টিটু একটি কাল্পনিক নাম। সে অনেক দিন আগে সম্পাকে বিয়ে করে। কোনো প্রেম প্রীতি বা ভালবাসার মাধ্যমে নয়। বিয়েটা হয় প্রস্তাবের মাধ্যমে। এখন থেকে ১২ বছর আগে এক সকালে সম্পা তার বান্ধবীর সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় টিটু তাকে দেখে পছন্দ করে।
এরপর প্রস্তাব দেয় তার পিতার কাছে। সম্পা তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাই তার পিতা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বলে আগে মেয়ের পরীক্ষা শেষ হোক, তারপর দেখা যাবে।
এ অবস্থায় টিটু অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে।
সে সম্পাকেই বিয়ে করতে চায়।
এদিকে টিটুর অভিভাবকেরাও সম্পার পরিবারে বিয়েতে অমত দেয়।
হতাশা আরো একটু বাড়ে টিটুর।
এভাবে ৬ মাস চলে যায়। সম্পার পরীক্ষা শেষ।
টিটু আবারো প্রস্তাব পাঠায় সম্পার বাসায়। এবারো গড়িমসি। এরমধ্যে টিটু জানতে পারে সম্পাকে অন্য এক ছেলে বিয়ে করতে চায়। সম্পার বাবা তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘর বাড়ি দেখে এসেছে।
এ খবরে টিটু ভেঙ্গে পড়ে।
সে তদবীর শুরু করে। স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সম্পার বাবাকে চাপ দেয়। মেয়েকে যদি বিয়ে দেন তো টিটুর কাছে কেন নয়?
দেন দরবার চলে আরো কিছু দিন। এরমধ্যে একদিন হঠাৎ টিটু সম্পাদের বাসায় যায়। সম্পার মা ছেলে দেখতে চায় জানতে পেরেই টিটু লাজ লজ্জা ফেলে সম্পাদের বাসায় যায়।
মিস্টিও খেয়ে আসে।
এভাবে কিছু দিন চলার পর টিটু ঢাকায় চলে আসে। সে ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরী করে।
টাকা পয়সা যা আছে চলে যায়।
হঠাৎ টিটুর বন্ধু এলাকা থেকে ফোন করে টিটুকে।
তারাতারি তোমার গার্জিয়ান পাঠাও। মেয়ের বাবা রাজী হয়েছে।
এখবরে টিটু অনেকটা আশ্বস্ত হয়ে তার বড় ভাই ও মাকে এ ঘটনা জানায়।
এবার তার বড় ভাইও একটু রাজি হয়। সে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলার জন্য গ্রামে যায়।
এদিকে সম্পার বড় মামা একদিন ঢাকায় টিটুর অফিসে এসে হাজির।
ছেলের চাকরীর পজিশন দেখাই উদ্দেশ্য।
গ্রাম্য মামা ঢাকার আতিথেয়তায় মুগ্ধ। গ্রামে ফিরে হয়তো বোন-ভগ্নিপতিকে অনেক কিছুর সঙ্গে এটাও বলেছে এই ছেলের কাছে ভাগ্নিকে তুলে দিতে তার আপত্তি নেই।
এভাবে করে ২০০০ সালের কোনো একদিন সম্পা-টিটুর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
মহা ধুম ধামে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় সম্পাকে নিয়ে ঢাকা আসে টিটু।
প্রথমে ভাইয়ের বাসায় উঠলেও কয়েক মাসের মাধ্যে আলাদা বাসা নেয়
টিটু।
শুরু হয় ওদের নতুন জীবন। দু্ই রুমের বাসা।
দুজনে যা খায় তাই ভাল লাগে। যা করে তাই ভাল লাগে। টিটু অফিসে গেলে সম্পা একা বাসায় থাকে। তার সময় কাটানোর জন্য একটি কম্পিউটার কিনে দেয় টিটু। সঙ্গে একটি টিভি কার্ড।
টিভি দেখে আর কম্পিউটার গেম খেলে সময় কাটে সম্পার।
বছর না ঘুরতেই সম্পার পেটে বাচ্চা। দুজনেই টেনশনে পড়ে যায়।
এখনই বাচ্চা হোক তা দুজনেই চায় নি। কিন্তু কিভাবে কী হলো বুঝে উঠতে পারছে না।
ভাল একজন গাইনির ডাক্তারের কাছে যায়..............
আবার কাল ........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।