হেফাজতিদের আহ্বান জানায়, মূর্তি নিয়ে আপনাদের তো খুব এলার্জি। আসেন এই ভাবের মূর্তিটারে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন আমরাও আপনাদের সাথে আছি..
ভাবমূর্তি
গার্মেন্ট মালিকদের কিছু কওন যাইব না। স্পেকট্রাম, তাজরিন, সাভার নিয়ে মিডিয়াকেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে। এইসব জানলে মুখ ফিরিয়ে নেবে বায়াররা। সর্বোচ্চ ফরেন কারেন্সি আয়কারী সেক্টরে ধ্বস নামব।
৪০ লাখ শ্রমদাস বেকার হবে। বিজিএমইএ দ্যাশের ভাবমূর্তি লইয়া খুইব চিন্তিত
শরীরিমূর্তি
ইউরোপ আমেরিকার সাধারণ মানুষ সাভার ট্রাজেডিতে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত। তারা বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোকে ধিক্কার জানাচ্ছে এই বলে যে, কেন শ্রমিকদের জন্য কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে গার্মেন্ট মালিকদের চাপ দেয় না তারা। শ্রম অধিকার সংরক্ষণ না করেল সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টকে অর্ডার না দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি এটিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গার্মেন্ট নির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ থেকে ক্রেতা সরে গেলে দেশটি সত্যিকার অর্থেই বিপদে পড়বে, যা কোনোভাবেই মানবিকবোধ থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যারা আমাদের ভাই-বোনদের বানানো পোশাক পরে ফ্যাশন সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠেন, তাদের এই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি সহমত পোষণ করছি।
ভাবমূর্তির গুষ্টি কিলাই
কার কী হয়, জানি না। শুধু জানি রক্তে ভেজা সস্তা শ্রম বেচে এ দেশের গার্মেন্ট বেনিয়ারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এসব টাকা থাকে কোটি টাকার বিলাসি গাড়িতে-বাড়িতে, সুইস ব্যাংকের নিরাপদ আশ্রমে। এ বেনিয়ারা যখন ভাবমূর্তির অযুহাত নিয়ে আসে তখন আমি হেফাজতিদের আহ্বান জানায়, মূর্তি নিয়ে আপনাদের তো খুব এলার্জি।
আসেন এই ভাবের মূর্তিটারে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন আমরাও আপনাদের সাথে আছি.. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।