আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফখরুল সাহেব আপনাকেই বলছি...........

আপনার রাজৈনৈতিক গুরু জিয়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ১৯৭৮-৭৯ সালে ১ লক্ষ রোহিঙ্গা দেশে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল, আপনার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে ১৯৯১ সালে ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু আপনারা কি তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন??? আপনারা কি করেছেন তাদেরকে ভোটার লিষ্টে নাম ঢুকিয়ে ভোটার বানিয়েছেন। দেশের নাগরিক বানিয়েছেন আপনাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য। এখন দেখি বিরোধী দলে থেকেও আপনার মানবিক দৃষ্টিকোণ উপচে পড়েছে.. ....কোন কারণে সেটাতো জাতি জানে। আগে দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে চিন্তা করুন তারপর না হয় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাববেন।

এমনিতেই চার লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশাসন বিপাকে আছে....... চার লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে হিমশিম প্রশাসন আবু তাহের, টেকনাফ থেকে ফিরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শিবিরে সরকারি তালিকাভুক্ত শরণার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৪০০। সেখানে তালিকাবহির্ভূত আরও প্রায় ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। অন্যদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শিবিরে তালিকাভুক্ত শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ ক্যাম্পের সনি্নকটে লেদা বস্তিতে অবস্থান করছে আরও প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

এ দুটি ক্যাম্পে অবস্থানরত লক্ষাধিক আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার মাথাব্যথা নেই। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনও আনরেজিস্টার্ড শরণার্থীদের কোনো রকম সাহায্য-সহযোগিতা দিচ্ছে না। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তারা পাড়ি জমাচ্ছে পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তাদের দ্বারা বিদেশেও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

অনেকে ভোটার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উজাড় করে ফেলেছে বনভূমি। খাস জমিতে গড়ে তুলেছে বসতি। জড়িত হচ্ছে নানা অসামাজিক কার্যকলাপে। তাদের কারণে স্থানীয়রা বেকার হচ্ছে।

ফলে এ এলাকায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধ এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে এমনিতেই প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে, তারপর আরও ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর পরিকল্পনা মিয়ানমারের রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যাবাসন বন্ধ ৭ বছর, ফের আসছে রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেছেন, নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহলকে জানানো হয়েছে। কোনো নির্দেশনা না আসায় তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এমনিতে দুটি ক্যাম্পে অবস্থানরত ২৪ হাজার রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। তাদের প্রত্যাবাসন বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। তার ওপর নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করে শরণার্থী মর্যাদা দিতে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এতে করে ১৯৯১ সালের মতো ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সপরিবারে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে বস্তি গড়ে বসবাস করছে।

সরকারের শীর্ষ মহল থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাদের শরণার্থী মর্যাদা প্রদান অথবা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যাচ্ছে না। সংখ্যায় বেশি হওয়ায় পুশব্যাকও করা সম্ভব হচ্ছে না। রোহিঙ্গা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া বলেছেন, উখিয়া ও টেকনাফে দুটি ক্যাম্পে আনরেজিস্টার্ড লক্ষাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও প্রায় ৩ লাখ। তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ভয়াবহ হুমকি।

কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে গঠিত হয়েছে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি। টেকনাফ রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির নেতা জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদায় দুটি ক্যাম্পে লক্ষাধিক আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গার বিষয়ে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে এদের তালিকাভুক্ত করা হলে অন্তত তাদের খাদ্য বরাদ্দ জাতিসংঘ তহবিল থেকে পাওয়া যেত। এখন এ রোহিঙ্গারা জীবন-জীবিকার তাগিদে স্থানীয় শ্রমবাজার দখল করে নিয়েছে। ফলে স্থানীয়রা বেকার হয়ে পড়েছে।

আরও ১০ লাখ ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসরত ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার জন্য নতুন এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। আরাকান থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, 'মডেল ভিলেজ' নাম দিয়ে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় রাখাইন বসতি স্থাপন করার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী এক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, শুধু মংডু টাউনশিপে এ ধরনের ৪০টি 'মডেল ভিলেজ' তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, মডেল ভিলেজ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। রোহিঙ্গা মুসলিমরা মনে করছে, মিয়ানমার জান্তা আরাকানে অবশিষ্ট ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাও এ পরিকল্পনার অংশ। রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী নাসাকা তাদের কোনো বাধা দেয় না। বরং উৎসাহিত করে থাকে। ফিরে যেতে চাইলে তারা আবার বাধা দেয়। টেকনাফে বিজিবির এক কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পর অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে।

এ কর্মকর্তার মতে মিয়ানমার জান্তা সরকার সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে আরাকানকে রোহিঙ্গাশূন্য করার জন্য। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নুল বারী জানান, রোহিঙ্গারা স্থানীয় জনগণের জন্য যেমন ক্ষতির কারণ, তেমনি নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অন্তরায়। তাদের কারণেই সড়ক ডাকাতিসহ চুরি-ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।