উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশ যেতে চান তারা ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত পোল্যান্ডকেও বেছে নিতে পারেন। দেশটির পড়াশোনার খরচ তুলনামূলক কম। পোলিশ ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায়ও পড়াশোনার সুযোগ আছে। তবে পোলিশ ভাষা জানা থাকলে অনেক সুবিধা হয়। দেশটির প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘স্কুল অব পোলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার’ নামের বিভাগ আছে, যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পোলিশ ভাষা শেখার সুযোগ পায়।
আবেদন করবেন যেভাবে
প্রথমে জেনে নিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোর্সটি আপনার জন্য উপযুক্ত। চাহিদা আছে এমন সব বিষয়েই পড়তে পারবেন পোল্যান্ডে। প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে বিশ্ববিদ্যালয়, বিষয়, পড়াশোনার মাধ্যম নির্বাচনের পর কাগজপত্র ও ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে আবেদনপত্র পাঠাতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাডমিশন অফিস’ বরাবর। আবেদন পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ বা ‘অ্যাডমিশন লেটার’ পাঠায়। অফার লেটার পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে পোল্যান্ডের দূতাবাসে।
ভিসা আবেদন দিল্লিতে
ঢাকায় পোল্যান্ডের কনস্যুলেট থাকলেও কোনো দূতাবাস নেই। ভিসার আবেদন করতে হয় ভারতের দিলি্লর দূতাবাসে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ প্রার্থীকেই ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এই ঠিকানায়- 50-M Shantipath, Chanakyapuri, New Delhi 110 021, India ১১০ ০২১, ওহফরধ. ফোন : +৯১ ১১ ৪১৪ ৯৬ ৯৭৫, ই-মেইল :
ওয়েব : http://www.newdelhi.polemb.net
তবে তার আগে স্বচ্ছ ধারণা পেতে ফোনে কিংবা ইন্টারনেট থেকে জেনে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় তথ্য। ডায়াল করতে পারেন এই নম্বরে +৯১ ১১ ৪১৪ ৯৬ ৯৭৫।
ভর্তির সুযোগ বছরে দুইবার
ভর্তির সুযোগ থাকে বছরে দুইবার।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় বসন্তকালীন সেমিস্টার। পরবর্তী সেমিস্টার শুরু হয় অক্টোবরে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করা হয় না; ল্যাবরেটরি ক্লাস, বিশেষ সেমিনার, ডিসকাশন গ্রুপে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশ নিতে হয়।
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন
কম্পিউটার, সিভিল, কেমিক্যাল, আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াও বিবিএ, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, অ্যাগ্রিকালচার, মেডিসিন, ফার্মেসি, ফরেস্ট্রি, ল, জার্নালিজম, মিউজিক অ্যান্ড মিউজিকোলজিসহ চাহিদা আছে, এমন সব বিষয়েই পড়াশোনা করার সুযোগ আছে দেশটিতে।
পড়াশোনার খরচ ও বৃত্তি
দেশটিতে পড়াশোনা করতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাধারণত বছরে দুই হাজার ইউরো খরচ হয়।
এ ছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচ তো আছেই। পোল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ ইউরো বৃত্তি পেয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বৃত্তি দিয়ে থাকে এখানকার ‘পোলিনস্কি স্কলারশিপ ফান্ড’। উল্লেখ্য, প্রতি ইউরো প্রায় ৯২ টাকার সমান।
কাজের সুযোগ
পোল্যান্ডের সরকার সে দেশে পড়াশোনা করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজের সুযোগ দেয়। আর জুন থেকে আগস্ট এ তিন মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ফুলটাইম কাজ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এখানকার জনবহুল ও ব্যস্ত নগরীগুলোয় কাজের সুযোগ তুলনামূলক বেশি। পোলিশ এবং ইংরেজিতে পারদর্শী হলে রেস্টুরেন্ট, দোকান ও শপিং মলে কাজ করে আট থেকে ১২ ইউরো আয় করা যায়।
যেসব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেন
নিকোলাস কোপারনিকাস ইউনিভার্সিটি (http://www.cc.uni.torun.pl)
ওয়ারশ ইউনিভার্সিটি (http://www.uw.edu.pl)
মারিয়া কুরি-স্কোডোস্কা ইউনিভার্সিটি (http://www.umcs.lublin.pl)
ক্লাকাউ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (http://www.pk.edu.pl)
কলেজ অব সায়েন্স (http://snsinfo.ifpan.edu.pl)
লড্জ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি (http://zsku.p.lodz.pl)
জাগিলোনিয়ান ইউনিভার্সিটি (http://www.ii.uj.edu.pl)
পোল্যান্ডে পড়াশোনার বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই সাইট থেকে http://www.studyinpoland.pl ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।