আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
: মামা, ঘটনা শুনছো?
: ঠাডা কি এইবার তুমার মাথার উপরে পড়ছে?
: না মামা, পোল্যান্ডের উপর। আরে শুনো, পোল্যান্ডের ফা্সট লেডি বায়না ধরলো ঘুরতে যাইবো, মাগার প্রেসিডেন্ট জামাই ঘুরনের টাইম পাইতাছিলো না। এমুন সময় রাশিয়ানরা ইউরোপের অনেকরে তাগো দেশে ঘুরনের দাওয়াত দিলো।
: কেন গন বিয়া লাগছিলো নাকি ওগো?
: আরে মিয়া কও কি! লাগলে কি এইখানে আমি থাকি? যাই হোউক, তখন প্রেসিডেন্ট কইলো এইডাই চান্স।
এমুন সময় মন্ত্রিসভায় যখনই কইলো সবাই এক বাক্যে পার্লামেন্ট মেম্বার মিনিস্টার স হ রাজী হইয়া গেলো, রাশিয়ায় গিয়া বরফ খেলবো! সমস্যা হইছিলো এতগুলান মাথা এক লগে যাইবো নিরাপত্তা লাগবো না নিজেগো লিগা? সেজন্য সেনাপ্রধানরেও বোগলে লইলো। সেনাপ্রধান ভাবলো আর কয়দিন অবসর যামুগা, সারা জীবনতো ময়দানে ধূয়া সাফ করলো আর সাগরের তলে সাবমেরিন নিয়া ঠুয়াঠুয়ি করলো, আয় যাইগা! সব উঠলো মরার এক প্লেনে!
: কাহিনী কি এক ঘন্টার?
: আরও শুনো না মিয়া, ব্যাপক কাহিনী! যখন বিমান চলা শুরু করলো, তখন প্লেন চালাইতেছিলো সবচেয়ে অভিজ্ঞ পাইলটরে দিয়া যার প্রায় মরনের টাইম দরজার কাছে। তার উপর চাপাই দিয়া ভিতরে ব্যাপক খাওয়া দাওয়া চলতাছে আর মছু পাইলট বাবা চামে চামে কয়ার গাইয়া চালাইতাছিলো। যখন প্লেন রাশিয়ার মাটিতে আইলো তখন এয়ারপোর্টের রাডার থিকা কইলো,'ভাইজান, কেদ্দারী কইরেন না, সোয়া দুইশ বার কইলাম এই এয়ার পোর্টে আহিস না, আইজকা কুয়াশা পড়ছে নাকি জানালা ঘোলা বুঝতাছি না। গ্লাস কোম্পানী অহনো আহে নাই।
' কে শোনে কার কথা! ঐ ব্যাটা পাইলট কেদ্দারী কইরা যখন রানওয়েতে নামাইতো যাইবো তখন ব্যাটা ঐটা উঠায় দিলো গাছের তলে! আর কই যাইবো, পেরসিডেন্ট ফাস্টলেডি মন্তিসভার সব কেস্টুবিস্টু স হ এমনকি দেশের স্পীকারের ফ্যামিলিসহ ব্যাকটির রাম নাম সত্য হইয়া গেলো।
: কও কি মামা, অহন দেখি সংবিধানের পৈতা সংকট হইয়া গেলো!
: আর কইয়ো না, ফাক তালে ডেপুটি স্পিকার বুড়া বয়সে পেরসিডেন্ট। অখন মামা পোল্যান্ড লও, নির্বাচন করুম। এক বারে পেরসিডেন্ট, আর পেরসিডেন্ট পুরা ইউরোপের পাসপোর্ট। আমাগো আর পায় কে!
: পরীক্ষা কবে?
: পরশু সোমবার।
: বুঝছি, মাথায় সয়াবিন তৈল ঢাইলা তারপর ঠান্ডা পানি দিয়া ধোও, আর আমারে ক্ষেমা দাও!
এমুন ব্যাপক কাহিনীশুইনা মনে হইলো এই কামডা আমাগো দেশে হইলো না কেন? পোল্যান্ড এত সুন্দর দেশ, মানুষগুলানরে বিশেষ গুলান মাইয়াগুলানও সুন্দর কিন্তু ল্যাকিন বাট সেই দেশের দিকে এমুন কুনজর দিলো মাগার আমাগো দেশে এমুন কুনজর দিলো না, আফসোস। অন্তত কারো কুনজরেও যদি এই আকাম ঘটতো ২০ রাকাত নফল নামাজ মানত কইরা রাখছিলাম, মিস নাই!
কিন্তু আফসোস, আমাগো দেশে আর সেই দিন আইবো না। খালেদা জিয়ার ক্ষমতা গেলে তার ঠ্যাং এর ব্যাথা শুরু হয় মাগার সেই ব্যাথা নিয়াও প্লেনের সিড়ি বাইয়া সিঙ্গাপুরে যায় চিকিৎসা করাইতে। শুনলাম ডিবির পুলিশ নাকি তারেক ভাইয়ের কশেরুকা না মেরুদন্ড ছুটায় দিছে, আঘে জানতাম এমুন হইলে নাকি পাবলিক কোমায় যায় নাইলে প্যারালাইসিস হয়, কিন্তু কয়দিন আগেও শুনলাম হ্যায় নাকি লন্ডনে দাপায় বেড়ায়। আর আমাগো হাসিনা ম্যাডাম, ইতায় মনে হয় মরবো না।
জন্মের পরের থিকা হের যেই রুপ, আমি বুড়া হইয়া গেলাম মাগার তার রুপ এখনো খোলতাই হইতাছে। আর চাচা এরশাদতো এই বুড়াকালেও যেই স্ক্যান্ডাল পকেটে লইয়া ঘুরে, মনে হয় দেশটা আম্রিকা!
কই যাই, দয়া কইরা আমাগো দেশে কেউ কুনজর দেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।