আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাংক রিক্রুটম্যান্ট পরীক্ষা- অজ্ঞতা আর অভিজ্ঞতা।

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ। কয়েকদিন ধরে কাজের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা। মধ্যরাত হতে হতে না হওয়া সময়ে বাসায় ফিরে আর ব্লগগিরি, ফেবুগিরির টাইম থাকেনা।

সারাদিনের কামলা; রাতের ভাতটা খাই আর ক্লান্ত দেহ এমনেই বিছানা খুজে নেয়। সে যাই হোক; এই কৈফিয়ত কয়েকজন আদরের ছোট ভাইয়ের জন্যে। ফেবুর ইনবক্স চেক করা হয় নাই কয়েকদিন। বেশ কয়েকটা মেসেজ দেখি- BANK RECRUITMENT TEST- নিয়ে। ভাইগুলানের জন্যেই লিখতেসি।

ধরে নেয়া যায় বলতেসি। তাই তুই কইরাই লিখি। শ্রদ্ধেয়ভাজনেরা মাইন্ড খাইয়েন না। পরশু আরেক ছোট ভাই ফোন করে তার হতাশা ভরা কণ্ঠ শুনালো। ভার্সিটির পোলাপাইন গুলার ভাই ডাকের পরে আজীবন ঠাট্টা- মস্করার কথা শুনসি।

এই ধরণের সিরিয়াস ইস্যু শুনলে বুক খা খা করে। যাই হোক- আমি জ্ঞান দিবার পারুম না। অভিজ্ঞতা শেয়ার করুম। কারো উপকারে লাগলে খুশি হব। এপ্লাই করার টাইম থিকাই যুদ্ধ শুরু।

এখন প্রাইভেট ব্যাঙ্ক গুলান আগে স্ক্রিনিং কইরা প্রচুর পোলাপাইন বাদ দেয়। এটা র‍্যান্ডম সিলেকশন, ফলে অনেক ভালো ছেলে পেলেও বাদ পড়ে। পরীক্ষা দেবার সুযোগ নাই সে টিকবে কিভাবে? কিন্তু; বাস্তবতাও দেখতে হবে- এতজনের পরীক্ষা নেবার মত সুযোগ অনেক সময়ই প্রাইভেট ব্যাঙ্ক গুলানের থাকেনা। অনেকে হতাশ হয়ে লবিয়িং এর কথা বলছোস- এই প্রসঙ্গে কিছু বলার নাই- কোন ব্যাঙ্কেই PO/MTO পোস্টে লবিয়িং করার সুযোগ নাই। থাকলেও সেটা অনেক উপ্রের লেভেল থিকা হইতে পারে।

আর এত উপ্রের লেভেলের লোকের ব্যাংকে চাকরীর কইরা চাক্কি পিষার দরকার নাই। প্রথম প্রথম পরীক্ষা দিলে ভয় সবারই লাগে, হাজার হাজার মানুষ দেখলে আরও বেশি ভয় লাগে। তাই বলে বাকা পথ খুজলে আগেই হাইরা যাবি সবাই। ব্যাংকে টিকতে আইনস্টাইনের মাথা লাগেনা। নন্টে- ফন্টের মাথাই যথেষ্ট।

যারা মিনিমাম ৫ টা পরীক্ষা টানা দিবি; এমনেই একটাতে টিকবি, এই আমি লেইখা দিলাম। না টিকলে আইসা গালি দিয়া যাইস(কিন্তু সাদা খাতা জমা দিয়া গাইলাইতে আসলে আবার হবে না)। সুতরাং; সাহস রাখ। নিজের গল্প টা কই- প্রথম পরীক্ষা দিতে গেসিলাম একটা সরকারী ব্যাংকে; কুনো ধারনা না নিয়া- দশ মিনিট পরে গার্ড আন্টিরে হাতে পায়ে ধইরা বাইর হইয়া যাইতে চাইসিলাম। লজ্জায়- অপমানে; কারণ আমার মনে হইসিল- এরাম প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব না।

আমি শেষ। লেটস কমিট সুইসাইড অর লেটস বি আ গব্বর সিং। পরে লজ্জা থিকাই সাইফুরস খায়া ফেলাইসিলাম। কোচিং এর দরকার নাই, বইগুলান-ই পুস্টিকর খাবার, ভালো পুষ্টি পাইসি। বাংলাদেশের Private Bank recruitment tests- গুলো মুলত দুইটা প্যাটার্ন ফলো করে।

১। BIBM ২। IBA এছাড়া বর্তমানে সরকারী ব্যাঙ্ক গুলানের প্রশ্ন DU-MIS থেকে হয়, যার Format অনেকটাই IBA- এর কাছাকাছি। আবার গুটিকয়েক ব্যাঙ্ক- একটার উদাহরণ দিতে পারি- যেমনঃ AB Bank- তারা 3rd party HR Firm -কে দিয়ে রিক্রুটম্যান্ট করায়। এদের প্রশ্ন প্যাটার্ন আবার ভিন্ন।

প্রশ্ন হতে পারে- এত প্যাটার্ন প্যাটার্ন কইরা কি লাভ? লাভ হইল গিয়া- আগে থিকা কিভাবে একটু যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া যায়; মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকা যায়- তার অনুশীলন। সাইফুরস এর এক পা টয়লেটে আরেক পা চান্দে টাইপ বিজ্ঞাপন দেইখা যতই গাইল পাড়ো, শেষে সাইফুরস রকজ্জজ্জজ্জ... ফ্রিতে অগ এড দিয়া দিলাম। যাদের, আমার মত কন্ডিশন; আই মিন আড্ডাবাজি আর ফেবুতে টাইম না দিলে ভাত হজম হয়না তারা সাইফুরস এর latest BANK RECRUITMENT GUIDE কিনবি। সাথে- Analogy, Grammar & puzzle. এইবার যে ব্যাংকে পরীক্ষা- ভালমতো দেখ ওইটাতে লাস্ট কয়েকবার কি প্যাটার্নে পরীক্ষা হইসে। BIBM হইলে শুধু ওই ভাবেই প্রস্তুতি নে।

IBA হইলে শুধু ওইভাবেই। সব একসাথে গিলার দরকার নাই। আর গিলতে পারলে তো ভালই। ইয়ু আর জিনিয়াস!!!! মনে রাখবি- একবার যে প্যাটার্ন এর পরীক্ষায় টিকবি, খেয়াল করলে দেখবি ওই প্যাটার্নের যে কোন পরীক্ষায় একই প্রশ্ন রিপিট হয়। তাই; ওই প্যাটার্নের যেকোন পরীক্ষায় তুই আবার টিকার সম্ভাবনা শতভাগ।

আরেকটা বাস্তবতা- বেকার পোলাপাইনের আর্থিক সমস্যা। পকেটে টাকা না থাকলে- বুইঝা শুইনা এপ্লাই কর। বার বার ঢাকা যাওয়া, থাকা খাওয়া, পরীক্ষা দিয়ে আবার আসা। টানা তিন সপ্তাহ পরীক্ষা হইলেতো আর যাইতেই ইচ্ছা করবেনা। এক্ষেত্রেও সেই প্যাটার্নের সাহায্য নিতে হবে।

যে প্যাটার্নে তুই স্বচ্ছন্দ, সেগুলানে বাইছা বুইছা এপ্লাই করতে পারোস। কিছু মনে আছে আমার- ONE BANK, UTTARA BANK, IFIC BANK, UCBL- ইত্যাদি BIBM প্যাটার্ন। Dhaka Bank, Jamuna Bank, SouthEast Bank- ইত্যাদি IBA প্যাটার্ন। তো, শুরু কইরা দে। বাকি আর পরে শেয়ার করুম নে।

হ্যাপি চাকরি পরীক্ষাইয়িং... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.