বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ ইতিহাসের আলোকে সুফিবাদ- এর পর্যালোচনা করছি। গত পর্ব দুটিতে আমরা দেখেছি যে আরবে ইসলামের অভ্যূদয়ের কিছুকাল পরেই সুফিবাদের উদ্ভব ঘটেছিল । এই মতবাদের উদ্ভবের প্রাথমিক কারণটি ছিল রাজতান্ত্রিক ভোগবিলাস এবং অপচয়ের বিরুদ্ধে পশমী পোশাক পরা একদল সংসার-অনাসক্ত ,আল্লাহভক্ত এবং সৎ লোকের প্রতিবাদ-বিদ্রোহ।
পরবর্তীতে কোরান শরিফের বিশেষ কিছু আয়াতের ব্যাখ্যা বয়ানের ফলে সুফি চিন্তা কিছু বৈশিষ্ট্য লাভ করে এবং সুফিবাদে সর্বেশ্বরবাদী ধারণার প্রাথমিক স্ফূরণ লক্ষ্য করা যায়। আরবের বাইরে ইসলামের সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সুফি মতবাদও মিশর থেকে তুর্কিস্থন অবধি ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় মরমি মতবাদের প্রভাবে সুফি-ভাবনা পরিবর্তিত হয়। তবে সুফিচিন্তার আমূল পরর্বতন ঘটে পারস্যে। পারস্যবাসীর আর্য ধ্যানধারণা সুফিবাদে পরিব্যপ্ত হয়। সুফিচিন্তা সর্বেশ্বরবাদী ধ্যানধারণায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
সে যা হোক। এই পর্বের বিষয় ভারতবর্ষে সুফিবাদের প্রাথমিক ইতিহাস।
আনুমানিক খ্রিস্টীয় একাদশ শতক থেকে ভারতবর্ষে সুফিদের প্রভাব পড়তে থাকে। ভরতবর্ষে ভ্রাম্যমান সুফি দের লক্ষ করা যায় । যদিও তাদের সংখ্যা ছিল অল্প।
এর এক কারণ হয়তো ওই সময়ে গজনীর সুলতান মাহমুদ একের পর এক ভারত আক্রমন করছিলেন। সম্ভবত ভারতবর্ষের অধিবাসী পশ্চিমাঞ্চলীয় মুসলিমদের প্রতি hostile (বৈরী) ছিল। তবে প্রথমে ভারতবর্ষে সুফি মতবাদ নিয়ে কে এসেছিলেন তা বলা মুশকিল। তবে এই প্রসঙ্গে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা হলেন শাহ সুলতান রুমিসৈয়দ নথর শাহ এবং দাতা গনজ বখশ।
শাহ সুলতান রুমি : ইনি গুরুর সঙ্গে বাংলায় এসেছিলেন। গুরুর নাম সৈয়দ শাহ সুরখ খুল অনতিয়হ । সময়টা ১০৫৩ সন । ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনার মদনপুরে এই বিশিষ্ট সুফিসাধকের কবর ও দরগাহ রয়েছে। সৈয়দ নথর শাহ: ইনি ইসর্বপ্রথম দক্ষিণ ভারতে সুফি মতবাদ পৌঁছে দেন।
তাঁর দরগাটি চেন্নাই (মাদ্রাজের ) ত্রিচিনপল্লীতে অবস্থিত। ১০৩৯ খ্রিস্টাব্দে এই সাধক ইন্তেকাল করেন। দাতা গনজ বখশ এর মাজারটি লাহোরে। ইনি ১০৭২ সনে ইন্তেকাল করেন।
সে যাই হোক।
দ্বাদশ শতক থেকে ভারতবর্ষে নিয়মিত সুফি প্রভাব পড়তে থাকে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক এবং ইসলামি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল হাসান আলি নদভি ভারত বর্ষে (১০-১২ শতকে)সুফি সাধকসহ অন্যান্য ইসলামী অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আগমনের কারণ হিসেবে লিখেন, মধ্যপ্রাচ্যে তাতারিদের আক্রমণ। এর ফলে অনেক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার ভারতবর্ষে চলে আসেন।
ওই সময়টায় অর্থাৎ দ্বাদশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলমানদের রাজনৈতিক প্রভাবও বাড়ছিল। দ্বাদশ শতক থেকেই ভারতবর্ষের নানা জায়গায় সুফিকেন্দ্র গড়ে উঠতে থাকে।
ড.মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইয়ে লিখেছেন: ‘স্বূফী সম্প্রদায়ের পর স্বূফী সম্প্রদায়, ভারতে আগমন করিতে থাকে এবং তাঁহাদের শিষ্য প্রশিষ্যেরা ভারতের নানা স্থান ও জনপদে ছড়াইয়া পড়িতে থাকেন। অচিরকাল মধ্যেই আসমুদ্র হিমাচল ভারতের সর্বত্রই, স্বূফী-প্রভাবের অবারিত স্রোত খরগতিতে প্রবাহিত হইয়া যায়। ’ (পৃষ্ঠা, ৩৯)
এই সময়ে যে সকল সম্প্রদায় ভারতে আসেন, তাঁহাদের মধ্যে চিশতীয়া ও সুরওয়ার্দী সম্প্রদায়ই প্রধান। চিশতীয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ভারতবিখ্যাত সাধক খাজা মইনুদ্দীন চিশতী। এই বিশিষ্ট সুফিসাধক আফগানিস্তানের দক্ষিণে সনজিরসতানে ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।
১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে তিনি দিল্লি যান তারপর আজমীর আসেন।
এবার ওই সময়কার ভারতবর্ষের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটি সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
গজনী সাম্রাজ্যের অবস্থান ছিল ভারতবর্ষের পশ্চিমে। নবম/দশক শতকে গজনী রাজ্যটি শাসন করত তুর্কি মুসলিমরা। রাজ্যটির বিস্তার ছিল বর্তমানের আফগানিস্তান থেকে ইরানের পূর্ব সীমান্ত অবধি।
সে যাই হোক। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনীর সিংহাসনে আরোহন করেন। এরপর তিনি ভারত অভিযানের প্রস্তুতি নেন। সুলতান মাহমুদ ১০০০ খ্রিস্টীব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সতেরো বার ভারবর্ষ আক্রমন করেন। ষাট বছর বয়েসে ১০৩০ খ্রিস্টাব্দে গজনীতে সুলতান মাহমুদের মৃত্যু হয়।
ঐতিহাসিক এ কে এম আবদুল আলীম লিখেছেন, ‘সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনী সাম্রাজ্য নিষ্প্রভ হইয়া পড়ে। ’ (দ্র: ভারতে মুসলিম রাজত্বের ইতিহাস; পৃষ্ঠা ২৯) গজনী সাম্রাজ্যের নির্জীবিতার প্রধান কারণ তাঁর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ ছিল না। সিংহাসন নিয়ে অর্ন্তদ্বন্দও চলছিল। গজনী সাম্রাজ্যের অর্ন্তদ্বন্দের ফলে ঘুর রাজ্যটি আগ্রাসী হয়ে ওঠে এবং গজনী দখল করে নেয়। ঘুর রাজ্যটি ছিল গজনী এবং হিরাট এর মাঝখানে।
কোনও কোনও ঐতিহাসিকের মতে, ঘুরিরা ছিল পূর্বাঞ্চলীয় পারসিক জাতি। ( দি কেমব্রিজ হিষ্ট্রি অভ ইন্ডিয়া। তৃতীয় খন্ড। পৃষ্ঠা, ২৭)। সে যাই হোক।
ঘর সাম্রাজ্যের কাছে গজনীর পতনের পর ঘুর রাজ্যের শিহাব উদ্দীন মুইযউদ্দীন মুহম্মদ বিন সাম গজনীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন । ইনিই ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুহম্মদ ঘুরী নামে বিশেষভাবে পরিচিত। মুহম্মদ ঘুরী উচ্চভিলাষী ছিলেন। তিনি ১১৭৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমন করেন। তৎকালীন আজমীরের অধিপতি ছিলেন রাজা পৃথ্বীরাজ।
তাঁর নেতৃত্বে রাজপুত শক্তি অগ্রসরমার মুহম্মদ ঘুরীর সামনে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে রাজা পৃথ্বীরাজ সঙ্গে সুলতান মুহম্মদ ঘুরীর তরাইনের রণক্ষেত্রে ভয়ানক এক যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। এই যুদ্ধে অবশ্য মুহম্মদ ঘুরী পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু, পরের বছরই অর্থাৎ, ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে রাজা পৃথ্বীরাজ মুহম্মদ ঘুরীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম সৈন্যবাহিনীর কাছে পরাজিত ও নিহত হন। তরাইনের ২য় যুদ্ধটি ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
তরাইনের ২য় যুদ্ধটি জয়ের ফলে উত্তর ভারত তুর্কি মুসলিমদের অধিকারে আসল। মুহম্মদ ঘুরীর সেনাপতি ছিলেন কুতুবউদ্দীন আইবক। তাঁকেই বিজিত রাজ্যের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে মুহম্মদ ঘুরী গজনীতে ফিরে যান। এখানেই বলে রাখি যে পরবর্তী কালে ইখতিয়ারউদ্দীন মহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী নদীয়া বিজয় বঙ্গে সুফিবাদের পথ প্রশস্ত করেছিল। ইখতিয়ারউদ্দীন মহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী তুর্কি ছিলেন।
তাঁর জন্ম আফগানিস্থানের গরমসীর (বর্তমান দশত-ই-মার্গ) প্রদেশে। বখতিয়ার খলজী দিল্লির শাসনকর্তা কুতুবউদ্দীন আইবক সুনজরে পড়েছিলেন। ‘এবং বিশেষভাবে খলজী সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে তিনি একটি সেনাবাহিনী গঠন করেন। ’ (ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান। বাংলার ইতিহাস (১২০৪-১৭৬৫); পৃষ্ঠা; ৭৫) এই সৈন্যবাহিনী নিয়ে বখতিয়ার খলজী নদীয়া (বঙ্গ) আক্রমন করেছিলেন।
সে যাই হোক। তখন একবার উল্লেখ করেছিলাম যে, চিশতীয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ভারতবিখ্যাত সাধক খাজা মইনুদ্দীন চিশতী ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে তিনি দিল্লি যান তারপর আজমীর আসেন। অর্থাৎ তিনি আজমীর আসেন তরাইনের ২য় যুদ্ধের পর। যে কারণে বলা যায়, খাজা মইনুদ্দীন চিশতীর ভারত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তরাইনের যুদ্ধ যেমন একটি যুগান্তকারী ঘটনা, তেমনি খাজা মইনুদ্দীন চিশতীর ভারত আগমন সুফিবাদের প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
এ প্রসঙ্গে ড.মুহম্মদ এনামুল হক মন্তব্য করেছেন, ‘চিশতী সাহেব ভারতে হিন্দু-স্বাধীনতা অবসানের ও নবীন রাজশক্তির সহিত নূতন এক ভাবধারা প্রবর্ত্তনের অগ্রদূত। ’ (বঙ্গে স্বূফী প্রভাব; পৃষ্ঠা,৪০ ) খাজা মইনুদ্দীন চিশতী ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মার্চ আজমীরে দেহত্যাগ করেন।
চিশতীয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষে সুরওয়ার্দী সম্প্রদায় প্রবেশ করে। সুরওয়ার্দী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ বাহাউদ্দীন ধকরিয়া মুলতানী। এই সুফিসাধক ১১৬৯ খ্রিস্টাব্দে মুলতানে জন্ম গ্রহন করেন এবং মুলতানেই ১২৬৬ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর পরলোক গমন করেন।
এর কিছুকালের মধ্যেই তাঁর শিষ্যগণ ভারতবর্ষের নানাস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এই শিষ্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় চিশতীয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সুরওয়ার্দী সম্প্রদায়ও ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠালাভ করে।
চিশতীয়া এবং সুরওয়ার্দী সম্প্রদায়ের পর কয়েক শতাব্দী অবধি ভারতবর্ষে আর কোনও সুফি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল কিনা সে বিষয়ে তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ড.মুহম্মদ এনামুল হক এ বিষয়ে লিখেছেন: ‘সম্ভবতঃ ত্রয়োদশ হইতে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ভারতে আর কোনও নূতন স্বূফী সম্প্রদায় আগমন করেন নাই। ’ (বঙ্গে স্বূফী প্রভাব; পৃষ্ঠা,৪০ ) ওই সময়ের মধ্যে অর্র্থাৎ দুশো বছরে চিশতীয়া এবং সুরওয়ার্দী সম্প্রদায় দুটি ভারতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং মতবাদ ভারতবর্ষের জনগণ কাছে সমাদর লাভ করে।
সুতরাং, সুফিবাদ ভারতবর্ষের মাটিতে মজবুত একটি ভিত্তি পায়।
ওই সময়ে একটি নতুন তরিকা (সম্প্রদায়) ভারতবর্ষে বিকাশ লাভ করে। এই সম্প্রদায়ের নাম কাদেরীয়া। এই নতুন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা ছিলেন সৈয়দ আবদুল কাদির। ইনি ১০৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদের জীলান নামক স্থানে জন্মগ্রহন করেন।
এই কারণে এই সুধি সাধক আবদুল কাদির জীলানী নামে পরিচিত। আবদুল কাদির জীলানী ছিলেন পন্ডিত, সুবক্তা এবং একজন জগদ্বিখ্যাত সাধক; ইনি ১১৬৬ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন। আবদুল কাদির জীলানী ভারতীয় উপমহাদেশে অত্যন্ত সুপরিচিত হলেও কখনও ইনি ভারতবর্ষে আসেন নি। তাঁর এক বংশধর সৈয়দ মুহাম্মদ ঘৌথ গীলানী ১৪৮২ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসেন ও কাদেরিয়া সম্প্রদারের ভিত স্থাপন করেন। সৈয়দ মুহাম্মদ ঘৌথ গীলানী উত্তরভারতে রাজপুতনার উছ নগরে সুফিকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন।
ইনি ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভারতবর্ষে আরও একটি স্বূফী সম্প্রদায় প্রবেশ করে। এই সম্প্রদায় নকশাবন্দী সম্প্রদায় নামে পরিচিত। এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তুর্কীস্থানের খাজা বাহাউদ্দীন নক্বশ বনদ। ইনি ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতবর্ষে নকশাবন্দী সম্প্রদায়ের আদিগুরুর নাম: খাজা মুহাম্মদ বাক্বী বিল্লাহ । তিনিই তুর্কিস্থান থেকে নকশাবন্দী সম্প্রদায়ের মতবাদ ভারতবর্ষে নিয়ে আসেন। খাজা মুহাম্মদ বাক্বী বিল্লাহ ১৬০৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে মৃত্যুবরণ করেন।
চলবে ...
ড.মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটি ছাড়াও এই পর্বে সহায়ক গ্রন্থাবলী:
এ কে এম আবদুল আলীম; ভারতে মুসলিম রাজত্বের ইতিহাস (মওলা ব্রাদার্স;২০১১)
ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান। বাংলার ইতিহাস (১২০৪-১৭৬৫) (অনন্যা প্রকাশনী; ২০০৯)
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক
Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।