ভালো নেই । এই বছরটা মনে হয় খারাপের মধ্যেই যাবে । স্কুলের (এক উচ্চ বিদ্যালয়, নাম প্রকাশ করছি না) ভবনের পেছনে প্রায়ঃশই দেখা যায় ওদের স্মোকিং করতে । খালি খালি সিগার টানাতে সীমাবদ্ধ থাকে না । থাকে গাজা ।
ওদের ভাষায়-“আরে, খালি সিগার টানাতে কি টেষ্ট আছে?” তাই এই সিগারেটের ভেতর গাজা সেবন। কত বয়স বয়স হবে এদের ১৫-১৬। এই বয়সেই মাদকের ছোবল । বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ১২ বছরের ছেলেদের দেখছি ডান্ডি (এক প্রকার জুতোর আঠা ) টানতে । আর অবিশ্বাস হলেও সত্য এদের সংখ্যা মোটেও ওই স্কুল পেছনের ১০-১২ জন নয ।
অসংখ্য- অগনিত। বিওবানদের ছেলেরা এর মধ্যে সবার উপরে। নেশাগ্রস্ত/মাতাল অবস্থায় একবার এক স্কুলএর ৩০ এর অধিক ছাত্রকে আটক করেছিল বিদ্যালয় । আর কখনোই একাজে যাবে না এই মুচলেকা দিয়ে ওরা ছাড়া পায়।
পত্রিকা গুলো বেশ ফলাও করে নিউজ ছাপায় –নেশার বস্তু উদ্ধার করছে আইনশৃক্খলাবাহিনী ।
এখানে আপনি আমি সবাই অসহায় । ইয়াবা নিয়ে যে আলোচনার ঝড় উঠেছিল সারাদেশে সেই ইয়াবা আজও দেদারসে চলছে । ইযাবাসেবীদের বেশীর ভাগই ছাত্র বা টিনএজার ।
এতো এক বললাম মাদকের কথা । কিন্ত স্মোকিং সেটা-…… সেটা কে আমলে নিচ্ছে বলুন।
আমি যখন প্রাইমারীতে পড়ি তখন থেকেই দেখে আসছি পাশের হাইস্কুলের অসংখ্য ছাত্রকে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট টানতে । যখন হাই-স্কুলে উঠলাম তখন সব পাল্টে গেল । এখন প্রায় প্রকাশ্যে চলে । শুনেছি এর প্রধান কারন সঙ্গদোষ । মাদক আর নেশার কারনে বিপথে যাওয়া বেশির ভাগ তরুনই মাদকের দিকে প্রভাবিত হয় তার বন্ধুর দ্বারা ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দারা হয়তো বলতে পারবেন মাদকের গ্রাস-ছোবল কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে । হিরোইনসেবীদের জ্বালায় চলাফেরা করাই দায়। আমার বাড়ী পুরান ঢাকা বলে বলতে পারি - রাত্র হলেই মাদকসেবীদের জ্বালাবাড়ীর মেইন গেইট বন্ধ করতে হয় । নতো ভেতরে ঢুকে কিছু একটা নিয়ে যায় । দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ।
সবকিছুর জন্য অন্ত্যত বয়স বিবেচ্য কিন্ত মাদক সেবনের জন্য বয়স , বিত্তবান, অবিত্তবান, ছাত্র, অছাত্র কোনটাই বিবেচ্য না। সবাই মাদকসেবন করতে পারে । আর সবাই ধ্বংস হতে পারে । চলে যেতে পারে ঘোর অন্ধকারে । যে অন্ধকারের নিকষ কালো জীবনের প্রদীপকে নিভিয়ে দিয়ে যাবে ।
যখন দেখি আমার বয়সী কোন ছেলে মাদকে,স্মোকিংয়ে,অসামাজিকতায় জড়িয়ে পড়ছে তখন যেরকম খারাপ লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না । তরুণ,কেন এই পথ নিলে । চেয়ে দেখ আলোর পৃথিবী তোমার দিকে তাকিয়ে । তুমি বড় হও-আকাশের মত বড় হও । তোমার শুভাংখীরা সবাই তা চাচ্ছে ।
তুমি কেন হলে আজ বিশ্বাসঘাতক ।
তরুণ-পরিস্কার কর তোমার বিষাক্ত রক্ত । তুমি কেন এই পথ নিলে ।
পপসম্রাট আজম খান ঠিকই বলেছেন-কেউ নেশা কর না । মৃত্যুকে কাছে ডেকনা ।
তোমার মৃত্যুতে কারো কিছু যাবে আসবে না ঠিকই কিন্ত তুমি হারাবে তোমার মূর্যবান জীবন । স্বপ্নময় আলোর পৃথিবী । আলোর পৃথিবী তোমায় ডাকছে তুমি ফিরে আস ।
একদিন বুঝে যাবে হে তরুণ তোমার পথটা ঠিক ছিলনা । নিজের শরীর তুমি নিজেই করেছ নষ্ট ।
আর নয় । চলছ যারা উল্টো রথে- স্বেচ্ছায় ফিরে এসো সোজা পথে । এভাবে জীবনকে নষ্ট করে দিতে তুমি পার না ।
নেশাহীন হোক সব জীবন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।