তারুণ্যের শক্তিতে জাগুক এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল যুদ্ধাপরাধী মামলার রায় নিয়ে বিএনপি কোনো মন্তব্য করে নি। আগের রায়গুলো নিয়েও বিএনপির কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া ছিল না। এবারো নাই। বিএনপি প্রতিক্রিয়া না দেখানোর মূল কারণ রাজনৈতিক না আদর্শিক সেটা বিবেচনার দাবী রাখে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে দাবীদার জিয়াউর রহমানের দল যুদ্ধাপরাধের পক্ষে থাকবে তাও আবার প্রকাশ্যে এটা মনে করা ঠিক নয় আবার যে জিয়াউর রহমান গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন কিংবা যার আশীর্বাদ ছাড়া খালেদা জিয়ার রাজণীতি হয় না তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল কথা বরা সেটাও অসম্ভব। অতএব ধরি মাছ না ছুই পানি এমন নীতিটাই বিএনপির জন্য নেওয়া স্বাভাবিক।
কিন্তু জলে নামবো গা ভেজাবো না এমন অবস্থানের কারণে যে দলের মধ্যে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা আছেন সেই দল যুদ্ধাপরাধীদের দোসরে পরিণত হচ্ছে। আর এই সুযোগে আওয়ামী লীগ পরিণত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্টে।
বিএনপির সমর্থকরা কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের বা যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদেরই পক্ষ নিয়ে ফেলেন।
মামলা নিয়ে কথা হতে পারে কিন্তু যুদ্ধাপরাধের পক্ষ নেওয়াটা বিএনপির সাজে না।
এক্সেত্রে বিএনপির উচিত নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা। তা না হলে জামাতের ফাদে পা দিয়ে বিএনপি নিজেও অপরাধীদের পক্ষ নিয়েছে এমন পারসেপশন তৈরী হলে তার ফলাফল তাকেই বহন করতে হবে। কারণ যে যতটুকু পানিতে নামবেন- ততটুকুই তো ভিজবেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।