মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে কত কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে বলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সেই সঙ্গে আগামীতে আরো কত লোক ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাও জানাতে বলেছে কমিশন।
গ্রামীণফোনে কর্মী ছাঁটাইয়ের ওপর বাংলানিউজসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিশেষ করে গ্রামীণফোনের কর্মী ছাঁটাইয়ের অন্যতম টার্গেট অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এমন তথ্য তুলে ধরা হয় এসব প্রতিবেদনে। এরই প্রেক্ষাপটে বিটিআরসি গ্রামীণকে ওই চিঠি দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গ্রামীণ ফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা চিঠিটি পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
দেশের বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে বিটিআরসি জানার অধিকার রয়েছে। সেই মোতাবেক বিটিআরসি এ চিঠি দেয়।
সূত্র জানায় চিঠিতে গ্রামীণফোনের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ সম্পর্কে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যদিও মোবাইল খাতের উন্নয়নে ফোন কোম্পানিগুলো অবদান রাখছে।
তবু এই মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরির কোনো নিরাপত্তা নেই।
এদিকে, ব্যাপকহারে লোকবল ছাঁটাইয়ের ঘটনা গ্রামীণফোনের ভাবমূর্তির নষ্ট করছে বলে মনে করছেন স্বয়ং গ্রামীণফোনের কর্মীরা।
ব্যয় সংকোচনের কথা বলে দেশের অপারেটর গ্রামীণফোনে চলছে বৃহৎ ছাঁটাই। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গ্রামীণফোনে ছাঁটাই শুরু হয়েছে। তবে এর অন্যতম টার্গেট প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীরা।
বিশেষ করে যারা অন্তঃসত্ত্বা কিংবা শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।
বাংলানিউজের এক অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। ‘কথিত চাকরি রক্ষার পরীক্ষা’র নামেই গ্রামীণফোন কর্মী ছাটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
উল্লেখ্য গ্রামীণফোনে বর্তমানে প্রায় ৪৮০০ লোকবল রয়েছে।
Click This Link
জনবল ছাঁটাইয়ের পরিসংখ্যান চেয়ে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
চিঠিতে গত এক বছরে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ সেলফোন অপারেটর কত জনবল ছাঁটাই করেছে, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে জনবল ছাঁটাইয়ের কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
বিটিআরসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিককালে টেলিযোগাযোগ খাত দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও এ খাতে কর্মরত কর্মচারীদের চাকরির কোনো নিরাপত্তা নেই। গ্রামীণফোনে জনবল ছাঁটাইয়ের বিষয়টি বিটিআরসির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গ্রামীণফোনের লোকবল ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনবল ছাঁটাইয়ের সংবাদ এ খাতের সার্বিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিটিআরসি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১১ সালের জুলাই থেকে অদ্যাবধি গ্রামীণফোন থেকে কত জনবল ছাঁটাই হয়েছে তার পরিসংখ্যান এবং সামনে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে বলা হলো।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, জনবল ছাঁটাইয়ের পরিসংখ্যান চেয়ে গ্রামীণফোনকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠি প্রাপ্তির পর সাত কার্যদিবসের মধ্যে গ্রামীণফোনকে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠি প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির বলেন, গ্রামীণফোন বিটিআরসির কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছে।
লিখিত জবাব দেয়ার জন্য বিটিআরসির কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চিঠির জবাব দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।