আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি কে চালায়?

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ৬ দিন গুলশান কার্যালয়ে বসেন। সেখানে বসে তিনি তার দল বিএনপি পরিচালনা করেন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার জন্য মিন্টু রোডের মন্ত্রী পাড়ায় একটি বাড়ি আছে। ওই বাড়িটি বাসা কিংবা অফিস হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন না। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে।

সেখানে একটি ৫তলা ভবন রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় চেয়ারপারসনের অফিস রয়েছে। কিন্তু গত ৫ বছরে আমি একদিনও খালেদা জিয়াকে ওই অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখিনি। মহাসচিব নিয়মিত পল্টন কার্যালয়ে বসেন। দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীও নয়াপল্টনে বসেন।

তিনজন সহ দফতর সম্পাদকের মধ্যে দুজন বসেন নয়াপল্টন একজন গুলশানে কাজ করেন। বিএনপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে। একটি রাজনৈতিক দলের নেতার কাছে তার দলের এ টু জেড সকল পর্যায়ের নেতারা দেখা করবেন। তাদের সমস্যার কথা বলবেন। দলের প্রধানের কাছ থেকে দিক নির্দেশনা নেবেন এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন অনেকটা খাচায় বন্দির মতো থাকেন। তার চার পাশে কাউকে যেতে দেয়া হয় না। গুলশানে যে কার্যালয়টি তিনি করেছেন সেখানে সবার ঢোকার অনুমতি নেই। নিরাপত্তাজনিত কারনে এসব করা হচ্ছে না কি দলকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য করা হচ্ছে এসব প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেন না। যেসব সাংবাদিক বিএনপির নিউজ কাভার করেন তারাও অনেকটা হয়রানির মধ্যে আছেন।

গুলশান কার্যালয়টি অনেক মিডিয়া হাউজ থেকে অনেক দূরে। আর বিএনপি নেত্রী সাধারণত রাত সাড়ে আটটার আগে কার্যালয়ে আসেন না। তিনি কার্যালয় থেকে বাসায় যান রাত এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে। এই সময় তার সব কার্যক্রম চলে। সেজন্য কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সাংবাদিকদেরও রাত ১২টা পর্যন্ত গুলশান থাকতে হয়।

আর গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ। বিচিত্র সব অভিযোগের তথ্য পাওয়া যায় ওই সব লোকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব ঘটনা কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় না। কেন হয় না। তা আমি নিজেও জানি না।

সে যাগগে। আমি নিজে বিএনপি করি না। আমি সাংবাদিকতা করি। আমার অফিসের নীতিমালা অনুয়ায়ী যতটুকু লেখা সম্ভব ততটুকুই লিখলাম। যদি কেউ পড়তে চান তাহলে নীচের লিংকে ঢু মারতে পারেন... Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.