সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। আজকে যারা নিজেদের স্ত্রী ও কন্যা সন্তানদের অর্ধ উলংগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে গিয়েছিলেন দয়া করে একবার এই হাদীসটা পড়ে নেনঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেনঃ
১. যে মদ তৈরী করে।
২. যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং
৩. "দাইয়ুস" (যে তার পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়)।
[মুসনাদে আহমাদঃ ৫৮৩৯
***"দাইয়ুস" বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যে তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অশ্লীল কাজ বা ব্যভিচার করলে সে ভাল মনে করে গ্রহণ করে অথবা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে। উপরের হাদিসটির ব্যাখ্যা ব্যাপক।
এখানে মুল বিষয় হল ফাহেশা বা অশ্লীলতা। যে তার নিজ ঘরে ইসলাম অনুশাসনে শিথিলতা করে, মেয়েদের পর্দা করতে উৎসাহ দেয় না, আদেশ করেনা, ঘরে সিনেমা, গান-বাজনা দিব্যি চলে, এর কোন প্রতিবাদ করে না; যে এই রকম সকল শরীয়াহ বিরোধী অশ্লীলতাকে মেনে নেয় - সেই হল 'দাইয়ুস'।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ” (বুখারী : ৮৯৩; মুসলিম: ১৮২৯)
মুসিলম, সাবধান হও! তোমাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছ:
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। - সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। - তারা জানে যা তোমরা কর। (সূরা ইনফিতার: ১০, ১১ ও ১২)
আল্লাহ্কে ভয় কর।
আল্লাহ্ ভীতিই মুসলমানের জন্য শেষ্ঠ পাথেয়।
আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন,
"আল্লাহ্ ভীতিই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পাথেয়। অতএব হে বুদ্ধিমান মানুষেরা তোমরা আমাকেই ভয় করো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৯৭)
আল্লাহ্ তা'আলা সফলতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে আল্লাহ্ ভীতি অবলম্বনের নির্দেশ দেন।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ নির্দেশ দেনঃ
"আর আমাকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৯)
এছাড়াও আরো অনেক আয়াতে মহান আল্লাহ্ মুসলিমদেরকে "আল্লাহ্ ভীতির" নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
“আর শুভ পরিণাম তো আল্লাহ্ভীরুদের জন্যই।
”- ( সূরা আল-আ‘রাফ: ১২৮);
আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা আরও বলেছেন:
“আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথসমূহের হিদায়াত দিব। আর নিশ্চয় আল্লাহ মুহসিনদের সঙ্গে আছেন। ” - (সূরা আল-‘আনকাবুত: ৬৯)।
তাই আসুন আমরা তওবা করি। মৃত্যু কখন এসে যায় বলা যায় না।
তাই আসুন মৃত্যু আসার পূর্বেই তওবা করি। সৎ জীবন-যাপন করি। একবার মৃত্যু যন্ত্রণা উপস্থিত হলে আর তওবা করার সুযোগ থাকবে না ।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
"যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। (সুরা ফুরকানঃ ৬৮-৭০) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।