ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা সারাজীবনের ছিলো । তাই অবধারিতভাবেই আরেকটা স্বপ্ন ছিলো সবসময়- বুয়েট । ।
নামটার প্রতি কেমন যেন কিছু আবেগ জড়িয়ে ছিল ছোটবেলা থেকেই ।
ঢাকা বিস্ববিদ্যালয় এলাকায় গেলেই কেমন যেন ঐ দিকটার জন্য মন আকুপাকু করত গোটা স্কুল-কলেজ জীবন …...
এখানে আমার নিজের গল্পটা একটু পরে বলি, তার আগে অন্য কিছু কথা বলি-
সাত-আট দিন আগে আব্বু আমাকে এসে বলছিলো :
- তোমার বুয়েট এর এ কি অবস্থা?? এখানেও এসব হয় .........
কিছু বলার ছিল না আসলে আমার ।
চুপ করেই ছিলাম । ।
কি বলার ছিল আসলে?
একজন ইঞ্জিনিয়ার মানে তো আসলে একজন কৌশলী । আরেকটা মানুষকে মেরে থেঁতলে দেওয়ার মত ‘প্রাচীন বর্বর’ কাজ একটা কৌশলী মাথায় কিভাবে আসে?
যত বড় লীগ-ই হোক, আর যত বড় দল-ই হোক, দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বলে যাদের জানি, নিজের স্কুল-কলেজ জীবনে যে বড় ভাইয়া-আপুদের সবচেয়ে শ্রদ্ধা করে আসছি- শেষ পর্যন্ত তারাও??
তবে শেষ পর্যন্ত বুয়েট আমাদের নিরাশ করে নাই ।
They really showed what unity & merit is about.
একটা সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু মেধার জোরে চলতে পারে না, নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ‘হেরে না যাওয়ার’ চেতনার শক্তি বুয়েট আরেকবার দেখালো আমাদের ।
‘ভালোমানুষ’ টাইপ ঐসব ভাইয়া-আপুদেরকে মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজেরই গর্ব বোধ হচ্ছিল । ।
যাই হোক, নিজের কাহিনীটা বলে শেষ করি এবার ।
একটা institution এর প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা আর কিছু দুর্ভাগ্যের কথা । ।
BUET Admission Test-2011 এর আমিও ছিলাম একজন candidate.
১৫ অক্টোবর এর ভর্তি পরীক্ষাটা তেমন ভালো না হওয়ায় আমি এখন বুয়েট এর waiting list এ । অনিশ্চিত ……………..
দেশের নোংরা রাজনীতি, দূষিত ছাত্ররাজনীতিকে পিষে মেরে ফেলার ক্ষমতা আমাদের আছে, দেশের মেধাবীদের আছে ।
হকিস্টিক, চাপাতি যাই হোক-
তারচেয়ে সত্যিকারের মেধার সংখ্যা অনেক অনেক গুণ বেশি, এটা আমি জানি ও বিশ্বাস করি ।
আর আমি শেষ পর্যন্ত বুয়েট এ চান্স পাই বা না পাই-
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা একই থাকবে । হয়তো কিছুটা অভিমান করতে পারি-
কিন্তু ‘অভিমান’ তো আর আলাদা কিছু না, ‘ভালোবাসা’র একটা different নাম আর কি !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।