কেএস আমীনের একটা পুরানো পোস্ট দেখলাম আজকে। যেখানে প্রাইম ব্যাংকের কোন একটা শাখার ছবি দিয়ে তিনি বলেছেন সাভি'সের খুবই খারাপ অবস্হা। সাথে সাথে এসসিবির কথা উল্লেখ করেছেন, উল্লেখ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের সুন্দর সাভি'সের কথা। কেউ কেউ সেখানে মন্তব্য করেছেন যে দেশের প্রাইভেট কমাশি'য়াল ব্যাংকগুলির উপর ভরসা নাই। উদাহারণ হিসেবে বলেছেন ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের কথা।
সবই ঠিক আছে। তবে আমার এখানে কিছু অবজাভে'শন আছে। যেমন আমি দেখেছি যে, একজন গ্রাহক বিদেশী ব্যাংকে গেলে যে ধরণের বাধ্য আচরণ করেন, দেশী ব্যাংকে তাঁর আচরণ পুরোটাই উল্টা হয়ে যায়। লাইন দিতে বললেও খুব একটা পাত্তা তাঁরা দেন না। প্রাইম ব্যাংক দেশের অন্যতম শীষ'স্হানীয় ব্যাংক তাই তাঁদের গ্রাহক সংখ্যাও অনেক বেশী- এসসিবি আর এইচএসবিসি এর থেকে তো অবশ্যই বেশী।
সেকেন্ড জেনারেশন এর যেসব ব্যাংক খুব ভাল করছে এবং গ্রাহক সংখ্যা এবং অন্যান্য সাভি'স বাঁড়িয়ে চলছে তাঁদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ঢাকা ব্যাংক অন্যতম। প্রথম জেনারেশনের ব্যাংকগুলির মধ্যে, এবি, ন্যাশনাল, এদের গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশী। যাইহোক যেটা বলছিলাম, লোকাল ব্যাংকে এলেই গ্রাহকরা লাইন দিয়ে টাকা তুলতে চাননা, টোকেন ব্যাবস্হা করেও তেমন একটা লাভ হয়না কারণ লোকাল ব্যাংকগুলি এমন করতে গেলে গ্রাহকরা বলে ভাই বিদেশী ব্যাংক হইতে চাইতেছেন নাকি? গ্রাহকদের একটা কমন কালচার হলো সকলে একসাথে চেক নিয়ে কাউন্টারে চলে যান, লাইন দিতে বললে তাঁরা রাগ করেন, একটু দেরী হলেই রাগারাগি করেন, কিন্তু ক্যাশে যেই লোকটা বসে আছেন তিনি তো মানুষ, মেশিন নন, কাজেই একটু সময় লাগবেই।
আমি বলছি না যে দেশী ব্যাংকগুলি সবদিক থেকেই ভাল, কিন্তু বত'মানে অথ'নীতি তে তাঁরা বিশাল ভুমিকা রাখছে এবং সবথেকে বুমিং সেক্টর আমার কাছে মনে হয় এই ব্যাংকিং সেক্টর। দেশের মানুষের শুধু দরকার একটু ধৈয' ধরে ব্যাংকগুলিকে সাপোট' দিয়ে যাওয়া, তাহলে হয়তো বিশ্বমানের ব্যাংকিং সেবা দেশের ব্যাংকগুলির কাছেই পাবেন।
আর ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ঘটনাটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বত'মানে সবথেকে বেশী মনিটরিং এর মাধ্যমেন পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকিং সেক্টর। আর কোন সেক্টরেই এত রেগুলেটরি মনিটরিং নেই বলেই আমার ধারণা। আরো অনেককিছু লেখার দরকার ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারছিনা। ভবিষ্যতে আরো লিখবো এই বিষয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।