আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ও গার্মেন্টস শিল্প - কালো মেঘ সরে যাক, দেশ ও দশের কল্যানে

আমার তালগাছ লাগবো না, লইয়া যান !!! অনেকেরই ধারনা আছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলোতে শ্রমিকদের সাথে অনেক ধরনের অন্যায় করা হয়। আসলেই এমন হয়, কথা গুলো ঠিক। কিন্তু সেটা এখন অনেক কমে গেছে, সংখ্যায় অনেক নগন্য, কারন বেশীর ভাগ গারমেন্টসেই বায়ারদের কমপ্লায়ান্স বাধ্যবাধকতার কারনে এই সব ঘটনা অনেক কমে গেছে। তার পরেও এই বিশাল জনগোষ্টির সেক্টর থেকে দু একটা অসৎ মানুষের জন্য সব ফ্যাক্টরীকে তার দায় দেয়া ঠিক হবে না। এটাও ঠিক এই সেক্টর থেকে দেশের একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠির রূটি রুজির ব্যবস্থা হচ্ছে।

তাই এই সেক্টররের জন্য যেকোন অকল্যানকর কিছু হতে সাবধান থাকা উচিত। মালিক পক্ষ্যকে যেমন নিজেদের ভুল গুলো সংশোধন করতে হবে, নিজস্ব বিসস্ত গোয়েন্দা লাগিয়ে মনিটরিং এর মাধ্যমে অসাধু কর্মকর্তাদের কার্য কলাপ পর্যবেক্ষন এর মাদ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে আর বর্তমান উচ্চ বাজার দর এর প্রেক্ষিতে কর্মচারীদের নুন্যতম মৌলিক চাহিদা পুরন ও জীবন ধারনের জন্য একটা সুষম বেতন কাঠামো নির্ধারন করা উচিত। তাদের ঘামের বিনিময়ে উঠে দাঁড়ানো এই শিল্প, একথা ভুলে গেলে অমানুষের দলে নাম উঠবে। আবার শ্রমিক ভাই-বোনেরাও যেন কোন অসাধু চক্রের ইন্ধনে গুজবে বিশ্বাস করে, কোন কিছু যাচাই না করেই ভাংচুর বা ধংষাত্মক কোন কাজের দ্বারা এই শিল্পটাকে বন্ধ করার চক্রান্তে সামিল না হই। মনে রাখতে হবে ভাংচুর বা ধংষাত্মক কোন কাজে ভালো ফল পাওয়া যাবেনা।

উপরন্ত এতে বায়ারদের অর্ডার কমে যাবে, এতে এই শিল্পটা হুমকির মুখে পড়বে, অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হবে, অনেক কর্মী ছাটাই হবে। এমনিতেই গত ৭ / ৮ দিনে বন্ধ থাকায় ফ্যাক্টরি গুলো অনেক পেছনে পড়ে গেছে। অনেক শিপমেন্ট cancel হয়ে যাবে, অনেক অর্ডারের পন্য বিমানে শিপমেন্ট করতে হবে, এতে বড় ফ্যাক্টরি গুলো কিছুটা সামলাতে পারলেও ছোট ফ্যাক্টরি গুলার জন্য টিকে থাকা দায় হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে গার্মেন্টস শিল্প বাঁচলে এ দেশের কোটি লোক বাঁচবে যাদের রিযিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ এই শিল্পের সাথে জড়িত। এই শিল্পে যদি ধস নামে, তবে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ বেকার হয়ে যাবে, সন্ত্রাস, অপরাধ আশঙ্কা জনক ভাবে বেড়ে যাবে।

আমাদের রপ্তানি খাতে এই শিল্পের অবদান অনেক বেশী, এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বি অনেক দেশের (যেমন ঃ ভারত, পাকিস্তান, চীন) চক্রান্ত থাকতে পারে, তা এখানে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কারন বার বার ছোট ছোট ঘটনা আর গুজব নির্ভর আন্দোলন, ভাংচুর সে দিকেই ইঙ্গিত করে। আর আমাদের রাজনীতিবিদ্দের কথা কি আর বলবো, এক হয়ে দেশের স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া এদের কাছে যেন অপমানকর কোন বিষয়। তাই দায় আপনাদের ও নিতে হবে। দেশের অর্থনীতিই যদি ভেঙ্গে পড়ে তবে কি নিয়ে রাজনীতি করবেন।

যদিও আপনাদের রাজনীতি যে কার জন্য তা আমরা আম জনতা কখনোই বুঝিনা। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আলোচনা এবং সহিষ্ণুতার দ্বারা সব সমস্যার সমাধান করাটাই শ্রেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.