পবিত্র উমরা হজ্ব পালনের জন্য বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছে।
মহিলাদের হজ্ব
এ বিষয়ে সকলেই একমত যে পুরুষের মত কোন মহিলা মালদার হলে তার উপরও হজ্ব ফরজ। কেননা হজ্জ ফরজ সংক্রান্ত আয়াতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপরই হজ্জ ফরজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাসুলে কারিম (স) এর হাদীস থেকেও প্রমানিত যে নারী পুরুষ সকলের উপরই হজ্জ ফরজ। ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদ সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
উপরন্তু হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত একটি হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে নারীদের উপর হজ্জ ফরজ। হযরত আয়েশা (রা) বলেন, আমি রাসুলে কারিম (স) এর দরবারে প্রশ্ন করেছি হে আল্লাহর রাসুল! নারীদের উপর কি জিহাদ নেই? তিনি জবা্ব দিলেন হ্যাঁ নারীদৈর উপর্ও জিহাদ আছে তবে এই জিহাদে কিতাল তথা সশস্ত্র সংগ্রাম নেই। ( নারীদের জিহাদ হচ্ছে) হজ্জ ও উমরা। ( আহমদ ইবনে মাযা)
নারীদের উপর হজ্জ ফরজ এ বিষয়ে সকলে একমত হলেও তাদের সাথে মাহরাম থাকা শর্ত কিনা কিংবা পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে অপর বিশ্বস্ত মহিলাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবে কিনা এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে একাধিক মত বিদ্যমান।
মহিলাদের মাহরাম প্রসংগ
মহিলাদের সাথে মাহরাম থাকা হজ্জ এর জন্য অপরিহার্য শর্ত কিনা এ নিয়ে ফকীহদের মধ্যে মতভেদ আছে।
১. ইমাম আবু হানিফা ও আহমদের মতে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ছাড়া কোন মহিলা হজ্জ করতে যেতে পারবেনা। সুফইয়ান সওরী উল্লেখ করেন সফর যদি তিন রাত- দিনের কম হয় তাহলে ইমাম আবু হানিফার মতেও স্বামী বা মাহরাম ছাড়া হজ্জ করতে পারবে। কিন্তু তিন রাত-তিন দিন বা তার চেয়ে বেশী হলে এককাকী হজ্জ করতে পারবেনা। হাসান ,ইকরিমা, ইবরাহীম নাখয়ী , তাউস, শাবি, ইসহাক, সাওরী ও ইবনে মুনযের প্রমুখ এই মতের সমর্থক। শাওকানী উল্লেখ করেন ইমাম আহমদের মতে এমন মহিলার জন্য মাহরাম শর্ত নয় যাদের নিজেদের পক্ষ থেকে বা তাদের উপর ফেতনার আশংকা নেই।
ইমাম অবু হানিফার মতের সমর্থনে নিম্নের দলিল সমূহ বিদ্যমান:
# হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলে কারিম (স)কে বলতে শুনেছি কোন পুরুষ কোন মহিলার তার মাহরাম ছাড়া নিংসংগ অবস্থায় থাকবেনা। আর কোন মহিলা মাহরাম ছাড়া সফর করবেনা। একথা শুনার পর জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো হে আল্লাহর রাসুল! আমার স্ত্রী হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে আর আমি অমুক জিহাদে নাম লিখিয়েছি। এতদশ্রবনের পর আল্লাহর রাসুল বললেন! তুমি চলে যাও এবং তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ করা। ( মুত্তাফিকুন আলাইহি)
# ইবনে উমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন কোন মহিলা তিন দিনের দুরত্বে মাহরাম ছাড়া ভ্রমন করবেনা ( মুত্তাফিকুন আলাইহি)।
# হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলে কারিম (স) বলেছেন, মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা হজ্জ করবেনা ( দার আল ক্কুতনী)।
# হযরত আবু উমামা আল বাহেলী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসুলে কারিম (স)কে বলতে শুনেছি কোন মুসলিম মহিলা একাকী হজ্জ করা বৈধ নয় তার সাথে তার স্বামী ও মাহরাম ছাড়া ( তিবরাণী)।
২. স্বামী কিংবা অপর মাহরাম যদি যেতে না পারে বা না থাকে তাহলে ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ীর মতে অপরাপর বিশ্বস্ত মহিলাদের সাথে যেতে পারবে। আসান ফিকহ গ্রন্থে ইমাম শাফেয়ীর অপর নির্ভ যোগ্য মহিলার ব্যাখ্যা এভাবে দেয়া হয়েছে যে, কিছুসংখ্যক মেয়ে লোক যদি তাদের মাহরাম লোকের সাথে হজ্জে যায়। তাহলে এধরনের দলের সাথে স্বামী বা মাহরামহীন মেয়ে লোক হজ্জ করার সুযোগ আছে।
ইমাম মালেকের মতে এধরনের দলে যদি মাত্র একজন মহিলা থাকে তাহলে অপর কোন মহিলা মাহরাম ছাড়া যাওয়া ঠিক নয়। হাম্মাদ (র ) বলেন মুসলিম নেককার যে কোন গ্রুপের সাথে একজন মহিলা হজ্জ করতে পারে। ইমাম আওযায়ীও অনুরুপ মত পেশ করেন।
ইমাম শাফেয়ী রহ এর মতের সমর্থনে নিম্নোক্ত দলিল সমূহ পেশ করা হয়:
# রাসুলে কারিম (স) এর পত্নীদেরকে হযরত উমর (রা) হজ্জ করার অনুমতি দিয়েছেন। তাঁদের সাথে উছমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমান ইবনে আউফকে পাঠানো হয়।
উছমান (রা) উচ্চস্বরে বলতেন হে লোক সকল তোমরা কেউ তাঁদের কাছে এসোনা এবং তাঁদের দিকে তাকাইওনা। সে সময় তাঁরা উটের উপটর হাউদাজের ভিতর ছিলেন। রাসুলে কারিম (স) এর পত্নীগণ হযরত উছমানের খিলাফতকালেও হজ্জ করেন ।
# হযরত আয়েশার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন মহিলা কি মাহরাম ছাড়া হজ্জ করতে পারবেনা? তিনি বলেন প্রত্যেক নারী মাহরাম পাবেনা।
উপরোক্ত উভয় মতের পক্ষের দলিলসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ইমাম আবু হানিফার মতের সমর্থনে উপস্থাপিত দলিলসমূহ অধিক শক্তিশালী।
স্বামী বা মাহরাম দীর্ঘ সফরে না থাকলে হঠাৎ শারীরিক অসুস্থ হলে কিংবা অন্য কোন মারাত্মক সমস্যা দেখা দিলে সত্যিই অপর কারো পক্ষে দেখাশুনা করা কঠিন। তবে হযরত উমর ফারুক কর্তৃক নবী পত্নীদেরকে উছমান (রা) ও আব্দুর রহমান ইবনে আউফের তত্বাবধানে হজ্জে প্রেরণের মাধ্যমে একথা প্রমানিত হয় যে রাষ্ট্র যদি বিশেষ নিরপত্তার ব্যবস্থা করে বিশ্বস্ত পুরুষের তত্বাবধানে অপর মহিলাদের সাথে পাঠায় সে অবস্থায় স্বামী বা মাহরাম ছাড়া যাওয়া যেতে পারে।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন যে হযরত উমর (রা) যাদের সাথে নবী পত্নীদেরকে হজ্জে পাঠিয়েছিলেন তাদের একজন ছিলেন রাসুলে কারিম(স) এর জামাতা উছমান ইবনে আফফান। আর অপরজন ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে আউফের মতো সাহাবী। তাঁদের তত্ববধানে গিয়েছিলেন উম্মাহাতুল মুমিনিনগণ- যাঁদের সাথে কোন মুসলমানের বিবাহ চিরতরে নিষিদ্ধ ছিল।
যেসময় হযরত উমর তাঁদেরকে হজ্জে যাওয়ার অনুমতি দান করেন তখন তিনি ছিলেন তদানীন্তন সময়ের বিশাল সাম্রাজ্যের খলিফা। অতএব , এঘটনাকে দলিল হিসাবে উপস্থপান করে গনভাবে মাহরাম ছাড়া কোন মহিলাকে হজ্জে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য যে মাহরাম ঐ ব্যক্তি যার সাথে স্থায়ীভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম। বংশীয় কারণে বা অন্য বৈধপন্থায় একে অপরের মাহরাম হতে পারে। বংশীয়ভাবে যারা মাহরাম তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: ১. পিতা, মাতা ,দাদা দাদী , নানা নানী বা তদুর্ধের যারা ২.ছেলে , মেয়ে, নাতি , নাতনি বা তদনিন্মের যারা ৩. ভাই ,বোন( আপন, বৈমাতৃয় ও বৈপিতৃয়) ৪. ভাতিজা, ভাতিজি ও ভাগ্নে ভাগিনী ৫.চাচা ও মামা ৬. খালা ও ফুফু
উল্লেখ্য, বংশীয় কারণে,যেমনিভাবে মাহরাম হয় তেমনিভাবে দুধপানের মাধ্যমেও মাহরাম হতে পারে।
হাদীসে রাসুল অনুযায়ী বংশীয় কারণে যারা মাহরাম হন তাঁরা দুধপানের মাধ্যমেও মাহরাম। বৈবাহিক বন্ধনের কারণে যারা স্থায়ীভাবে মাহরাম হন তাঁদের সাথেও হজ্জে যাওয়া বৈধ। যেমন স্বামী বা স্ত্রীর পিতা মাতা,ছেলে মেয়ে একে অপরে জন্য মাহরাম। বৈবাহিক বন্ধানর কারণে অস্থায়ীভাবে যারা মাহরাম হন তাদের সাথে বা তাদেরকে নিয়ে হজ্জের সফরে যাওয়া বৈধ নয়। যেমন স্ত্রীর বোন, ভাইজিও স্বামীর জন্য মাহরাম।
কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যুর পর বা তালাক দিলে তাদেরকে বিবাহ করা বৈধ। এধরনের অস্থায়ী মাহরাম যারা তারা তাদের স্থায়ী মাহরাম ছাড়া সফরে যাওয়া বৈধ নয়।
মাহরামের খরচ বহন প্রসংগে
মাহরামের খরচ কে বহন করবে? এ সম্পর্কে ফকীহদের মধ্যে মতভেদ আছে।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মতে মাহরাম ব্যক্তির আসা যাওয়ার ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে। ইমাম আবু হানিফার মতে যদি মাহরাম খরচ না দিলে মহিলার সাথে হজ্জে যেতে অস্বীকার করে সে অবস্থায় খরচ দেয়া আবশ্যক।
কুদুরীতে ইমাম আবু হানিফার এই অভিমতটি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ইমাম তাহাবী উল্লেখ করেন ইমাম আবু হানিফার মতে এমতাবস্থায় মাহরামের খরচ বহন করা কতর্্যব্য নয়। মাহরাম যদি নিহ খরচে হজ্জে যেতে অস্বীকার করে তাহলে মহিলার উপরে হজ্জ ওয়াজিব নয়। ইমাম শাফেয়ীর মতে মাহরাম এর খরচ বহন করতে হবে। এমনকি মাহরাম যদি পারিশ্রমিক তথা বিনিময় চায় তাহলে বিনিময় দিতেও বাধ্য।
হজ্জে যেতে স্বামীর অনুমতি প্রসংগে
সকল ইমামই এ বিষয়ে একমত যে স্ত্রী যদি নফল হজ্জ করতে চায় তাহলে স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। স্বামী ইচ্ছা করলে নফল হজ্জ আদায় করতে নিষেধ করতে পারেন। কিন্তু স্ত্রী যদি ফরজ হজ্জ করতে চায় তাহলে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এর মতে এর জন্য স্বামীর অনুমতি নেয়া মুস্তাহাব - বাধ্যতামুলক নয়। ফরজ হজ্জ আদায় করতে স্বামীর বাধা দেয়ার অধিকার নেই। স্বামী যদি অনুমতি দেয় ভাল অনুমতি না দিলেও হজ্জে যেতে হবে।
কেননা নামাজ রোজার মতো হজ্জ করাও ফরজ। ইমাম নখয়ী, আবু সওর, ইসহাক প্রমুখ এই মত সমর্থন করেন। এটাই ইমাম শাফেয়ীর প্রসিদ্ধ অভিমত ।
ইমাম শাফেয়ীর অপর মতানুযায়ী স্বামী ফরহ হজ্জ পালনেও বাধা দিতে পারবে। কেননা তাঁর মতে বিলম্বে আদায় করলেও ফরজ হজ্জ আদায় হয়ে যায়।
ইদ্দত পালনকারিণী স্ত্রীর হজ্জে গমন প্রসংগে
যে মহিলা ইদ্দত পালনরত তার পক্ষে হজ্জে যাওয়া শরীয়ত সন্মত কিনা এ সম্পর্কে দুটি অভিমত রয়েছে।
১. ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর মতে ইদ্দতপালনরত মহিলার হজ্জে যাওয়ার অনুমতি নেই। তার পক্ষে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়। হযরত উমর, উছমান, সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব, কাসেম, আবু উবায়েদ (রহ) থেকে এমতের সমর্থনে হাদীস পাওয়া যায়। মুজাহিদ (রহ) বর্ণনা করেন, উমর ও উছমান (রা) উভয়েই জুহফা ও যুলহুলাইফা থেকে হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে গমনকারীণি এধরনের মহিলাদের ফেরত পাঠিয়েছেন ।
২. যুহরী, মুয়াম্মারসহ কেউ কেউ মনে করেন যে মহিলা ইদ্দত পালনরত তার পক্ষে হজ্জে যাওয়া শরীয়ত সন্মত। উরওয়া বলেন হযরত আয়েশা (রা) তাঁর বোন উম্মে কুলসুম এর স্বামী তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহকে হত্যা করা হলে তাকে নিয়ে উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কা গমন করেন। উরওয়া বলেণ, হযরত আয়েশা (রা) ইদ্দতপালনকারিণী মহিলা ঘর থেকে বের হওয়ার পক্ষে ফতোয়া দান করতেন। এ প্রসংগে কেউ কেউ হযরত ইবনে আব্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে বলেছেন কিন্তু কোথায় ইদ্দত পালন করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে বলেননি। তাই যেখানে ইচ্ছা সেখানে ইদ্দত পালন করা যাবে।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ , আতা ও তাউস অনুরুপ মত পেশ করেন। ইবনে আবি শাইবা বলেন, আমি হযরত আতাকে প্রশ্ন করেছি তিন তালাকপ্রাপ্তা ও স্বামী মৃত্যুবরণ কারিণী মহিলা সম্পর্কে। তাঁরা ইদ্দত অবস্থায় হজ্জ করতে পারবেন কিনা? তিনি জবাবে বলেণ হ্যঁ। হযরত হাসান (রহ) এর অভিমতও অনুরুপ ।
হজ্জের সফরে স্বামী মারা গেলে
স্বামী স্ত্রী উভয়েই হজ্জ করার জন্য বের হবার পর স্বামী পথিমধ্যে মারা গেলে স্ত্রী কি করবে এ সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে।
১. ইমাম আবু হানিফার মতে যদি মক্কার চেয়ে বাড়ীর পথের দুরত্ব কম হয় তাহলে বাড়ীর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। আর যদি মক্কার দিক নিকটবর্তী হয় তাহলে হজ্জ সমাপন করবে। কিন্তু যদি দেখা যায় উভয় দিক সমান তাহলে মহিলার ইখতিয়ার থাকবে সে ইচ্ছা করলে মক্কায় যেতে পারে কিংবা বাড়ীতে ফেরত আসতে পারে। অথবা যেখানে স্বামী মারা গেছে সে স্থানে অবস্থান করতে পারে। ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ এর মতে কোন মাহরাম পাওয়া গেলে তার পক্ষে বের হওয়া ঠিক নয়।
ইমাম আবু হানিফা এ প্রসংগে আরও বলেন যদি স্ত্রী নিরাপত্তহীনতায় ভোগে তাহলে সে নিরাপদস্থানে চলে যাওয়া উচিৎ। তার সাথে মাহরাম থাকুক বা না থাকুক তাকে নিরাপদস্থানে চলে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সাহেবাইনের মতে মাহরাম ছাড়া কোথাও যাওঅ ঠিক নয়।
২. ইমাম মালেক (রহ) বলেন ইহরাম এর মাধ্যমে হজ্জ এর নিয়্যাত করার আগে স্বামী মারা গেলে বাড়ীতে ফিরে আসতে হবে।
৩. ইমাম শাফেয়ীর মতে স্ত্রীকে ইখতিয়ার আছে সে ইচ্ছা করলে বাড় িফেরত আসতে পারে কিংবা হজ্জ সম্পন্ন করতে পারে।
৪. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বর বলেন বাড়ী যদি নিকটবর্তী হয় তাহলে বাড়ী ফিরবে আর দুর হলে ফিরবেনা। কাজী আয়ায বলেন এখানে নিকটবর্তী বলতে সফরের দুরত্বের কম হওয়া বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ নামাজ কসর পড়ার চেয়ে কম দুরত্বে থাকলে বাড়ী ফেরত আসতে হবে।
৫. চার ইমামের সবৃসন্মত অভিমত এটিই যে মহিলাকে বাড়ীতে এসে ইদ্দ পালন করতে হবে। তারপকে।
স পরবর্তী বছর হজ্জ করা সম্ভব কিন্তু ইদ্দত পালন করা সম্ভব নয়।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।