আমার আপন আরশী
মহিলারা সব সময়েই এমনই এক বন্ধনের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে যে, তারজন্য তাদের ইচ্ছা, অস্তিত্ব আর অধিকারের ভাবনা চিন্তার তেমন বিকাশ হতে পারেনি৷ যুগ যুগ ধরে মহিলারা শারীরিক ও মানসিক রূপে প্রতারিত হয়ে আসছে৷ মহিলা
সংগঠকরা অনেক চর্চা করে থাকেন যে মহিলারা হিংসা বা যৌন হিংসায় পীড়িত হন৷ মানসিক হিংসার শিকার মহিলারা হতে থাকেন আসুন সেই সেই দিকটি এক নজরে জেনে নিই।
* মানসিক হিংসা কাকে বলে?
যেখানে শারীরিক হিংসা নিম্নবর্গের মানুষেরা করে থাকে৷ কিন্তু মানসিক হিংসা উচ্চবর্গের, মধ্যবর্গ ও আভিজাত্য বর্গ বা শালীন বর্গের মানুষেরা যারা লেখা-পড়া জানা শিক্ষিত সমাজের লোক তাদের মধ্যেই মানসিক হিংসা হয়ে থাকে৷ এর পিছনে নিশ্চিতরূপে কিছু সামাজিক ও মনোবৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে৷ ভারতীয় সমাজে ছেলে সন্তানের তুলনায় মেয়ে সন্তানের সন্মান কম৷ যুগ যুগ থেকে এটাই হয়ে আসছে যে, পুরুষ শাসিত সমাজ৷
* উপেক্ষার অভ্যাস হয়ে যায় মহিলাদের
খুব রাগী হাসব্যান্ডের সঙ্গে অনেকদিন পর্যন্ত সংসার করতে করতে স্ত্রী অভ্যস্ত হয়ে যায়৷ প্রতিদিনের খিচখিচ, বিরক্ত, ঝগড়া, তিক্ত কথা সহ্য করতে করতে তারা উপেক্ষার বিষয় হয়ে যায়৷ ধীরে ধীরে তাদের মধেয এমনই এক সংকা সৃষ্টি হতে থাকে যে বোধ হয় তাদের মধ্যেই কোনও কিছুর কমতি রয়েছে৷ কখনও কখনও এমনও হয় যে স্ত্রী'র ইচ্ছা না থাকা সত্যেও শয্যাসঙ্গীনি হন৷ কারন হাসব্যান্ডের খুশীই তাদের কাছে সব থেকে বড়৷
* পুরুষদের দুটি রূপ
এমন পুরুষও আছেন যাদের দুই ধরনের রূপ৷ যারা সার্বজনিক, সকলের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলা, খুশমেজাজে থাকা৷ কিন্তু ঘরে এসে নিজের স্ত্রীর'র সঙ্গে ঠিক তার বীপরিত ব্যবহার করা তাকে অপছন্দ করা৷ স্ত্রীকে যা ইচ্ছ তাই বলা৷ আর অ ন্য মহিলা বা পুরুষদের সঙ্গে উন্মুক্ত থাকে৷ ঘরে এসে সপ্তম সুরে কথা বলে৷ বাচ্চা ও পত্নীর সঙ্গে জোরে ছাড়া আস্তে কথা বলে না৷
* এটি কেমন অপরাধ?
আপনার হাসব্যান্ড ঘরে ফিরে যদি চুপচাপ থাকে, কোনও কথা শেয়ার না করে, স্ত্রীর প্রতি কোনও লক্ষ্যই রাখে না৷ তাতে অসামান্য কি? আপনার সঙ্গে অশান্তি তো করছে না? বা আপনাকে মারামারি তো করছে না? আপনি এর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করবেন? সুতরাং এমন করেই মহিলারা উপেক্ষার বিষয় বস্তু হয়ে রয়েছে তাদের হাসব্যান্ডের কাছে৷
* মানসিক অশান্তির জন্য শারীরিক অসুস্থতা
এই ধরনের মানসিক অশান্তি শারীরিক অসুঅস্থতার কারণ হয়৷ যেমন অ্যাস্থমা, অপাচন ও অ্যাসিডিটি এই সক্ল অসুখ দেখা দেয়৷ এছাড়া পাইলস, সাইনাস, মাইগ্রেন এই সকল বড় বড় অসুস্থাও হয়ে যায়৷ সব থেকে বড় সমস্যা হয় যদি মহিলা প্রেগনেন্ট থাকে তাহলে তা মিসক্যারেজ হয়ে যায়৷
* মৌখিক মানসিক প্রতারনা
যা হাসব্যান্ডের কাছ থেকে প্রতাড়িত হতে থাকে ৷ যেমন, পুরুষেরা বলে থাকে 'ইউ আর বিউটি উইদাউট ব্রেন!' ইউ ডোন্ট হ্যাভ ব্রেন!' ইউ আর ব্রেনলেস উইমেন!' ' বুদ্ধি মানের মতো কথা তো কখনো বলবে না!' 'কখনও কখনও বুদ্ধিমানের মতো কথা বল!' এই ধরনের প্রতাড়না তো এক কমন ব্যাপার৷ এমন ধরনের কথা শুনতে শুনতে মহিলাদের চিন্তা করা বা ভাবনার ক্ষমতাটুকুও কমে যায়৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।