আমি নিজের মাঝে খুজে পেতে চাই আমার আমাকে। যেতে চাই বহুদূর। বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দুিটই কমেছে। বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত দারিদ্র্য মূল্যায়ন প্রতিবেদনে (পভার্টি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট) এই তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, গত এক দশকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দরিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক এই প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহান্স জাট বলেন, নানা প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে এক কোটি ৬০ লাখ। কমেছে বৈষম্যও। এই অর্জন উল্লেখযোগ্য ও বিরল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর এক দশমিক সাত শতাংশ হারে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমছে।
২০০০ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৭০ লাখ। ২০০৫ সালে এ সংখ্যা হয় সাড়ে পাঁচ কোটি। ২০১০ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল চার কোটি ৭০ লাখ।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই সমীক্ষা অত্যন্ত খুশির। শুধু টাকা-পয়সা নয়, বিশ্বব্যাংক নানা সমীক্ষা করেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও গত চার বছরে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য কৃষি, মত্স্য ও প্রাণীসম্পদ খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এটা অতটা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ১৫ কোটি মানুষের যে বাংলাদেশ, সেখানে সবকিছুর প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা থেকে। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চিন্তা করতে হবে কী করে স্থায়ী ভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায়, তা চিন্তা করতে হবে।
যদি তা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার আরও বাড়বে ।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম প্রমুখ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।