সারা দেশের পোলাপাইন ফেসবুক,ব্লগ বাবা দিবসের কথা লেইখা ভইরা ফালাইছে। এতারা ভাবে বছরের এইদিন বাবারে উইশ কইরা হাডাই হালাইবো। কিন্তু আমগো ব্যপার ভিন্ন গত ৩৬৫ দিনের মতোই আব্বা আইজ সকালেও আমার লগে চিল্লাচিল্লি কইরা ঘুম থেইকা উঠাইয়া অফিসে গেসে।
বিকাল বেলা আসার সময় আমার প্রিয় ফল কাঁঠাল নিয়া আইছে।
আমি সন্ধায় ফিরতে দেরি দেইখা ফোনে হারামজাদা কয়া গালি দিলো।
কইলো আর যেন ঘরে না আসি। আমি যথারীতি আইসা দেখি তিনি কাঁঠাল না খুলে বসে আছেন আমি কহন আমু। আমার লগে কাঁঠাল খাইবো।
৫/৭ দিন আগে কইছিলাম একটা গিটার কিন্না দিতে। কইলো টো টো কোম্পানির ম্যানেজার হইলে নাকি এইসব চিন্তা মাথায় আসে।
গিটারের নাম যদি কোনদিন নিসি তাইলে হাড্ডি ভাইঙ্গা ফালাইবো। কাইল রাইতে নাকি আম্মারে কইছে গিটার কিনতে কত লাগে আমারে জিগাইতে।
শুনো পশ্চিমা দুনিয়ার মানুষেরা বাবারে ওল্ড হোমে রাইখা বছরের একদিন মা দিবস,বাপ দিবস নাম দিয়া তারে দেখতে যাও। আর সারা বছর কোন খবর রাখনা তোমাগো এই দিবসের আমি নিকুচি করি।
আমরা ভাটির দেশের মানুষ আমাদের মন নদীর কাদার মত নরম।
আর বন্ধন ইস্পাতের চেয়ে শক্ত। তোমাগো এই সব দিবসের আমাদের দরকার নাই।
কারন তোমাগো বাপ মা তোমাগরে ১৮ বছর পরে ছাইরা দেয় আর আমাগো বাপ মা শরীরের শেষ ফোটা রক্ত দিয়ে হলেও সন্তানকে আগলে রাখে।
আজ বাবা দিবস নামক তোমাদের এই নাটকে আমরা অংশ নেইনা। আমাদের বাবারা আজ ও সকাল সকাল আমাদের সাথে হম্বি তম্বি করে ঘর থেকে বাইর হইছে আমাদের ওই গালাগালি বেশি ভালো লাগে।
সবাই ভালো থাকবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।