>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযাত্রা’ (মিশন এন্টি রোহিঙ্গা) নাম দিয়ে নিজেদের ফেসবুক ফ্যান পেজে প্রচারিত তথ্যে বার্মিজ হ্যাকাররা দাবি করেছে যে বাংলাদেশের সরকারি, রাষ্ট্রীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে এ প্রচেষ্টা ভারতীয় হ্যাকাররা তাদের সহযোগিতা করছে। ‘বাংলাদেশ সরকার তথাকথিত রোহিঙ্গা নামের সন্ত্রাসীদের গ্রহণ করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না পর্যন্ত’ এ হ্যাকিং অভিযান চলবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বার্মিজ হ্যাকার ইউনিটিম নামে এ গোষ্ঠিটির ফেসবুক ফ্যানপেজে দেয়া লিংক অনুসরণ করে দেখা যায় শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বার্ড ফাউন্ডেশন ও বোয়েসেল-এর মত প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় ১৩টি বাংলাদেশ ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের জাতিগত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নানা বর্ণবাদী আক্রমণমূলক তথ্য দেয়া হয়েছে। তারা বাংলাদেশর ভাল ভাল ওয়েবসাইট তেমন একটা হ্যাক করতে পারেনি। ভাল ওয়েবসাইটের মধ্যে কেবল বিডিনিউজ২৪.কম কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ রাখতে পেরেছে তারা।

তবে বসে থাকেনি বাংলাদেশ হ্যাকার গোষ্ঠি। বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস্‌ ও বাংলাদেশ সাইবার আর্মির উপুর্যুপুরি আক্রমনে কাঁপছে মায়ানমারের সাইবার স্পেস। বিভিন্ন সাইটে ঝুলছে বাংলাদেশের হ্যাকারদের সতর্ক বার্তা। এই সারিতে রয়েছে মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, কমার্সিয়াল ও পত্রিকার ওয়েবসাইট। হামলা করতে এসে নিজেরাই বেকায়দায় পড়েছে মিয়ানমারের হ্যাকাররা।

প্রথমে তারা ফেসবুকে তাদের ফ্যানপেজ হারায় বাংলাদেশের হ্যাকারদের কাছে। তারপর মায়ানমার সেন্ট্রাল ব্যাংকের ওয়েবসাইট দুইঘন্টার জন্য বন্ধ থাকে। প্রথম বড় আঘাত আনে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি। একবারে মায়ানমারের ২০টি সাইটের মৃত্যু তালিকা প্রকাশ করে। তারপর বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস্‌ কিছুক্ষণ পর পর মায়নমারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের মৃত লিংক প্রকাশ করছে।

তবে বাংলাদেশর হ্যাক করা সাইটে দেখা গেছে তারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশের ওয়েবসাইট হ্যাক করা থেকে বিরত থাকার জন্য মায়ানমারের হ্যাকারদের হুঁশিযারি প্রদান করে। ।