জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
স্ত্রীর উপর জুলুম করাঃ
স্ত্রীর উপর জুলুম-নির্যাতন চালানো কাপুরুষের কাজ। কারন নারীরা পুরুষদের কাছে জীবিতের হাতে মৃতের ন্যায়। তাদের উপর জূলুম চালালে কি কোন সওয়াব পাওয়া যাবে? বীরত্ব প্রকাশ ও অপরের উপর শাসন চালানো খাহেশ থাকলে কোন শক্তিশালী পুরুষের উপর শাসন চালিয়ে দেখাও তো দেখি।
অনেক নিষ্টুর পুরুষ স্ত্রীকে সীমাহীন মারপিট করতে দ্বিধা করে না।
যা কল্পনা করলেও শরীর শিউরে উঠে। স্ত্রীর উপর দৈহিক নির্যাতন চালানো নেহায়েত মূর্খতা ও কাপুরুষতা। এটা পুরুষের আত্মমর্যাদারও পরিপন্থী। কেউ কারে কাছে বন্দী এবং তার সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনাধীন থাকলে তার উপর শক্তি প্রদর্শন করা বীরত্বের কাজ নয়।
নারীরা বড় দুর্বল ও অসহায়।
মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। ফলে সর্বদা নির্যাতিত ও নিগৃহিত হতে থাকে। তবে তারা খুব অভিশাপ দিতে পারে। স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তাদের মুখ খুব চলতে থাকে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে যখন তারা মা-বাবার কাছে অভিযোগ করতে যায়, তখন তাদের কাছেও তাদের ঠাঁই নেই।
মা-বাবা তাদেরকে ধমক দিয়ে ধমিয়ে রাখে। ফলে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা এবং অভিশাপ দেয়া ব্যতীত তাদের সামনে অন্য কোন পথ খোলা থাকে না। আর সেই অভিশাপ এমনই যন্ত্রনাদগ্ধ, যা আল্লাহর দরবারে সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা মাজলুমের ফরিয়াদ কবুল করতে দেরী করেন না।
হাদীস শরীফের ভাষ্য মতে, যার কোন সাহায্যকারী নেই, তার সাহায্যকারী আল্লাহ।
মাজলুম যখন ফরিয়াদ করে তখন আল্লাহ বলেনঃ
“আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো, যদিও খানিক বিলম্বে। ”
স্ত্রীর প্রতি জুলুম নির্যাতনের পরিণাম অনেক সময় দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়। এজন্য তার সাথে সর্বদা সদাচারণ করা উচিত। হাস্যেজ্ল ও প্রফুল্লাচিত্তে তার সামনে নিজেকে পেশ করবে। তার উপর কখনও জুলুম নির্যাতন চালাবে না।
আল্লাহকে ভয় কর।
অসম্ভব কিছু নয় যে, স্ত্রীর অন্তরের অভিশাপে আল্লাহ তায়ালা কোন বিপদে ফেলে দিতে পারেন। যেমন কোন মামলা-মোকদ্দমা চাপিয়ে দেয়া, কোন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত করা কিংবা কোন জালেম শাসক তার উপর চাপিয়ে দেয়া ইত্যাদি। কারণ, অপরের উপর জুলুম করার প্রতিফল মানুষকে সাধারণত দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।