অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া! ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-১
ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-২
ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-৩
ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-৪
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে টিকে থাকার শর্ত হলো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ পাওয়া। আমরা আগেই দেখেছি পুরোনো এবং ভাল কাজের সফলতা হচ্ছে সুখী ক্লায়েন্টরা অন্যদের কাছে রেফার করে। ২০০৭ সালের সঙ্গে ২০১০ এর সার্ভের একটা পার্থক্য অবশ্য দেখা যাচ্ছে মার্কেটিং ও সংযোগের বেলায়। দেখা যাচ্ছে নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকা এবং সামাজিক মিডিয়াগুলোতে তৎপর থাকতে পারলে ানেক কাজ পাওয়া যায়।
এই পর্বে আমরা কয়েকটি বিষয় একটু পর্যালোচনা করে দেখি
• বর্তমান এবং পুরোনো ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা
• একটি চমৎকার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বানানো। এটির লক্ষ্য হবে যারা ফ্রিল্যান্সার খুজছে তারা যেন চট করে তোমার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে
• সামাজিক মিডিয়াতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত ব্যাপারের সমন্বয় করা
• সম্ভাব্য এবং পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের খুজে বের করা।
মার্কেটিং ইজ নট ইয়োর এনিমি...
প্রায় সফল একজন ফ্রিল্যান্সারেরও এমনটা হতে পারে যে তার নিয়মিত ক্লায়েন্টদের হাতে কোন কাজ নাই। (আমি বাংলাদেশের একজনকে চিনি যার কিনা কোটি টাকার বিলসহ দুবাই এর একজন ক্লায়েন্ট হাওযা হয়ে গিয়েছিল রিসেশনের সময়)। তখন তোমাকে নতুন কাজ খুজতে হবে, খুজতে হবে নতুন ক্লায়েন্ট।
স্কোয়ার রুট ওয়ান আ কি!
বলা যায়, নতুন নতুন কাজের আর ক্লায়েন্টের লিডস তৈরি করতে পারাটা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই জরুরী। এমন কি যকন তাদের কাজ থাকে তখনো। এ ব্যাপার এড গানিযার কথা – “বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হল – চৌকষএবং ধারাবাহিক স্ব-প্রচারণা। এমনকি যখন অনেক কাজ থাকে তখনও। যখন কাজ থাকবে না তখনতো বটে, এমনকি যখন কাজ থাকবে তখনও মার্কেটিং-এর দরকার।
কারণ তাতে ভাল ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেভাবে কাজ হলে তো বাইরের জন্য আরো সময় পাওয়া যা্বে। স্মার্ট আর ধারাবাহিক মার্কেটিং অনেক সুফল বয়ে আনতে পারে। যখন বাড়তি কাজের দরকার নাই তখনও মার্কেটিং করা যেতে পারে। ”
এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন – স্মার্ট আর কনসিস্টেন্ট মার্কেটিং মানে কী?
...ডু লেস মার্কেটিং, মোর এনগেজমেন্ট!!!
বড় প্রশ্নের পর্বে আমরা দেখেছি বেশিরভাগ কাজ পাওয়া যাচ্ছে সুখী ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে।
তবে, এটা ঠিক যে, বেশিরভাগক্লায়েন্টের কাজে নতুন কাজের খবর থাকলেও তারা কেন আপনাকে রেপার করবে? কেন বা আপনাকে মনে রাখবে? এই প্রশ্নগুলোর জবাব থাকা দরকার। কারণ বেশিরভাগ লোকেরই খেয়ে দেয়ে অন্য কাজ থাকে, আমার মার্কেটিং তারা কেন করবে?
তারমানে হল আমার হ্যাপি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে আমার একটা ভাল যোগাযোগ থাকতে হবে, সখ্যতা থাকতে হবে, আমার নতুন কোন দক্ষতার খবর তাদের জনাতে হবে। এগুলো কেমন করে করা যেতে পারে
• তারা যদি রাজী থাকে তাহলে তাদের ই-মেইল দেওয়া
• নতুন ক্লায়েন্ট দিরে তাকে ডিসকাউন্ট বা বোনাস দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া। যেমন অমুকরে যদি আমার ক্লায়েন্ট বানায় দাও তাহলে তোমার পরের প্রজেক্টটা আমি৫০% এ করে দেবো!
• ধন্যবাদ ই-মেইল এবং সিজনাল কার্ড পাঠানো। ক্রিসমাসে কার্ড পাঠান, জন্মদিনেও পাঠাতে পারেন!
তবে এতকিছু করেও নতুন সুযোগ পাওয়া নাও যেতে পারে।
তখন হতাশ হওয়ার কিছু নাই। কারণ দেখা যাচ্ছে পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে নতুন কাজ পাওয়া যায়।
নিজের পোর্টফোলিও উন্নত কর
জন লেসেটার কথা মনে আছে? পিক্সার কোম্পানির প্রধান সৃজনশীল কর্মকর্তা। এক লাইনে তার পরামর্শ – যে কোন সৃজনশীল শিল্পে কোযালিটি হলো একমাত্র বিজনেস প্ল্যান যা শেষ বিচারে টিকে থাকে। তুমি যদি বাল কাজ করো, তাহলেই একমাত্র তুমি টিকে থাকতে পারবে।
তুমি মানো বা না মানো, বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট বা হায়ারিং অথরিটি প্রচ্ছদ দেখে বই কিনে থাকে। এই বই-এর লেখকের মাঝে মধ্যে নতুন গ্রাফিক ডিজাইনার লাগে। তিনি সিভি পড়ার সময় পান না। পড়েন কভার লেটার বা ই-মেইলে যেখানে খুব পরিস্কার করে নিজের সম্পর্কে বলা থাকে। যারা সেটা পারে না তাদেরটা বাদ।
এর পর তিনি মাত্র ১৫ সেকেন্ড সময় দেন একটা পোর্টফোলিও দেখার কাজে।
শুরুতে পোর্টফোলিও সাইটে ঢুকে আমি তোমার একটা বা দুইটা ইন্টারেস্টেড লিংকে ক্লিক করবো্আমাকে তোমার ইমপ্রেস করতে হবে এর মধ্যে। কারণ এখন আমার তোমার এবাউট মি বা টেস্টিমোনিয়াল পড়ার সময় নাই। সাকুল্যে ১৫ সেকেন্ড!
কাজে সবসময় নিজের ওয়েবসাইট রিভিউ করতে হবে। কারণ ঐটা তোমার দরজা, তোমার জানালা সবই।
কয়েকটি টিপস
• কোয়ালিটি, কোয়ানটিটি নয়- দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের ঝুড়িতে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ হয়। ফলে, কাজের বৈচিত্রও বাড়ে। অনেকে তাদের এই বৈচিত্র বোঝানোর জন্য সব কাজের রিস্ট দিয়ে দেয়। এটি মোটেই টিক নয়। আপনি যদি কখনো কোন ফরচুন ৫০০ কোম্পানির কাজ করে থাকেন, তাহলে কেবল সেটিই উল্লেখ করেন।
জামাল খান করেজের ওয়েবসাইট বানানোর ব্যাপারটা তখন উল্লেখ না করায় ভাল। নিজের সব জিনিষ বলার ব্যাপারে সংযুত হতেহবে। কেবর ভাল কাজগুলোর কথাই বলতে হবে।
• নিজের ক্ষেত্র সম্পর্কে ভাল জান- একজন ওয়েব ডিজাইনার বা প্রাফিকস ডিজাইনের বেলায় যা সত্য তা কিন্তুসবার বেলাতেই সত্য। ওযেব ডিজাইনারের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই তার কাজের তুল্য হতে হবে।
যে তোমাকে হায়ার করবে সে তোমার সাইটটা দেকে যেন বুঝতে পারে তুমি এলিগ্যান্ট, সিম্পল আর ফ্যানটাসটিক পেশাদার সাইট বানাতে পারো। তোমার সাইটের বিভিন্ন দিকে যদি ইদুর দৌড়াদৌড়ি করে তাহল তার যা বোঝার সে বুজে নেবে। একইভাবে গ্রাফিকস ডিজাইনের বেলায়ও সাইট দিয়েই বোজানো যাবে। নিজের দিকে খেযাল করো। কী করলে তুমি তোমাকে হায়ার করতে? সেটি করো নিজের সাইটে।
• জীবনের চিহ্ন দেখাও – প্রকাশ করো যে তুমি প্রতিনিযত আপডেট হচ্ছো, তোমার দক্ষতা বাড়ছে। মনে হতে পারে এটি প্রথম টিপসের বিরুদ্ধে। আসরে তা নয়। কারণ, তুমি যে নতুন কাজগুলো করছো, তুমি যে থেমে নেই সেটা তোমার হবু ক্লায়েন্টকে দেখাতে হবে। কাজে নিয়মিত হালনাগাদ করো, কিছু পুরোনো কাজ বাদ দাও।
নতুন কিছু এড করো। “last updated three years back” কোনভাবেই ভাল কিছু প্রকাশ করে না।
পোর্টফোলিও রিসোর্স
ইন্টারনেটে অনেক রিসোর্স আছে যা দিয়ে তোমার পোর্ট ফোলিওকে তুমি যাচাই করতে পারো। অনেক সাইট আছে যেখানে বিভিন্ন পোর্টফোলিও দেখা যায়, তুলনা করা যায়। এমন একটা সাইট
বাকী থাকলো ফেসবুক, টুইটার।
সেটা পরের পর্বে।
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
আর্জেন্টিনা থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।