সোনার বাংলা সোনার দেশ আমাদেরই বাংলাদেশ হরতালের সময় আগুনে পোড়া সেই মোশাররফ হোসেন (২২) গত শনিবার রাতে মারা গেছেন। গত বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় আম নিয়ে আসার সময় নাটোরে হরতালকারীরা ট্রাকে আগুন দিলে পুড়ে যায় মোশাররফের শরীর। এরপর তিন দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎ সাধীন ছিলেন তিনি।
গতকাল রোববার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর মোশাররফের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বিকেলে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মোশাররফের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার খোসাল সিকদারকান্দি গ্রামে। ঢাকার হাজারীবাগ, কোম্পানিঘাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। মোশাররফের বাবা আইয়ুব আলী ফুটপাতে ফল বিক্রি করেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মোশাররফ দ্বিতীয়। এদিকে মোশাররফের মৃত্যুর খবর তাঁর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী জাজিরা উপজেলা সদরে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে
মোশাররফের বাবা আইয়ুব আলী বলেন, মোশাররফের ইচ্ছে ছিল ব্যবসা কিছুটা বাড়িয়ে দুই বোনের বিয়ে দেবেন।
কিন্তু মোশাররফের মৃত্যুর সঙ্গে ভেসে গেছে সব পুঁজিও। রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাঁর।
প্রথম আলোর শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, দারিদ্র্যের কারণে পরিবারটি গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসেছিল। গ্রামে তাদের কোনো সহায়-সম্পদ নেই। মোশাররফই ছিল তাদের মূল চালিকাশক্তি।
এদিকে মোশাররফের মৃত্যুতে জাজিরায় বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। আসুন আমরা সবাই হরতাল সমর্থন জানাই তবে এমন হরতালের সর্মথন যেন কেই না জানাই যেখানে মনবতাকে আগুনে পুড়িয়ে পিষ্ট করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।