খবর টা দেখে শেয়ার না করে পারলাম না। একদিন গ্রামীণফোনে জব না পেয়ে খুব কষ্ট হয়েছিল। ৩ বার ইন্টারভিউ / হাবিজাবি দিছিলাম । কিন্তু হল না । ইদানিং গ্রামীণফোনের কিছু আচরন খুব পীড়াদায়ক ।
দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদের যোগদানের তারিখ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই অপারেটরটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা আর দুঃচিন্তা বেড়েই চলেছে। এদের কেউ কেউ চাকরি হারানো, বর্তমান পদের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়াসহ নানা দুঃচিন্তা করছেন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসাটিকে পুরোপুরি ভারত কেন্দ্রিক করে ফেলার আশংকার কথাও জানিয়েছেন অনেকে। এয়ারটেল যেই মডেলে ভারত থেকে বাংলাদেশে অপারেটর করছে, গ্রামীণফোনও একই মডেল অবলম্বন করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ভারতীয় নাগরিক ভিবেক সুদ আগামী ৭ জানুয়ারি গ্রামীণফোনে যোগ দেবেন।
তার আগেই তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন সর্বশেষ নওরোজিয়ান সিইও টরে ইয়ানসেন।
গ্রামীণফোনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সবাই এখন শতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছেন। এতোদিন হাইপ্রোফাইল সব সিইওরা ঢাকায় আসলেও এই প্রথম খুবই লো-প্রোফাইল একজনকে নিয়োগ দিয়েছে গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারতের টেলিনটরের বাঁচি কী মরি অবস্থা। সেখান থেকে একজন ফাইন্যান্সসিয়াল অফিসারকে আনা হয়েছে।
সে মূলত ব্যবসা কেন্দ্রিক কার্যক্রম বাড়িয়ে নিতে চাইবে। যেভাবেই হোক যতোটা সম্ভব লাভের অংক বাড়িয়ে নেওয়াই হবে তার মূল কৌশল। সে জন্যে আরেকবার বড় ধরনের ছাটাই হবে বলে আশংকা ওই কর্মকর্তার।
তারা বলেন, এমননিতেই টেলিনর চাইছিল ঢাকায় আর বিনিয়োগ না বাড়িয়ে যতোটা সম্ভব ভারত থেকে এনে বা ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিতে। এখন এর পরিমান আরো বাড়বে।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, ভিবেক সুদকে ভারতীয়রাই আউট সোর্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে চেনে। তিনি কোম্পানির মধ্যে কোনো ডেভেলপমেন্ট না করে বরং বাইরে থেকে ভাড়ায় কাজ চালিয়ে নিতে ওস্তাদ। নিশ্চয়ই বাংলাদেশেও তিনি একই কাজ করবেন। ফলে গ্রামীণফোনের অনেক কিছুই ম্যানেজড সার্ভিসে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বর্তমানে কাষ্টমার সার্ভিস এবং অপারেশন ম্যানেজমেন্ট ভারতের কোম্পানির মাধ্যমে আউটসোর্স করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রামীণফোন।
ভিবেক সুদ আসার পর আউটসোর্সিংয়ের পরিমান আরো বাড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের অনেকেই বলছেন, ভারতীয় সিইও নিশ্চিয়ই তাদের দেশ থেকে আরো অনেক লোককে গ্রামীণফোনে নিয়ে আসতে চাইবেন। তাছাড়া গ্রামীণফোনের সঙ্গে ঢাকার অনেক ব্যবসাও এখন ভারত ও ভারতীয়দের দখলে চলে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।