:) ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ঠিক সকাল নয়টা বাজে
মা,আমার জুতো জোড়া পাচ্ছিনা তো খুঁজে!
জরুরী একটা মিটিং আছে,হয়ে যাচ্ছে দেরী,
জীবন সংগ্রামে যে পাড়ি দিতে হবে ব্যস্ততার ফেরী!
মিলি টা কোথায়? এখনও ঘুমাচ্ছে?
ভার্সিটি যায়নি আজ?
ভালো একটা বর খুঁজে,
তুলে দিতে হবে ওর হাত।
রমিজ চাচা ফোন করেছিল,
বাড়িতে গন্ডগোল!
অফিস থেকে ছুটিটা পেলেই
দিতে হবে দৌড়।
সংসারের এত ব্যস্ততা আর
টানা-পোড়েনের মাঝে,
একটি মানুষের কথা আজ
ভীষণ মনে পড়ে।
চার বছরের বি.এস.সি আর
এম.এস শেষে,
সংসারের সব দায়িত্ব
বুঝে নিয়েছি কাঁধে।
বাবা দেখো,তোমার ছেলে
হয়েছে আজ কত বড়!
আমার সব দায়িত্ব
পালন করছি তো ঠিক মত?
খুব তো বড় ছিলাম না,
যখন ছেড়ে গেলে
এত ভালোবেসেও তোমায়
পারিনি রাখতে ধরে!
বাবা,তুমি যেখানেই থাকো
অনেক ভালো থেকো।
চিন্তা করোনা,
দেখো আমি সবই সামলে নেবো।
মিলি টা এখনও বাচ্চা,
প্রায়ই তোমার জন্য কাঁদে!
সর্বংসহা মা টা’ও আমার,
মাঝে মাঝে অবুঝ হয়ে ওঠে।
তুমি বাবা মানুষটাই এমন
ভুলে থাকা দায়!
জীবনে চলার প্রতিটি মুহূর্তে
তোমাকে মনে পড়ে যায়।
শত ব্যস্ততার মাঝেও
নিজেকে শুন্য শুন্য লাগে।
মাথায় এখন হাত বুলিয়ে
কেউ সাহস দেয়না যে!
আর ক’টা দিন থেকে গেলে
হত কি এমন ক্ষতি?
কত কথা বলার ছিল,
আর বলা হল না বুঝি!
ব্যস্ততম দিনের শেষে,
রাত নেমে আসে।
তোমায় খুঁজে যাই আমি,
সহস্র তারার মাঝে!
‘বাবা,তুমি কেমন আছ?
শুনতে পাচ্ছ কি?
বাবা,তোমায় আমি,
বড্ড বেশি ভালোবাসি!’
এই কবিতা টি আমি সেসব সন্তানদের উৎসর্গ করছি,যাদের বাবা আজ তাদের থেকে অনেক অনেক দূরে... ‘বাবা,তোমাকে ভালোবাসি। ’
লিখেছেন- আমার বন্ধু দুঃখিনী রাজকন্যা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।