কথা বলি মানুষের
কুমিল্লার হোমনায় বিএনপি কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক কৃষি মন্ত্রী এম কে আনোয়ারের কুমিল্লার হোমনার বাড়ীতে এবং হোমনা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। হোমনার আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টায় এ হামলা চালানো হয়। হামলা চলাকালীন সময়ে এম কে আনোয়ার বাড়ীতে ছিলেন, তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন। হামলা চলাকালে তার বাড়ীর গেইট ভেঙ্গে হামলাকারীরা ভিতরে ঢুকে দরজা জানালা এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় বাড়ীর কেয়ারটেকার বাবুল হোসেন আহত হয়।
হামলাকারীরা পরে হোমনা উপজেলা কার্যালয়ে হামলা করে এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় অফিসের কেয়ারটেকার আলেক মিয়া আহত হয়।
পুলিশ জানায় আজ শনিবার সকালে মোসলেম উদ্দিনের ছুড়িকাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধারের পর পর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা বিক্ষুব্দ হয়ে পড়ে। তারা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ ঘটনায় ওই রাতে মোসলেম উদ্দিনের সাথে থাকা স্বপন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
কে বা কারা তাকে হত্যা করে এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে।
এ ব্যাপারে এম কে আনোয়ার বলেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বাড়ীতে চামলা চালানো হয়। গেইট ভেঙ্গে হামলাকারীরা ভিতরে ঢুকে তার বাড়ীর দরজা জানালা ভাংচুর করে ও আসবাবপত্র তছনছ করে। তিনি এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ আবদুল মজিদকে দায়ী করেন। তিনি বলেন অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের সরাসরি নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
এম কে আনোয়ার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
এদিকে অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন বিএনপি নেতা কর্মীরা তাদের শীর্ষ নেতার নির্দেশে যুবলীগ নেতা মোসলেম উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত হাত আমার ছিলো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।