হেফাজতিদের উত্থানের কারণ নিয়ে গতকাল ফেইসবুকে একটা নীরিহ স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম তাতেই আবেগাক্রান্ত হয়ে একজন একটি বিশাল মন্তব্য লিখেছেন। তার ম্নতব্যের জবাবটা ব্লগে শেয়ার ক্রেছিলাম। সকাল থেকে সেটি পাচ্ছি না। বুঝলাম না গেল কই। সেই পাতায় গেলে এরকম একটা লেখা আসে "এটি আসল ব্লগ নয়, আপনাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই আসল পাতায় নিয়ে যাওয়া হবে।
কিন্তুকিছুক্ষণ আর শেষ হয় না।
তাই আবার দিলাম
আমার স্ট্যাটাস
শাহাবাগীদের কিছু ভুলের জন্যেই হেফাজতের উত্থান। বাঙালি ধর্মান্ধ নয় ধরম্ভীরু। শাবাগীরা বাঙালি মুসলমানের চরিতের এই দিকটা বিবেচনায় আনেনি। রাজপথের এই মানুষ গুলোর খুব বেশি চাওয়া পাওয়া নেই।
ধর্ম গরীবের আশ্রয় আর রাজনীতিকদের মুখোস।
মন্তব্যের জবাব
আবেগ জীবনের বাইরের কিছু নয়। নতুন প্রজন্মের আবেগ বেশি হতেই পারে। আবেগের আধিক্যের কাছে যুক্তি অচল। তবে মনের কথা বলে ফেলা মনে মনে গালি দেবার চেয়ে অনেক ভালো।
নতুন প্রজন্মের অনেক ভালো দিকের মধ্যে এই দিকটা একটি। এখন দেখা যাক আমার স্ট্যাটাসের পিঠে আপনার মতব্যের অসঙ্গতি কত খানি। আমি বলেছি হেফাজতের উত্থানের কারন শাহাবাগীদের কিছু ভুল। কথাটা আপনি মেনে নিয়েছেন। আপনি জামায়াত, আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রসংগ তুলেছেন আমি তুলিনি।
আমরা যুদ্ধের মধ্যে বড় হয়েছি জামায়াতকে ঘৃণা করা শিখতে শিখতে। হেফাজতি যে কারণে জন সমর্থন পেয়েছে সে বিষয়টি শাহাবাগীদের ক্ষতিয়ে দেখা উচিত ছিল। আমি আবার বলছি বাঙালি ধর্মান্ধ নয়। রাজীবের মৃত্যুর পর তার ব্লগের ব্যাপারে শাহবাগীদের কথা বার্তা, আকাশে কী দেখা যায় ! রাজীব দেখা যায়, আমরা সবাই রাজীব হব ইত্যাদি, ধর্ম কারি সহ অন্যান্য ব্লগের প্রচারণা, এবং সরকারি দলের রাজীব কে শহীদ ঘোষণা করা সব মিলিয়ে ধর্ম ভীরূ গরীব মানুষদের মনে হয়েছে তাদের শেষ আশ্রয় টুকু কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এই কনফিউজড সময়ে হেফাজতিরা উঠে এসেছে।
বাঙালি মুসলমানের মনে হয়েছে এত দিনে কেউ এলো যারা তাদের ধর্ম কে রক্ষা করতে পারবে। রাজীবের মত মৃত্যু কারও কাম্য নয়। তবে যারা রাজীবের মৃত্যুকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে গিয়ে একটি চলমান আন্দোলনকে পিছনে ঠেলে দিলো তাদের হঠকারীতের জন্যে আপনাদের কিছু মনে হয় না?
হেফাজতের মিছিলে, সভা সমিতিতে যে অগণিত মানুষকে গত কয়েকদিন যাবত দেখা যাচ্ছে তারা কী সবাই রাজাকার, ধর্মান্ধ? তাদের ১৩ দফার সবটাই কি জনমতকে উপেক্ষা করে?
যদি তাই হত তাহলে ইমরানকে তার মুসলমানিত্তব জাহির করার জন্যে নামাজের কথা বলতে হত না। আমি এবং আমার মত শাহাবাগে যাওয়া অনেকের কাছেই শাবাগের ভুল ভ্রান্তি চোখে পড়েছে। ইমরানের কর্ম সূচী ঘোষণার সময় পাশ থেকে প্রম্পট করা (এই জায়াগায় আবেগ দিয়া বলেন) বাক্যও টেলিভিশনের পর্দায় এসেছে।
ইমরান যেদিন প্রথমবার আন্দোলন সংক্ষিপ্ত করার ঘোষণা দেয় সেদিন জনতাই তাকে মঞ্চ থেকে এক প্রকার নামিয়ে দিয়েছিলো। কারণ জনগণের শাহাবগের উপর আস্থা ছিলো। রাজীবের মৃত্যুর আগে আজানের সময় মাইক বন্ধ থাকতো, রাজীবের মৃত্যুর পর প্রথম দুই দিন আজানের শব্দ মিলিয়ে গিয়েছিলো শ্লোগানের আওয়াজে। মনে করার চেষ্টা করে দেখেন। হেফাজতের উত্থনা এই সব কারনেই।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথা আপনি যখন এনেছেন তখন বলি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। নব্বইএর আন্দোলনে রাজপথে কম দিন কাটেনি। কটি হত্যাকান্ড ঘটেছিলো পুলিশের হাতে?
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মারসিনারি নয়। তারা এদেশের সন্তান, আপনার আমার ভাইবোন, তদের কর্মকাণ্ডের উপর যত আস্থা রাখা যায় ততই ভালো। তবে ত্রা যখন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিপীড়নে নামে তখন মানূষের আবেগ কী বাঁধ মানে?
তবে একথা মানি এক একটি ভয়াবহ ঘটনা তার চেয়ে ভয়া বহ ঘটনায় ঢেকে যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।