গত কয়েকদিন ধরে মায়ানমারে রাখাইন জনগোষ্ঠী কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর যে হত্যাযজ্ঞ এবং হামলা চলছে তা একধরণে Ethnic Cleansing। এর সমাধান আসলে মায়ানমারের মধ্যেই হওয়া উচিত। বাংলাদেশ কিছু সংখ্যক উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিলে ঘটনার কোন সমাধানই হবে না বরং রাখাইনরা উৎসাহিত হবে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে। কারণ মায়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের 'পুশ-ইন' এর ব্যাপারটি নতুন নয়, সেই ৯০ এর দশক থেকেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে যে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আছে তাদের পুর্নবাসনের কোন ব্যবস্থা এখনো করা যায়নি যা মূল কারণ মায়ানমার সরকারের অনীহা।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ যা করতে পারে তা হলো -
১) জাতিসংঘে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনয়ন এবং এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য আর্ন্তজাতিক মহলে সর্মথন তৈরি করা।
২) এ ঘটনার প্রতিবাদ স্বরুপ বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠানো।
৩) চীন সহ যে সকল দেশ মায়ানমারকে মদত দিচ্ছে তাদের সাথে কুটনৈতিক আলোচনায় বসা যাতে করে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।
জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু এতে আসলে সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান হবে না।
এ ঘটনায় মানবতাবাদী সংগঠন বা UNHCR টাইপের সংস্থার মতামত আসলে গ্রহনযোগ্য হওয়াও উচিত নয়। কারন উদ্বাস্তু সমস্যা ঘটলেই এদের ব্যবসা রমরমা হয়।
বিষয়টি অবশ্যই মানবিক কিন্তু তার সমাধান রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিকভাবেই হওয়া উচিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।