা ভাংচুর কর্ছে...এগুলা কিছু হৈল?) পশ্রয়----এগুলান কোন অভিযোগ হৈল। দেশের মানুষ এরচেয়ে ঢের অভিযোগ-অভাব নিয়া দিনাতিপাত করে। এয়ারা এসবে অভ্যস্ত।
বিশ্বব্যাঙ্ক বেইল পাইলো না। হাতি ঘোড়া গেলো তল, ব্যাঙ বুয়েটের শিক্ষক বলে কত জল। ছ্যা ছ্যা।
এর পরেও যদি বশে না আসে পদত্যাগ করা ২৪ বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষক (ডীন, হেড) আর বেতাল শিক্ষক সমিতি; তাইলে আছেন প্রধানমন্ত্রী। উনার উজির-নাজিররা প্রায়ই উনারে এইরকম বিপদে ফেলেন।
দেশের সব সমস্যা তিনি মোবাইল ফোনেই সমাধান করতে পারেন। তামিম ইকবাল দলে না থাকলে, চাচা আকরাম বোর্ডে না থাকলে- উনারেই ম্যানেজ করতে হয়। বিটিয়ারসি কয়টা লাইসেন্স দিবে সেইটা চেয়ারম্যান আর সংসদীয় কমিটি মিলা ঠিক কর্তে না পার্লে, উনারেই বলতে হয় ঠিক কর্তে হয় (আমি নিজে ইঞ্জিনিয়ার হইয়াও এতো জটিল বিষয় বুঝি না- কিন্তু উনি নিমিষেই সমাধান কইরা ফেলান)। কোথায় কার জামাই ঘরে ফিরে নাই, কার বাপ-মা নিজেরা নিজেদের কোপাকুপি কৈরা মৈরা গেছে- সব তিনি স্মুথ হ্যান্ডেল করেন। তিনি বুকে টেনে নিলেই সবার কলিজা ঠান্ডা।
কারন তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। উনার সাত চড়েও আমাদের ভিসি আওয়াজ করবেন না। যে কাজ এতগুলান বিদাশ ফেরত পিএইচডি গবেষক মিলা করতে পারতেছেন না বুয়েটে, সেইটা উনি একটা এসেমেস দিলেই হয়ে যাবে...শুধু লেখবেন "খালাস"। ব্যস। দিস ইজ কল্ড চেইন অফ কমান্ড, ইউ ব্লাডি সিভিলিয়ান্স।
এন্ড দিস ইজ কল্ড ডেমোক্রেসী। উয়ু শুড হ্যাভ সাম রেস্পেক্ট এন্ড পে সাম প্রাইস ফর সাবস্ত্রাইবিং ইট। ইটস মিডিল ইস্ট ভার্সন ইজ সোল্ড ইন এক্সচেঞ্জ অফ ব্লাড এন্ড ওয়েল। সো উই শুড নট প্রকাস্টিস ইট মাচ, বাট প্রিসার্ভ ইট এট এনি কস্ট।
তবে এরচেয়ে সহজ সমাধান উনি করতে পারেন।
বিএনপির পোষ্য সাবেক ভিসি এমাজুদ্দিনের সমাধান। ভিসি স্যারকে খাস রাস্ট্রদূত বানায়া প্রমোশন দিতে পারেন। রাজাকারদের (রাজার সহকারীঃ) রাষ্ট্রদূত করা বিএনপির খান্দানি রেওয়াজ। তবে এইটা উনার নিজের বুদ্ধি কিনা সন্দেহ আছে। এর আগে একবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়া একটা বই পুরা কপিপেষ্ট মাইরা কট খাইছেন।
তাই উনার পরামর্শ না নেয়াই ভালো। ভিসি স্যাররে একটা থার্ড চান্স দিয়া কোন ভার্সিটিতে হিজ্রতে পাঠায়া দেন। মোনাজ স্যাররে নুতুন ভিসি কইরা দেন। সে অনেক কষা আছে। আর জকি হাবিবুর স্যাররে বহাল রাখেন।
তেনার পারফরমেন্স ভালো। যেইসব ছুপা আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক নিমকহারামী কইরা পদত্যাগ করছে, নৈতিকতা ফলাইছে; তাদের গুস্তাফি মাফ কইরা দেন। আপনি মহান।
ভিকারুন্নিসার বাচ্চা মাইয়াপাইন যা কর্ছে, উপর্যপুরি ধর্ষনের পরেও বুয়েটের পোলাপান সেইটা কর্তে পারবেনা। কারন তাদের ঢাকা কেন্দ্রিক ঐক্যবদ্ধ অভিভাবক মহল নাই।
জাতির বিবেকের কেন্দ্রস্থল, তিলোত্তমা ঢাকা নগরীতে এদের কোন হোল্ড নাই। এরা একবেলা মিছিল কইরা, দুইবেলা টিউশনিতে যাবে, ছাত্রীর হাসিতে গৈলা যাবে। চোয়াল শক্ত কৈরা ভিসিরে কামড় দিতে পার্বে না। বুয়েটের এইসব ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে যেগুলা বেশি তাউড়া, সেগুলান পেপারে লেখে "নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক" পরিচয়ে। কারন মামাবাহিনীরে এরা সমঝে চলে।
করে নাকো ফোস ফাস, মারে নাকো ডুশডাস। বাস-টেম্পো পোড়ায় না। রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় না। অহিংস সত্যাগ্রহ কর্তেছে এরা। জাবির রাজনৈতিকভাবে উজ্জ্বিবিত শিক্ষকদের মতো বেয়াড়া এরা হবে না।
আপনার ভয় নাই। চলছে চলুক, যখন যার মুল্লুক।
জয় বাংলা, জয় বুয়েটবুন্ধু।
এবিষয়ে আরো কিছু লেখা
১৯ দিনের আন্দোলন: বুয়েট প্রসাশনের রাজনৈতিক ভূত
বুয়েট ভিসি ও আবুলঃ মাইক্রো ব্লগ কালেকশন্স ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।