দেশটা আজ স্বাধীন না হলে আজকের সিদ্ধান্তটা আমাদের উপরও পড়তো। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। আর পাকিস্তানের সংসদ ও বিচার বিভাগ একেবারেই মুখোমুখি। কারণটা কি? কারণ পাকিস্তানের শত্রু পাকিস্তান নিজেই। যে অন্ধ আবেগ দিয়ে পাকিস্তানের জন্ম সেটি আজ আবার প্রমাণিত।
পাকিস্তানের নাগপাশ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখনো বালুচরা পাকিস্তানের যাতাকলে নিষ্পেষিত। জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্মের নামে পাকিস্তান জন্ম হওয়ার পর পৃথিবীর সকল অশান্তি এই দেশে।
এবং এখান থেকেই প্রমাণিত হয় রাষ্ট্র গঠনের শর্ত ও যুক্তি কোনোটিই ঠিক ছিল না। ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছিল কেবল ক্ষমতার জন্য। ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়।
আমরা সৌভাগ্যবান। পাকিস্তান নামক বর্বর, অশিক্ষিত দেশের সাথে আমরা নেই।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা অর্জন করেছি। আমরা সভ্য হয়েছি এটাও বলে যাবে না। এর কারণও পাকিস্তানী প্রেতাত্মা। এদেশে ধর্মের নামে অধর্ম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এখনো ম্রিয়মান হয়ে যায়নি। ধর্মের মূল বাণীকে উপেক্ষা করে অশান্তির মাধ্যমে দেশকে নৈরাজ্যকর অবস্থায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বার বার।
সেটি সকল আমলেই।
আমাদের রাজনীতিকরাও এই ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ইচ্ছামত। কেউ একজনের কপালে সিদুর একে মনোবিকৃতি প্রকাশ করে আবার কেউ অপরজনের চরিত্র নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তোলে।
তারপরও আমরা ভাল আছি। প্রথমত পাকিস্তানের সাথে নেই।
দেশটি এখনো তালেবান রাষ্ট্র হয়ে যায় নি। আমেরিকা এখনো আমাদের দেশে সেনা অভিযান চালায় না। আমাদের জাতিগত সংঘর্ষ হয় না, যদিও আস্থার অভাব এখনো আছে।
অন্তত এই ভেবে আমি আনন্দিত যে আমাদের কেউ বর্বর বলে না।
আমার সমস্ত শ্রদ্ধা সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
সেই সব অসহায় মানুষের প্রতি যারা শত প্রতিকূলতায় দেশ স্বাধীন করার জন্য দাড়িয়েছিলেন। সেই সব মা বোনদের প্রতি যারা হায়েনাদের নির্যাতন সহ্য করেছিলেন।
আমার সমস্ত শ্রদ্ধা এই দেশের মানুষের প্রতি যারা একটি নতুন সকালের জন্ম দিয়েছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।