চারটি সিগারেট আর ছয়টি দেশালাইয়ের কাঠি, আর বুকে জোঁকের মতো বিঁধে থাকা সূর্য্য লুটের গান। অপরাধী হয়ে জীবনটাই শেষ করে দেবো চোয়াল শক্ত হতে হতে চোয়াল চূর্ন হয়ে যাবে! অপরাধের ভারে সর্বদা পিঠ টান করা কোমড় একদিন নুয়ে পড়বে, যে পেশীর কথা আমি বার বার বলি অনবরত রক্ত ক্ষরণ হয় ভেতরে ভেতরে, সমূদ্র স্রোতের ন্যায় বহমান আমার রক্ত শিরা প্রতিশোধের আগুনে টগবগিয়ে ফুটবে বলে, শেষমেষ হাতিয়ার শুন্য আমার জীর্ন দুহাত ক্রমশই ঘুনে খাওয়া পলেস্তারার মত খসে পড়বে! আমি বলছি না, যে এখানেই শেষ! বলছি না বিদ্রোহীচেতা মনের কবর সুনিশ্চিত! শুধু স্ফুলিঙ্গ উসকে দিয়ে দাবানল করো। বলেছি তো এইটি দেশলাইয়ে কাঠি আর বারুদের আলতো ছোঁয়া, ওতেই হবে! দেখো আমি জেগে উঠবো। অপরাধী হয়ে আর কত দিন? আমি ভয় পাচ্ছি কমরেড অনবরত দেরী হয়ে যাওয়ার মত ভয় পাচ্ছি যে আগুন জ্বলবো জ্বলবো করেও জ্বলছে না, সেই আগুনে উষ্ণতা চাওয়াও অপরাধ! আমাদের শেষ হাতিয়ার ওরা হাতিয়ে নেবে বলে দিয়েছে হাতের আঙ্গুল গুলো তীক্ষ্ন ধারালো ছুড়িতে খন্ডিত করবে দু আঙ্গুলে কলম ধরা শিশু কালের অভ্যাস! ঐ আঙ্গুল গুলো রাখবে না আর! যদি আচমকা জল স্রোতে দেশলাইয়ের কাঠি গুলো অনায়াসে ভিজে যায়...তখন! আমি বলছি না হবে, আমি বরং আশা করতে ভালোবাসি কবির হাত কখনো শিকলে বাঁধা থাকেনি, কবির ছিন্ন ভিন্ন হাতের দিকে তাকিয়ে কবি এ কথাই বলেছিলো! ভেবে দেখেছেন কমরেড, নিজেদের সভ্যর মিথ্যে চাদরে ঢেকে, আদিমতা কে বর্বর বলি কতটা নিষ্ঠুর আর পাশবিক হতে পারি আমরা! কি ভাবছেন কমরেড? রাত্রির অন্ধকারে, গ্রাম দেশে শুকনো পাতায় যে আগুন জ্বালাবো বলে রক্ত ঝরিয়েছি কলমে, হাতিয়ার শূন্য হাতে গেয়ে চলেছি বিপ্লব, সংগ্রামীচেতা বিদ্রোহী মনে বজ্রাঘাত করি আরেকবার, আরেকবার বিপ্লবী কন্ঠে স্ফুলিঙ্গ হয়ে ছুটুক রোশের দামামা । দাবানল ছুটবে, আগুনের তেজ বাতাস গরম হওয়ার আগেই নিভে যাবে না। হয়ত কিছুই হবে না!! আমি বরং আশা করতে ভালোবাসি। ছোট্ট একটা বিস্ফোরন, দেশলাইয়ের শরীরে আলতো একটু বারুদের ছোঁয়া। ব্যস , এটুকুই যথেষ্ট!! Sunday, 9 October 201 শনিবার, ৯ই অক্টোবর ২০১১
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।