আড্ডা হোক দীর্ঘজীবি, বন্ধুত্ব হোক চিরঞ্জীব সাম্প্রতিক সময় সূর্যসেন হল থেকে ৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অপরাধ ছিল লাদেন গুহা নামক ক্যান্টিন ভাংচুর করা হয়েছে। তাদের দাবি, ক্যান্টিনে পঁচা খাবার দেওয়া বন্ধ করা হোক। যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র। কোন এক ছাত্র নেতার আদেশে তারা কাজটি করেছে।
এজন্য তারা অনুতপ্ত বটে।
ক্যান্টিনে ভাল খাবারের দাবি একজন ছাত্র করতেই পারে। হ্যাঁ, ভাংচুর করে অবশ্যই তারা অপরাধ করেছে তাই বলে এত বড় শাস্তি? এক বছরের জন্য স্হায়ীভাবে বহিষ্কার!!! হয়ত জরিমানা করতে পারত প্রশাসন। কিছু জীবন নষ্ট হয়েছে, এ আর কি? প্রশাসনের কাছে এমন কিছুই না।
ইয়াবা ব্যবসায়ী ছাত্রকে জামিনে ছাড়িয়ে আনতে কষ্ট হয় না প্রশাসনের, এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্মান ক্ষুন্ন হয় না! বিদেশী নাগরিককে হলে আটকে রেখে মুক্তিপন দাবি করলে সম্মান ক্ষুন্ন হয় না! একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে মুক্তিপনের লোভে হলে দু'দিন ধরে আটকে রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট হয় না! শিক্ষক ক্যান্ডিডেট বাইক ছিনতাই করলে কোন সমস্যা হয় না! ক্যাম্পাস এলাকায় হলের পোলাপানের প্রতিনিয়ত নিরব ছিনতাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয় না!
নানান অনিয়মে ভরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অনিয়ম গুলো চোখে পড়ে না।
সপ্তাহ জুড়ে পানির কল নষ্ট থেকে পানির অপচয় হলে দোষ নেই কিন্তু লাইব্রেরীর সামনের দোকানগুলো পানি অপচয় করে বলে হাজার হাজার ছাত্রের অসুবিধার কথা চিন্তা না করে পানি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ছাত্রদের বসার জায়গা বন্ধ করে বড় বড় বিল্ডিং প্রাচীর তৈরি করলে ছাত্রদের অসুবিধা হয় কিনা তা মাথায় নেয় না প্রশাসন। ক্যান্টিনে কুত্তা বিড়াল, পঁচা আলু পটল খাওয়ালো কিনা এটা বড় কথা না, ভাল খাবারের দাবি করলাম তাই আমার শাস্তি হল কিনা সেটাই বড় কথা। অনেক কিছু লেখার ছিল লিখতে পারলাম না তবে আরও কিছু লিখব।
মূল লেখা- বড়শি বন্ধু সোহাগ
(সামান্য পরিবর্ধিত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।