পাকিস্থান সেনারা লাশগুলো শহরে থেকে একটু দূরে রায়ের বাজারের, মিরপুর... ফেলত। শুনেছি বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষায় সারি সারি লাশ ভেসে যেত। লাশে আর রক্তে ভেজা জায়গাগুলো এখন পবিত্র। মানুষ বছরের কয়কেদিন জানা অজানা লাশের স্মরণে ভালবাসা/শ্রদ্ধা জানায়।
দেশে এখন নাকি প্রায়দিনই পত্রিকার অফিসে সন্ধ্যায় সারি সারি লাশ ভেসে আসে ফ্যাক্স মেশিনগুলোতে ভর করে (প্রেসরিলিজ)।
আর সাত সকালে ফেরি করে সেই লাশ পৌছে দেওয়া হয় ঘরে ঘরে। সবগুলো প্রেসরিলিজ একই বর্ণে ছাপা। সবগুলো লাশ একই সাইজের। প্রতিটি প্রেসরিলিজ আর লাশের কি যে অদ্ভুদ মিল।
প্রতিদিন সকালে প্রেসরিলিজে ভেসে আসা লাশগুলো দরজার ফাঁক দিয়ে আমার ঘরে আসে।
লাশের গন্ধ শুকতে শুকতে আমি চা খাই। আর টুকে রাখি লাশের হিসাব।
কিছু লাশ পাওয়া যায়নি, কিছু লাশ পাওয়া যাবে না। তবে সময় কালভেদে পাওয়া না পাওয়া, সকল লাশের গন্ধ আর সাইজের কোন বিভেদ নেই।
গুম হোক ঘরে ঘরে, খুন হোক পথে পথে।
তারপর যদি ভোতা অনুভূতিতে সাড়া লাগে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।