আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ ছিল সাবেক সোভিয়েত ভূক্ত সমাজতান্ত্রিক সামরিক জোটের নাম। যা ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সাথে ঐ জোটেরও পতন ঘটে। তারপর পূর্ব ইউরোপের এই পোল্যান্ড সহ অনেক দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ন্যাটো সামরিক ব্লকে যোগ দেয়। এই বিষয়টা রুশদের তথা মস্কোর পছন্দ হয়নি। তাই অনেক বছর ধরেই পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পরে রাশিয়া।
কয়েক বছর আগে ইউক্রেনে মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে সেখানে গ্যাসের সরবারাহ বন্ধ করে দেয়। মস্কোর উদ্দেশ্য ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগদান ও মার্কিনিদের সাথে সামরিক ভাবে বেশী ঘনিষ্ঠ না হতে পারে। এরই মধ্যে পোল্যান্ডের সাথে এই শত্রুতা বৃদ্ধি হয় যখন ২০১০ সালের এপ্রিলে পোলিশ প্রেসিডেন্ট লেস কাসজিনস্কি রাশিয়াতে সফরের সময় এক রহস্যজনক বিমান র্দূঘটনায় নিহত হয়। প্লেনটিতে পোল্যান্ডের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাক্তি সহ ৯৭ জন যাত্রী ছিল। রুশ মিডিয়া রিপোর্ট করে যে রাশিয়ান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের বারণ সত্ত্বেও নাকি ঐ প্লেনের পাইলট ঘন কুয়াশায় নির্ধারিত এয়ারপোর্টে স্মোলেন্সকেই অবতরণের চেষ্টা করে।
ট্রাফিক কন্ট্রোল বলেছিল অন্য এয়ারপোর্টে অবতরণ করতে যা পাইলট শুনেনি;
Russian media reports said the pilots ignored advice from air traffic control to divert to another airport.
http://news.bbc.co.uk/1/hi/8612825.stm
বিবিসির ঐ রিপোর্টে এটাকে Controversial figure বলেও বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছে। আমি বৃটেনেও বহু পোলিশের কাছ থেকে শুনেছি যে এটা রুশদের চক্রান্ত। পোলিশরা সবাই রুশদের উপর মহাক্ষ্যাপা। বস্তুত এই ঘটনার জন্যই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল ১২ই জুনের ম্যাচের আগেই। ওয়ারশতে রুশ সমর্থদের শোভাযাত্রা, রেষ্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় পোলিশরা।
বহু রুশ মারাত্নক আহত হয়। আর পুলিশ অনেক পোলিশদের গ্রেফতার করে;
Click This Link
কাজেই এই ধরণের মার মুখী আচরণ শুধু ফুটবলে শ্রেষ্টত্ব নিয়ে নয় বরং দুই দেশের জাতীয় পর্যায়েও যুদ্ধাংদেহী ভাব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।