বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীবাহী বাসে বহিরাগত ক্যাডারদের দেওয়া আগুনের ঘটনাকে কর্মচারী নিয়োগের ভাগ-বাটোয়ারাকেই দায়ী করেছেন সংশিল্গষ্ট ব্যক্তিরা। ভিসি অফিস, ক্ষমতাসীন শিক্ষক, ছাত্রনেতা, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে বাসে আগুনের ঘটনায় গতকাল ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘটে সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। বাসে আগুন দেওয়া সন্দেহে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে।
সাধারণ এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি এবং দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে দু'দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের জন্য ১৮০টি পদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই মাস্টাররোলে (এমআর) বিভিন্ন পদে যারা কাজ করছেন তাদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ভিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় বিভিন্ন অযোগ্যতার কারণে অনেকেই কার্ড পাননি।
জানা গেছে, কর্মচারী নিয়োগে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী-সাংসদসহ জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্যও ৩০ জন করে তালিকা দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ দাবি মানতে রাজি হয়নি। অভিযোগ উঠেছে এ কারণেই হামলা করেছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় বহিরাগত সাতজনের নামসহ প্রায় ২৫-৩০ অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার সহকারী ফোরম্যান মাহমুদুল হক। গ্রেফতারকৃতরা হলো_ ময়মনসিংহের ২০নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ ওরফে রিপন, যুবলীগ নেতা মোহসীন, সুমন, আজিজুল, সোহাগ, বহিরাগত রনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনিন।
পলাতক আসামিরা হলো_ জসিম, জীবন, জামাল, নাসিত কামাল কিরণ ও সুমন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে প্রক্টর ড. এমএ সালাম বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অচিরেই সব আসামি গ্রেফতার হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।