গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচে জয় কেবল তিনটিতে। সেটিও বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও হল্যান্ডের বিপক্ষে। কোনো রকমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানের সামনে অবিশ্বাস্যরকম অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যেন ‘অপমান’ করল নক আউট পর্বকেই!
‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ আটে আসা পাকিস্তান শেষ চারের পথটাও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ঘণ্টা বাজানোর জন্য চাই মাত্র ১১৩ রান। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত এগিয়ে চলা পাকিস্তানের তো এই সহজ পথটা হেসে-খেলেই পাড়ি দেওয়ার কথা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অসহায়ত্বের সূচনা হয় তৃতীয় ওভারেই। ৮ রানে থাকা ক্রিস গেইলকে শিকারে পরিণত করেন উমর গুল। দলীয় সংগ্রহ তখন ১৪ রান। দুই রানের ব্যবধানে নেই আরও দুটি উইকেট! ষষ্ঠ ওভারে দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ হাফিজ। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন ২৭তম ওভারে অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও তুলে নিলেন দুটি উইকেট।
৫৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন, আর ৭১ রানের মধ্যে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম উইকেট! একপর্যায়ে ইনিংস শেষ ৪৩.৩ ওভারে, মাত্র ১১২ রানে। ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে নক আউট পর্বে আসা ক্যারিবীয়দের আনন্দ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বিষাদে ভরে গেছে সন্দেহ নেই। তবে এই হতাশার মধ্যেও ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। অন্য প্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেছেন, কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি হতাশায় ডুবিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি।
৯.৩ ওভারে ৩০ রান খরচায় তিনি শিকার করেন চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ হাফিজ ও সাঈদ আজমল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।