আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারান্দার বাইরেটা ভীষণ অন্ধকার

তন্ময়-অন-রান.ব্লগস্পট.কম বারান্দার বাইরে ভীষণ অন্ধকার একটা ডোবার মতো পুকুর তার পাশে একটা রিকশা গ্যারেজ অন্ধকারাচ্ছান্ন কেনো জানি, ভীষণ অন্ধকার আমার বারন্দাটাও তারই এক কোণায় গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমি খুঁতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি অন্ধকারে কী? তা তো জানি না... হঠাত নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হতে লাগলো অনেক মনে হতো লাগলো, হ্যাঁ, সবার জীবনই তো চলছে আমারটাও চলবে এমন করে হতাশা নিয়ে পড়ে থাকার কোন মানে হয় না দৃষ্টি তখনো অন্ধকারে কি যেনো খুঁজে ফিরছে আবার এক রাশ ধোঁয়া উড়ালাম আর প্রশান্তির একটা হাসির রেখা ঠোঁটের কোণে আচমকাই ফুটে উঠলো নিজেই অবাক হলাম, আমি হাসছি অলীক সব কল্পনাও করছি, আবার হাসছিও, আবার সজ্ঞানে তা ধরতেও পারছি পাগল হলাম নাতো !! এবার চিন্তার রেখা কপালে ফুটলো কিভাবে হবে সবকিছু ঠিক আমার যে ভীষণ দেরী হয়ে গেছে হাতে সময় ভীষণ কম দ্রুত, খুব দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে হমম...সবই তো ঠিক আছে কিন্তু পারবো তো... কিভাবে পারবো? কিভাবে জুটবে? কেনো জুটবে? আমি তো ওদের মতো একই স্রোতে ছিলাম না ভিন্ন স্রোতে গা ভাসিয়েছিলাম তাহলে ওরা আজ কেনো আমাকে জায়গা দেবে? যা দেখছি, তা ঠিক দেখছি তো হমমম....যা ভাবছি তাই তো দেখছি অন্ধকারের মাঝে মা কেমন হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে আর পারলাম না ধরে রাখতে নিজেকে গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো হাজার বছরের চাপা অভিমান বিস্ফোরিত করে বললাম, “কেনো মা”? মা একটা হাত আমার মাথায় বুলিয়ে দিয়ে বললো “আমার আশীর্বাদের হাত তোর মাথায় আছে, তোর দুশ্চিন্তার কোন কারণ তো নাই নাকি আমার আশীর্বাদ থেকেও বিশ্বাস উঠিয়ে ফেলেছিস?” এবার যেনো মায়ের কণ্ঠেই অভিমান। বললাম, “না মা, তা কেনো হবে। মাঝে মাঝে শুধু একটু...” “বুঝেছি বুঝেছি, তোর মন বোঝার জন্য তোর কথা শোনার আমার দরকার পড়ে না। কিন্তু, সত্যিই, তুই পারিসও। আচ্ছা বলতো, তোর কোন চাওয়াটা পূরণ করিনি আমি?” “অস্বীকার তো করিনি মা।

কিন্তু এবার যে আর একা নই। আমি জ্বলতে-পুড়তে রাজি আছি মা, ও আমার গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ওকে কেনো নিয়ে আসলে মা? ওকে যে আমি এসবের স্পর্শও পেতে দিতে চাই না। ” “বাহবা..বেশ কথা শিখেছিস তো ! আমার ছেলে তবে বড় হলো এতদিনে !!” “বলো না মা, সব ঠিক হবে তো?” “হবে, বললাম না?” “রাগ করো কেনো মা?” “বারবার একই ঘ্যান ঘ্যান করিস কেনো? যাহ, ভেতরে যাহ। গিয়ে নিজের কাজ-কর্ম কর।

যা চেয়েছিস তাই হবে। যা হবে ভালোই হবে। ” “এই তো দেখেছো, ভালো বলতে বলতেই আবার একটা উল্টোপাল্টা কথা বলে দিলা” “ওতো প্যাঁচ ধরিস না, ওতো প্যাঁচ আমি জানি না। ” “মা..” “কী রে?” “....” “এই দেখো, আবার কান্না শুরু করলি, ধূর..তুই আর কোনদিন বড় হতেই পারবি না” “তোমার কাছে বড় হওয়ার কিছু নাই মা, তুমি শুধু....” “আচ্ছা আচ্ছা বুঝতে পারছিতো আমি। আচ্ছা আমি কি একবারও বললাম যে তোর কথা রাখবো না? তুই-ই বল?” “রাখবা যে সেটাও তো বলো নাই” “হা হা হা, আরে বাবা, তুই দেখিস, আমি কেমন করে সব ঠিক করে দেই।

তুই নিজেই বিশ্বাস করতে পারবি না। ” “তাই যেনো হয় মা....আমার কিচ্ছু বিশ্বাস করার দরকার নাই, তুমি শুধু এটুকু করে দাও...” “হবে বাবা, হবে। এখন যা, ভেতরে যা। এই নর্দমার পাশে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবি। ভেতরে যা।

আর, ওসব ছাইপাশ ফেলে দে..” চমকে উঠলাম, সিগারেটটা পুড়তে পুড়তে গোড়ায় এসে ঠেকেছে, আঙ্গুলের সাথে আগুন স্পর্শ করেছে। হাতের ঝাঁকুনিতে সিগারেটটা আগেই পড়ে গেছিলো। কোথায় পড়লো তা দেখে নিয়ে সেটা তুলে বারান্দা দিয়ে সামনের পুকুরে ফেলে দিলাম। ফেলতে যেয়েই খেয়াল করলাম, বারান্দার বাইরেটা ভীষণ অন্ধকার। _______________ ব্যাক লিংক : ডোন্ট ক্লিক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।