ইন্টারনেট চ্যাটে মা এতই মগ্ন ছিলেন যে, তার ১৯ মাসের শিশু ছেলে জ্বরে ভুগে মারা গেছে তা টেরই পাননি! চ্যাট শেষে পরদিন সন্তানের কাছে গেছেন মা কিন্তু ততক্ষণে সোনামনি নিয়ো আর নেই। এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে জাপানে। ইউমিকো তাকাহাশি নামের এই ইন্টারনেট আসক্ত মাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। ২০১১ সালের ২৪ জুন, বিকেল বেলার কথা। মা তাকাহাশি ছেলে নিয়ো’র জ্বর মেপে দেখলেন।
১৯ মাসের নিয়ো প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ছে তখন। তারপরও তাকে বিছানায় ফেলে রেখে চ্যাটে ডুবে যান এ হতভাগী মা। পরদিন সকালে তার প্রাণহীন দেহটি দেখতে পান মা। মায়ের অবহেলায়ই মারা যায় ছোট্ট নিয়ো। পুলিশের ময়না তদন্তে ধরা পড়েছে-গত বছরের ২৬ জুন বেঘোরে মারা গেছে নিয়ো।
কিন্তু, তাকাহাশিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার)। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওতসু এলাকার পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শিশুর প্রতি দায়িত্ব পালনে সন্দেহজনক অবজ্ঞা এবং শিশু মৃত্যুর কারণেই তাকাহাশিকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষ করতে সময় লাগায় তাকাহাশিকে গ্রেফতার করতে দেরি হয়েছে বলেও পুলিশের এ মুখপাত্র জানান। জাপানের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, তাকাহাশি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সন্তান ফেলে রেখে চ্যাটরুমে মগ্ন ছিলেন। এর আগে, তাকাহাশির প্রথম সন্তান জন্মের কয়েকদিন পরই মারা গেছে আর দ্বিতীয় সন্তান মারা গেছে অ্যাপার্টমেন্টের বারান্দা থেকে পড়ে।
তাকাহাশি জাপানের সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে বলেছেন, “প্রথম সন্তান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর থেকে গত তিন বছর যাবত সান্তনা পাওয়ার আশায় ইন্টারনেটে খেয়ে না খেয়ে চ্যাট করেছি। ” সন্তানাদি লালন-পালন করা সত্যিই বেশ ঝামেলার বিষয় বলে এ সময় মন্তব্য করেন মা তাকাহাশি। # ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।