এক workshop এ কায়রো এসেছি ২৩ তারিখ, ২৪ তারিখ রাতে তাহরীর স্কয়ারের হাজির হলাম মিশরের গণতন্ত্রের নতুন পদযাত্রায় শামিল হতে ।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও সামরিক সরকার খুচরা চালাকিতে মেতে উঠেছিল বলে উত্তেজনা বাড়ছিল। শেষ মেশ সেই উত্তেজনা পরিনত হয়েছিল বিজয় উল্লাসে। ফল ঘোষনার পর workshop এ অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই অখুশি, কারণ এদের বেশির ভাগই প্রগতিশীল আর উদারপন্থী। হোটেল থেকে তাহরীর স্কয়ারের দুরত্ব দেড় কিলোমিটার, চারজন মিলে রওনা হলাম, চারদিকে মানুষের সমুদ্র, গাড়ির হর্নের শব্দে কথা শোনা দায়, বাচ্চারা বাবাদের ঘাড়ে, যুবকরা পতাকা দুলিয়ে চিত্কার, চেচামেচি আর মহিলারা উলু ধ্বনি দিচ্ছে মনের মত, ছবি তোলা হচ্ছে দেখলেই সেই ধ্বনি আরো উচ্চমার্গে চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এক অন্য রকমের পরিবেশ। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের দিনে আমরা যখন এরকম আনন্দ করছিলাম তখন আমাদের প্রিয় আনিস Sir বলেছিলেন, ধীরে বত্স, ধীরে, এই আনন্দ বেশি দিন থাকবেনা। মিশরের তাহরীর স্কয়ারের সেই আনন্দে দেখে মনে হলো, মিশরের গণতন্ত্র ইসলামপন্থীদের হাত ধরে কতটুকু এগোবে? workshop এ অংশগ্রহণকারীদের ধারণা মিশর সামনের দিনগুলোতে আরো কঠিন বিপদে পড়বে। কিছু ছবি দেখুন: ভিডিওগুলো এই লিংকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।