৫ই মে এর গনহত্যা ইতিহাসের নৃশংস গনহত্যা গত ৬ই এপ্রিল ২০১৩ হেফাজতে ইসলামের ডাকে গণমানুষের জনসমুদ্রে পরিণত হয় মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বর। লক্ষ লক্ষ মানুষের এ মহাসমাবেশ কাঁপিয়ে দেয় ইসলামবিরোধী শক্তির ভিত। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় কোনো নাশকতা খবর না থাকায় মিডিয়াগুলো নানা তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে সমাবেশকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে।
সাংবাদিক নাদিয়ার উপর হামলা করেছে কারা?
তন্মধ্যে অন্যতম হলো, হেফাজতের সমাবেশে নারী সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন। এই সংবাদটি সমাবেশ পরবর্তী টকশো, সম্পাদকীয়, গণজাগরণ মঞ্চ, বুদ্ধিজীবীদের সাক্ষাৎকার - সব ক্ষেত্রেই হটকেক হয়ে ওঠে।
এবং এর সাথে নারীনীতির ইসলামবিরোধী অংশকে বাতিল করার যৌক্তিক দাবীকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নারীর উন্নতির অন্তরায় বলে প্রচার করে নারীদের আবেগকে উস্কে দেয়া হয়।
হেফাজতে ইসলামের কাছে এ ঘটনার ব্যাপারে কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ না থাকার পরও ইতোমধ্যে তারা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। তারপরও এই অপপ্রচার চলতেই থাকে। এবং নারীদের কোমল সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে হেফাজতকে তুলনা করা হয় আফগানিস্তানের সাথে।
সম্প্রতি রিপোর্টার নাদিয়ার ওপর আক্রমণের একটি খন্ড ভিডিও প্রকাশ পায়।
ভিডিওটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুস্পষ্টভাবেই দেখা যায় যে, একজন হেফাজতকর্মী নাদিয়াকে নিজের জীবনের হুমকি পরোয়া না করে নিরাপত্তা দিয়ে যান। এবং বারবার পেছনের উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত হওয়ার জন্য টুপি উঁচিয়ে ইশারা করেন।
উত্তেজনার শুরুটা কীভাবে তা এই ভিডিওতে প্রকাশ পায় নি। তবে ভিডিওটির শুরু থেকেই দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক হেফাজতকর্মীর পাশে ভিন্ন পোষাকের বহু মানুষ হট্টগোল করছে। পোষাকে ভিন্নতা থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
কিন্তু জনৈক হেফাজতকর্মী ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে নিরাপদে মোটর সাইকেলে পৌঁছে দেয়া হয় নাদিয়াকে। সেখানে আরো কয়েকজন হেফাজতকর্মী ঘিরে এসে তাঁকে নিরাপত্তা দেন।
নাদিয়া যদি হেফাজতকে তাঁর জন্য অনিরাপদ মনে করতেন, তাহলে নিশ্চয় সেই তরুণের কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করতেন না। কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষের আচরণের কারণে হেফাজতকে দায়ী করা কতটুকু বিবেকপ্রসূত? মহাসমাবেশ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে ও স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংবাদকর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে, সহযোগিতা করতে। এরপরও যারা অন্ধভাবে দায়ী করেই যাচ্ছেন হেফাজতকে, তাদের জন্য আফসোস হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।