জিব্রাল্টার-জাবালুত তারিকের কথা মনে পড়তেই মন ছটে যায় চৌদ্দশ' বছর আগের একটি ঘটনার কথা। সিপাহসালার তারিক সাতশ' সৈণ্য নিয়ে শত্রু আধ্যুষিত স্পেনের মাটিতে নামলেন।
তারপর পুড়িয়ে দিলেন ফেরবার একমাত্র উপায় নৌ্যানগুলো। তারপর তার সামনে রইলো সুসজ্জিত আগণিত শত্রু সৈণ্য আর পেছনে তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ সমুদ্র। আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় সম্পর্কে কি দৃঢ় প্রত্যয়।
মুসলিম সিপাহসালার তারিকের আত্মপ্রত্যয় অবাস্তব ছিলো না। শীঘ্রই সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক মুসলমানদের হেলালী নিশান স্পেনের সীমানা পেরিয়ে ফ্রান্সের প্রান্তদেশ পারেনিজ পর্বতমালার বুকে মাতাহ উচু করে দাঁড়িয়ে ইসলামের জয়বার্তা ঘোষণা করল। শুধু কি তাই? মুসা আর তারিককে যদি দামেস্কের দরবারে ফিরিয়ে আনা না হতো, তাহলে ওয়াশিংটন আরভিংয়ের ভাষায়-"আজ প্যারিস ও লন্ডনের গীর্জাসমূহে ক্রসের বদলে হেলালী নিশানই শোভা পেত। " এই ভূমধ্যসাগরের প্রতিটি ইঞ্চি স্থানে একদিন মুসলমানদের হুকুমই চলত।
কিন্তু আজ? মন বেদনায় ভরে যায়, যে স্পেনকে মুসলমানেরা আটশত বছর ধরে গড়ে তুললো আপন করে সেই স্পেনে আজ মুসলমানদের সাক্ষাত মিলে না।
তারা বিধধস্ত ও বিতাড়িত।
কিন্তু কেন এই পতন? ইতিহাস মুসলমানদের দূর্বলতা আত্মকলহকেই এজন্য দায়ী করছে। কিন্তু এই আত্মকলহ আর দূর্বলতা এল কোথা থেকে?সে কি আদর্শচ্যুতি থেকে নয়?
মনে পড়ে যায় একজন লেখকের কথা "মুসলমানরা আপন উসূল এবং ইসলামী জোশ হতে যখন দূরে সরে পড়লো, তখন খোদা তাদের এ নিয়ামত কেড়ে নিলেন। এরই ফলে আবার একদিন খ্রীষ্টান শক্তি সেই বিজয়ী মুসলমানদের উত্তরাধীকারীদেরকে এসব দেশ হতে এমনই ভাবে বের করে দিল যে, সে সব দেশের মুসলমানদের নামের আর কোন চিহ্নই থাকলো না। "
পুর্ব পুরুষের ভুল কি আমরা শোধরাতে পেরেছি?যদি পারতাম তাহলে ক্ষুদ্র ইস্রাইলের কাছে আমরা এমন করে মার খাবো কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।