ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না দাওয়াতে তাবলীগে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর হিজরত পূর্ববর্তী মক্কার ১০ বছর জীবনের উপর হাইলাইট করা হয়, উনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে কতটা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এগুলো বলা হয়. এই বিষয়ক কুরআনের আয়াত এবং হাদীসের সংকলন মাওলানা জোবায়ের সাহেব সহ অন্যান্যদের বই পড়ে বাংলাদেশের মুসুল্লীরা প্রভাবিত হয়ে ঘরে বিবির সহিত আরাম আয়েশ বাদ দিয়ে মসজিদে মসজিদে ৩ দিন, চিল্লা (৪০ দিন), সাল (১ বছর) লাগায়. জামাত শিবির হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর মদীনায় হিজরত পরবর্তী ১৩ বছরের জীবনের উপর হাইলাইট করে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্হার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়, এজন্য দেখা যায় কেউ শিবিরের কর্মী/সাথী প্রার্থী/ সাথী হতে গেলে তাকে এই রিলেটেড কুরআনের আয়াত এবং হাদীস মুখস্ত করতে হয়. এগুলোতে উজ্জীবিত হয়ে তারা তাদের নেতাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাজপথে লড়াই করে হতাহত হচ্ছে. ধর্মের মারফতী বিষয়ক আলোচনা মাথায় ঢুকিয়ে দিলে অনেক ছেলেই স্বাভাবিক জীবন বাদ দিয়ে বাউল সেজে গান-বাজনা, জিকির আজগার নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়, এদের ঘর সংসারে মন থাকে না. কুরআন-হাদীসের বেশ কিছু লাইন আছে যেগুলোর আগে পিছে কেটে দিয়ে শুধু নির্দিষ্ট অংশ বলে মানুষকে ব্রেন ওয়াশ করে দেওয়া যায়, যেটা করেছিল বাংলা ভাই- শায়খ রহমান; এগুলোতে উজ্জীবিত হয়ে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় কিছু ছেলে সুইসাইড বোম্ব অ্যাটাক করেছে. হেফাজতিদের উপর যেটা ঘটেছে তার ফটো-ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সবচেয়ে বড়কথা ভিকটিমদের মুখের কথা এক কান থেকে অন্য কানে যাচ্ছে. সময় এখনও ফুরিয়ে যায় নি, এদেরকে সুন্দর করে বোঝাতে হবে; যদি আমরা এদেরকে শান্ত রাখতে ব্যর্থ হই তাহলে হয়ত কেউ তার নিজের হীনস্বার্থে এদের ব্যবহার করবে/ অন্যদের প্রভাবিত করে সর্বনাশা পথে ঠেলে দিবে. আর এসবের জন্য যে/যারাই দায়ী হোক মাশুল সবাইকেই গুনতে হবে.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।