আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্মান্তিক

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

বরগুনা, ডিসেম্বর ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- থানায় অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা হলো না বরগুনার কলেজছাত্রী সুমা আক্তারের, উত্ত্যক্তকারীর দায়ের কোপে পা হারাতে বসেছেন তিনি। শনিবার কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন সুমা (১৮) ও তার বাবা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসা মহসিন (৩০) বাবা-মেয়ে দুজনের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, মহসিনের দায়ের কোপে ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুমার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ প্রায় পুরোটাই কেটে গেছে। কেটে গেছে হাড়ও।

এছাড়া কেটেছে তার ডান হাতও। সুমাকে আঘাত করার আগে তার বাবা ইউনুল আলী হাওলাদারকে মহসিন ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে পাশের খালে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত সুমাকে বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মেয়েটিকে পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। " সদর উপজেলার সাহেবের হাওলা গ্রামের সুমা বরগুনা হাসপাতালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহিম সিকদারের ছেলে মহসিন তাকে উত্ত্যক্ত করায় গত ছয় মাস তিনি কলেজে যাননি।

পরীক্ষা থাকায় শনিবার সকালে তিনি তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ থেকে পাঁচ মিনিটের দূরে থাকতে দেখি মহসিন তাদের বাসার কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তারপরও আমরা হাঁটতে থাকি। "হঠাৎ পেছন থেকে এসে সে আমার বাবাকে ধাক্কা দিয়ে পাশের খালে ফেলে দেয়। তারপর আমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

এক পর্যায়ে আমিও ওই খালে পড়ে যাই। সেখান থেকে আশাপাশের লোকেরা আমাদের উদ্ধার করে। " সুমা আরো জানান, এক মাস আগে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে মহসিনের নামে অভিযোগ করেছিলেন। সুমার বাবা ইউনুস হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমার মেয়েক পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না। " সুমা ও তার বাবার আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বরগুনা থানার ওসি মো. বাবুল আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উত্ত্যক্ত করা নিয়ে সুমার অভিযোগ পাওয়ার পর তারা মহসিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছেন।

তবে সফল হননি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বছর খানেক আগে মহসিন তার নিজ গ্রামের সামসু হাওলাদারের এক মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতন করেছিলো। কিন্তু পুলিশ সেজন্যও তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ নিষ্ক্রিয় না থাকলে সুমার এমন পরিণতি হতো না বলে মন্তব্য করেন তারা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এজে/এমআই/১৫২০ ঘ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।