ডাক্তার চেক আপ করে বলে এখনো সময় আছে বাচ্চা নিতে না চাইলে ফেলে দেয়া যাবে। স্বামী স্ত্রী দুজনে সিদ্ধান্ত নেয় বাচ্চা ফেলে দেয়ার। একদিন সন্ধ্যায় সেই লেডি ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তাদের জীবনের প্রথম বাচ্চাটিকে মেরে ফেলে। অবশ্য বাচ্চার জন্ম হয়েছিল কি না স্বামী স্ত্রী কেউ জানে না।
ভালই চলছিল ওদের সংসার।
মাঝে মধ্যে দুই একটু ঝগড়া কথা কাটাকাটি ছাড়া তেমন বড় কোনো ঝামেলা হয়নি ওদের সংসারে।
দুই রুমের একটি বাসায় দুজন থাকে। সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে কোথাও বেড়াতে যায়। এভাবে একবার কক্সবাজারও চলে যায় ওরা। সেখানে সাত দিন বেড়ায়ে আসে।
তিন বছরের মাথায় আবার পেটে বাচ্চা। এবার আর বাচ্চা নষ্ট করার চিন্তাও করেনি। এক এক করে দিন যায় বাচ্চা বড় হয় পেটে। একটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিজারের মাধ্যমে প্রথম সন্তান জন্ম নেয়।
বাচ্চার মুখ দেখে টিটুর মনে মায়ার উদ্রেক হয়।
একটি বাচ্চা নিয়ে সংসার চলছিল।
দুই বছরের মাথায় আবার দ্বিতীয় বাচ্চা।
এখন বড় ছেলের বয়স ৯ বছর। ছোটটা আট বছর। দুজনই স্কুলে যায়।
বদমেজাজী স্ত্রীর রাগ দিন দিন যেন বেড়েই চলে। টিটু যতই ঠান্ডা হতে চায় স্ত্রীর রাগ ততই বেড়ে যায়।
এভাবে গত বছর দুয়েক হলো ওদের মধ্যে প্রায় কথাকাটাকাটি হচ্ছে।
এরই মধ্যে সম্পা টিটুকে প্রস্তাব দেয় তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। টিটু সম্পাকে চলে যেতে বললেও তালাক দিতে রাজি নয়।
সে বলে তোমার যেতে মন চাইলে চলে যেতে পারো। আমি তালাক দিতে পারবো না।
কয়েকমাস ধরে এভাবেই তাদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে।
টিটু মাঝে মাঝে ভাবে বউকে ছেড়ে আর একটা বিয়ে করবে। সুখে থাকবে।
কিন্তু আবার চিন্তা করে দেখে প্রথম বউকে ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বউ নিয়ে কী সুখি হওয়া যাবে।
এভাবেই ওদের সংসার চলছে।
সম্পাও মাঝে মাঝে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আবার থেমে যায়। দুটি ছেলের জন্য নাকি তা নিজেও বলতে পারে না।
একেক বার চিন্তা করে সব ফেলে চলে যাবে।
পরক্ষণে ভাবে এভাবে চলে গেলে ছেলে দুটোর কি হবে।
ওদের দুজনের সংসার শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না তা আমার জানা নেই। তবে আমি ওদেরকে বলেছি এভাবে না করে দুজনে মিলে মিশে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেয়াই ভাল। ১২ বছর এক সঙ্গে কাটিয়ে এখন আলাদ হয়ে কী লাভ।
শেষ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।