আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাকা দিয়া উকিলের পিছনে ঘুড্ডির মতন ঘুরবেন নাকি সহজে নিজের মামলা নিজে শিখবেন?

মাত্রাতিরিক্ত রকমের জ্ঞেয়ানী জনেরা আমার ব্লগের উটকো অতিথি বলে বিবেচিত হবে। আসেন তবে আইন শিখি। (প্রথম পর্বঃ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আপনাদের আবেদনের ভিত্তিতে আমরা এই পোষ্টে ব্লগার ভাই বোনদের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে সহজ ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব এবং সেই সাথে উক্ত আইন সম্পর্কিত মামলার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। একই সাথে আমরা এই মর্মে সকল ব্লগারদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, যারা আইন বিষয়ে ভালো জানেন এবং মামলা পরিচালনার বিভিন্ন টার্ম সম্পর্কে ভালো আইডিয়া রাখেন তারা কমেন্ট করার মাধ্যমে আমাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।

যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আমাদের সমাজের অবহেলিত নারীদের সুরক্ষা দেয়াই এই আইনের প্রধান লক্ষ্য। যেহেতু এই আইনটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে তাই এই আইন সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করা আমার মনে হয় ঠিক হবে না। তাই আমরা এই আইনটি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব। নিম্নে আলোচনা করার পর্যায়ক্রমিক সুচি দেয়া হল। ১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ২৷ সংজ্ঞা ৩৷ আইনের প্রাধান্য ৪৷ দহনকারী, ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তি ৫৷ নারী পাচার, ইত্যাদির শাস্তি ৬৷ শিশু পাচার, ইত্যাদির শাস্তি ৭৷ নারী ও শিশু অপহরণের শাস্তি ৮৷ মুক্তিপণ আদায়ের শাস্তি ৯৷ ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি ৯ক৷ নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ইত্যাদির শাস্তি ১০৷ যৌন পীড়ন, ইত্যাদির দণ্ড ১১৷ যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির শাস্তি ১২৷ ভিক্ষাবৃত্তি, ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি করার শাস্তি ১৩৷ ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জন্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান ১৪৷ সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ ১৫৷ ভবিষ্যত্ সম্পত্তি হইতে অর্থদণ্ড আদায় ১৬৷ অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি ১৭৷ মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তি ১৮৷ অপরাধের তদন্ত ১৯৷ অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি ২০৷ বিচার পদ্ধতি ২১৷ আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার ২২৷ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা ২৩৷ রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির সাক্ষ্য ২৪৷ সাক্ষীর উপস্থিতি ২৫৷ ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি ২৬৷ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২৭৷ ট্রাইব্যুনালের এখ্‌তিয়ার ২৮৷ আপীল ২৯৷ মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ৩০৷ অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার শাস্তি ৩১৷ নিরাপত্তামূলক হেফাজত ৩১ক৷ ট্রাইব্যুনাল, ইত্যাদির জবাবদিহিতা ৩২৷ অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা ৩৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ৩৪৷ ১৯৯৫ সনের ১৮ নং আইনের রহিতকরণ ও হেফাজত >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> (১) সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) নামে অভিহিত হইবে।

(২) সংজ্ঞাঃ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,- (ক) “অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ; (খ) “অপহরণ” অর্থ বলপ্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করিয়া বা ফুসলাইয়া বা ভুল বুঝাইয়া বা ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন স্থান হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র যাইতে বাধ্য করা; (গ) “আটক” অর্থ কোন ব্যক্তিকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা; (ঘ) “ট্রাইব্যুনাল” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন ট্রাইব্যুনাল; (ঙ) “ধর্ষণ” অর্থ ধারা ৯ এর বিধান সাপেক্ষে, Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর Section 375 এ সংজ্ঞায়িত ærape”; (চ) “নবজাতক শিশু” অর্থ অনূর্ধ্ব চল্লিশ দিন বয়সের কোন শিশু; (ছ) “নারী” অর্থ যে কোন বয়সের নারী; (জ) “মুক্তিপণ” অর্থ আর্থিক সুবিধা বা অন্য যে কোন প্রকারের সুবিধা; (ঝ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898); ১[ (ঞ) “যৌতুক” অর্থ- (অ) কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ; অথবা (আ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ; (ট) “শিশু” অর্থ অনধিক ষোল বত্সর বয়সের কোন ব্যক্তি;] (ঠ) “হাইকোর্ট বিভাগ” অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ। আমার পোষ্টটি আপনাদের ভালো লাগলে ফেসবুকের এই পেজে একটি লাইক দিবেন। এই মর্মে আপনাদের অবগত করা যাচ্ছে যে, ফেসবুক লাইকের আবেদন কোন ব্যক্তিগত বা আর্থিক লাভের জন্য করা হয় নাই। নিতান্তই আমার পোষ্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ইচ্ছে যদি কারো থাকে তবে তিনি একটি ফেসবুক লাইক দেয়ার মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

(০১) বিদ্রঃ আপনাদের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে আলোচনা করা হবে। এবং সেই সাথে এই আইনের পরবর্তী ধাপ সমুহ আপনাদের কাছে সহজ ভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে নিয়মিত পোষ্ট আপডেট করা হবে। (০২) বিদ্রঃ লাইক দেয়া না দেয়া আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার; এই ব্যাপারে কোনরূপ কটু মন্তব্য না করার জন্য লেখক আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.