আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেকাপ- নারীর নকল রুপে যখন পুরুষ মোহিত

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই পুর্বকথা: একটা প্রশ্ন করে নেই, টাইটেল দেখে কি মনে হল? উত্তরটা দিতে পারেন, না দিতে চাইলে নিজের কাছেই রাখুন। হঠাৎ করে এমন একটা বিষয়ে লেখতে গেলাম কেন পরে বলি। আসুন দেখি কি আছে এই লেখায়; প্রথমেই মেকাপ এর সংজ্ঞা কি হতে পারে- মেকাপ: মেকাপ হল অপ্রকৃতিক বা প্রাকৃতিক বস্তু হতে কোন ব্যক্তিবিশেষকে আকর্ষনীয় করার জন্য কোন পদ্ধতিতে বা উপাদান। মেকাপ তাই যা আমাদের অন্যদের চোখে আকর্ষনীয়, সুন্দর, অভিজাত, কখন হিংসার প্রতীকও করে তোলে। ইংরেজীতে অভিধানে দেখলে, (Clothing & Fashion) cosmetics, such as powder, lipstick, etc., applied to the face to improve its appearance 2. (Performing Arts / Theater) a. the cosmetics, false hair, etc., used by an actor to highlight his features or adapt his appearance b. the art or result of applying such cosmetics 3. the manner of arrangement of the parts or qualities of someone or something 4. (Communication Arts / Printing, Lithography & Bookbinding) the arrangement of type matter and illustrations on a page or in a book 5. mental or physical constitution. মেকাপ অনেক রকম হতে পারে।

মেকাপের লিস্ট করলে এসে পড়বে ফেসপাউডার, ফাউন্ডেশন, প্রিমার, ব্রোনযার, কনক্লিয়ার, ব্ল্যাশ, আইলেশ, আইশেড, আইলাইনার, ম্যাশকারা, প্যালেটস, লিপলাইনার, লিপজেল, লিপগ্লস, লিপশিমার, লিপস্টেইন, নেইপলিশ, ফলস হেয়ার ইত্যাদি! আরো অনেক মেকাপ, বা বিউটি প্রোডাক্ট খুজলে পাওয়া যাবে। কিন্তু আশা করি এতটুকুই যথেষ্ট আজকে আলোচনার জন্য। বহুবর্ষপুর্বে মেকাপের প্রচলন শুরু হয়েছিল, বলা হয় ষোল-শতকের দিকেই তা প্রথম শুরু হয়। কিন্তু কিছু কিছু ইতিহাসবিদদের মতে মিসরের রাজ-পরিবারের নারীরা এই বহু-পরিচিত মেকাপ প্রায় সহস্য বছরের আগে থেকেই। সেসময়ের মেকাপ এরসাথে বর্তমানের মেকাপের প্রচুর মিল বা কার্যকারিতা না পেলেও, ব্যবহারের কারনে সংগত মিল ঠিকই মিলা পাওয়া যাবে! আরো জানা যায় উনবিংশ শতাব্দিতে ইউরোপে এর প্রচলন পুরোদমে হয়, তবে সংখ্যালঘুদের কাছে মেকাপ সহজলভ্য ছিল।

পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে এর প্রচলন কিছু পরে হয়। আমাদের দেশে মেকাপ এর প্রচলন কখন হতে হয়েছে আমি জানি না। কেননা সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন অঞ্চলের এবং কার সাথে কথা বলছেন। আমার একজন আত্বীয়া, যার বয়স সত্তরাধিক, তার কাছ থেকে অবহিত হয়েছি কিশোরী বয়সে আলতা ছাড়া তিনি কোন মেকাপ দেখেননি। আবার কাছাকাছি বয়সের অন্য একজন তখন ঠোট রং করার কাগজ ব্যবহার করেছেন তার কিশোরী বয়সে।

সুতরাং এ সম্পর্কে সঠিক কোন সময় উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে ধারনা করা হয় মেকাপ এর পরিচিতি দ্রুত হয়। মেকাপ বিশেষ ভাবে বর্তমানে বহু প্রাকৃতিক বস্তু দিয়ে তৈরি হয়, কিন্তু আসলেই কি তা প্রাকৃতিক এর আসন নিতে পারে? উত্তরটা পরে দিব। এবার মেকাপের আদি-কথা শুনি চলুন। মেকাপ নিয়ে কিছু বলার আগে দুটি বানী স্মরন করতে চাই।

"কোন কিছু অতিরিক্তই ভালো নয়," ও "নকল সোনা এর চেয়ে আসল পিতল বেশ ভালো। " তারপরও, আমরা প্রায়ই ভুলে যাই, মেকাপ এর দ্বারা আর যাই হোক, কখন চিরজীবন সুন্দর থাকা যায়না। এবং মেকাপ এর পর আমরা আয়নায় যে নিজেকে দেখি, তা আমরা নই। আমাদের নকল রুপ। কেন? কেননা মেকাপ প্রাকৃতিক বস্তু হতে তৈরি হলেও, তা প্রাকৃতিক হয় না।

সেটা নকল পরতের মত আপনার ত্বকে বা নখে লেগে থাকে। একটা বিষয় বলে নেয়া উচিত, আমি মেকাপ নিয়ে ইনফরমেটিভ লেখা লিখতে চাইছিলাম না, কিন্তু একটু ইনফরমেশন না দিলেই নয়। যাইহোক! তা মেকাপ কেন করা হয়? কেননা তা মানুষকে বিশেষতভাবে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য। এখানে একটা সমস্যা পাচ্ছি, সেটা হল, মেকাপ আমাদের বাহ্যিক রুপবর্ধন করতে পারে, আত্মীক নয়। এবং এটাই আমার অপছন্দ মেকাপের সম্পর্কে।

বাইরের রূপ চিরদিন টেকে না এটা আমি আপনি সবাই জানেন, বরঞ্চ যে ভেতরের রুপ চিরকাল সাথে থাকবে, তাকে অবহেলা করে কেন মেকাপ করি আমরা বারবার? আসলেই কি জীবনে সুন্দর বা সুন্দরী হতে না পারলে বৃথা হয়ে যায়? কেন মানুষ হিসেবে না ভেবে কারো সৌন্দর্যকে নিয়ে আমরা তার বিচার করি। উধাহরন, বিয়ে পাত্রি দেখতে গেলে, হতে পারে কোন অচেনা কে দেখে, কেন এমন করি আমরা? মানুষ ভাবতে পারি না একে অন্যকে, মনের দিকটা দেখতে উৎফুল্ল হতে পারি না? উত্তরটা আপনরা দিবেন কিন্তু! তাছাড়া মেকাপ অপব্যবহার নিয়ে কি কখন কেউ ভেবেছেন, ভেবেছেন এর পার্শপ্রতিক্রিয়া এর ব্যাপারে? মেকাপ বেশি ব্যবহার করলে সে অসম্পুর্ন হয়ে যায়, যা আপনাকে মটেই আকর্ষনীয় নয়, বরঞ্চ ঠাট্টা করে বললে ভুতের মত দেখাবে। সৌন্দর্যেরও একটা সীমা আছে, বেশি হলে সেটাকে হ-য-ব-র-ল মনে হতে থাকে। আর যতটুকু কথা সৌন্দর্যের, মনের পরিচর্যা করেন তো রোজ? বিশেষত আমি আপুদের নিম্নোক্ত প্রশ্নটি করব(কেননা আপনারাই বেশি মেকাপ ব্যবহার করেন), কখন ভেবেছেন আপনার মেকাপ আপনাদেরই নকল রুপ? এটা মনে হয়নি কখন? আমার হয়েছে, এবং বিষয়টাতে লজ্জারও কিছু নেই, বরঞ্চ মনে হয় বেশ ভালো হত যদি আমাদের মেকাপ করার প্রয়োজন হত না। ভেবে দেখুন, আপনার প্রিয় মানুষরা মুখ দেখে একটা সুন্দর মন্তব্য করল, এবং তাৎক্ষনিক ভাবে আপনার মনে পড়ল, এসব মেকাপের জাদু, তখন কেমন লাগবে? আর ভাইয়াদের একটা প্রশ্ন, আপনারা কি কখন ভেবেছেন আপনারা কারো নকল রুপ দেখে মোহিত হন, এবং তা একবার নয়, বহুবার, বছরের পর বছর? কেন এমন নকল সাজতে উদ্বুদ্ধ করেন প্রিয় মানুষদের? এতে তাদের মনে কতটা কষ্ট পৌছায় তা কি কখন লক্ষ্য করেছেন? আপনারা যদি সত্য মানুষকে স্বীকার করেন তাহলেই কিন্তু অনেক সমস্যার দুর হয়ে যায়।

এবং আবারো, মনের রুপচর্যা করতে বলেন তো তাদের? এটুকুই বলার ছিল। কারো মনে দুঃখ দেবার জন্য নয়, কাউকে চিন্তা করানোর জন্যই এ লেখা। আশা করি পরিবর্তন আসবে, দ্রুত! ভালো থাকুন! শুভ নববর্ষ কিছু ইনফরমেশন এখান থেকে নেয়া- http://www.youbeauty.com/face/makeup-science  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।